১.
রমজানের শুরু থেকে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের "ইফতার প্ল্যাটার" আর আইটেমের পসরার ছবি দেখে আসছি। দাম কোনটারই খাবারের পরিমান বা স্বাদের তুলনায় যে সুলভ সেটা বলা যাবে না।
কিন্তু এই রেস্টুরেন্টগুলোতে ভোক্তার অভাব নেই!! অনেক জায়গায় না কি ইফতারের ৩ ঘন্টা আগে গিয়ে জায়গা দখল করে বসতে হয়!!
এই হচ্ছে আমাদের দেশের পাব্লিকের সংযমের মাসে সংযমের নমুনা!!
সাথে এখন যোগ হয়েছে আনলিমিটেড পিজা/বার্গার খাবার অসুস্থ প্রতিযোগিতা!! এগুলোর দামও নিতান্তপক্ষে জনপ্রতি ৯০০ টাকার কম না!!
কি হচ্ছে এসব করে??
জাংক ফুড কনজিউম করছেন এত টাকা খরচ করে, অপচয় করছেন আনলিমিটেড খাবারের নামে।
এখন আপনাদের "গরীব-অসহায়-দরিদ্র" মানুষদের কথা মনে পড়ছে না একবারও??
কয়জন অভাবগ্রস্ত রোজাদারকে এই মানুষগুলো সাহরী-ইফতার করিয়েছেন, কেউ জানেন??
২.
চট্টগ্রামের শপিং মলগুলোতে মোবাইল কোর্টের অভিযানের কারনে ব্যবসায়ীদের ভাওতাবাজী আর মুনাফালোভী আচরন সবার সামনে উন্মোচিত হয়ে যাচ্ছে!!
এক এক পোশাকে তারা লাভ করছেন গড়ে ৩ থেকে ৬ গুন পর্যন্ত!!
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, এরকম দাম নেওয়া স্বত্ত্বেও শপিং মলগুলোতে হাটার জায়গা নেই!!
অসংখ্য মানুষ এগুলো সেই দামেই কিনছেন!!
কয়জন গরীব মানুষকে পোশাক কিনে দিয়েছেন তারা??
৩.
এই মানুষগুলো হল, এদেশের সবচেয়ে বড় হিপোক্রেটের দল।
এরা উচ্চ মূল্যে জাংক ফুড খেয়ে রোগ বাধাবার সময় কোন অভিযোগ করে না, কিন্তু সেই রোগের চিকিৎসাকারী চিকিৎসককে ৫০০/৮০০ টাকা পরামর্শ ফি দিতে নারাজ!!
নিম্নমানের জিনিস উচ্চমূল্যে কিনছে, তবুও কোন অভিযোগ নেই এদের, অথচ, চিকিৎসা করাতে গেলে এরা ফকির সেজে যায়, টালবাহানা শুরু করে চিকিৎসকের পরামর্শ ফি না দিতে।
এত দামী খাবার খাবার সময়, খাবার অপচয়ের সময়, লাম-ছাম ড্রেস উচ্চমূল্যে কেনার সময় গরীবের কথা এদের মনে পড়ে না, শুধু চিকিৎসকের ফি এর কথা উঠলে তারা "মানবতাবাদী" হয়ে ওঠে!!
এদেশের মানুষ বড়ই বিচিত্র, বড়ই "হিপোক্রেট"!!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫৫