শুভ নববর্ষ ১৪২৩।
সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অনেক অনেক শুভ কামনা।
সেই সাথে বিদায়ী চৈত্রের জন্য রইল সমবেদনা।
বিদায়ী চৈত্রের সাথে সাথে বিদায় দিতে চাই একটি ভয়ংকর জাতীয় বদ অভ্যাসকে!!
তা হল, এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার!
এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহারে কিভাবে আমরা তিলে তিলে নির্বংশ হচ্ছি, তা আমি বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম আমার এই লেখাটিতে, নির্বংশ হচ্ছেন নীরবে!
আসন্ন নতুন ভোরে, পহেলা বৈশাখ, ১৪২৩ থেকে আসুন আমরা এই শপথ নেই,
“ন্যূনতম রেজিস্টার্ড এম বি বি এস-বি ডি এস চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া একটি এন্টিবায়োটিকও আমরা সেবন করব না; সময়-নিয়ম-প্রেশক্রিপশন মেনে আমরা এন্টিবায়োটিক সেবন করব।”
আপনাদের সবার অংশগ্রগণ ব্যতীত আমরা চিকিৎসকেরা এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের মত আসন্ন একটি ভয়াবহ সমস্যার মোকাবেলা করতে পারব না। আপনারই সন্তানের জন্য আপনিই এগিয়ে আসুন, আমাদের সব সময় আপনার পাশেই পাবেন ইনশাআল্লাহ্।
এজন্য প্রয়োজন একটি সামাজিক আন্দোলনের সূত্রপাত। সমাজের প্রতিটি সচেতন মানুষ যে যার অবস্থান থেকে এগিয়ে এলে এই আন্দোলনকে সফল করে তোলা আমাদের জন্য মোটেও কঠিন কিছু নয়।
আপনি একজন শিক্ষক, প্রতিটি ক্লাসে দিনে একবার হলেও আমার এই বার্তাটি আপনার ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌছে দিন, গেথে দিন মাথায় আজীবনের জন্য।
আপনি একজন শিক্ষার্থী, আপনার আশেপাশে বন্ধু-বান্ধব-শিক্ষক যাকেই পারেন, তাকে পৌছে দিন এই বার্তা।
আপনি ব্যাংকার-ব্যবসায়ী-পুলিশ-কর্পোরেট অফিসার যেই পদেই থাকুন না কেন, এই লাইন দুটো পৌছে দিন আপনার সংস্পর্শে আসা মানুষগুলোর কাছে, গেথে দিন মাথায় বার্তাটি।
শুরুটা হোক আপনাকে-আমাকে দিয়ে, আপনার-আমার পরিবারকে দিয়ে; আপনি-আমি হয়ে উঠি এক একজন সত্যিকারের Antibiotic Guardian!
এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন ও সচেতনতা গড়ে তুলতে আমরা কে কিভাবে একসাথে কাজ করতে পারি, এব্যাপারে আপনাদের মতামত আশা করছি।
সবার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা ও ভালবাসা রইল।
সুস্থ্য থাকুন, ভাল থাকুন।
মনে রাখবেন, “আমার স্বাস্থ্য আমার হাতে!”
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯