somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার বন্ধু মলি

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেকেই অনেক ভালো লিখেন, অফলাইনে মাঝে মাঝে পড়ি ভালো লাগে। আমারও মাঝে মাঝে লিখতে ইচ্ছে করে কিন্তু সবার মত আমি এত ভালো লিখতেও পারি না খুব মন খারাপ হয় তখন। আজকে আমার সব চেয়ে প্রিয় বান্ধবী মলি আর আমার কিছু মজার স্মৃতি কথা লিখবো । আমার সব চেয়ে কাছের আর প্রিয় বান্ধবী হলো মলি আমরা এক সাথেই পড়ি সেই স্কুল থেকে এখন পর্যন্ত । আমরা দুজন একে বারে হরি হর আত্মা যাকে বলে মানিক জোড় । স্কুলে আমরা এক সাথে বসতাম সব সময়। এক দিন মলির সাথে দেখা না হলে খুব খারাপ লাগতো। আমি স্কুলে না গেলে ও আমাদের বাসায় চলে আসতো আমিও ওদের বাসায় চলে যেতাম । খুব দুশ্চিন্তা হতো মনে হতো অসুখ করলো নাতো আবার । ও সব সময় ছিল খুব সাহসী আর দৃঢ় চিত্তের মেয়ে । আমি অবশ্য কিছুটা নার্ভাস প্রকৃতির। মাঝে মাঝে ও খুব দুঃসাহসী পরিকল্পনা করতো। অনেক মজার ঘটনা আছে আমাদের দুজনের জীবনে। একদিন মলি আমাকে চুপি চুপি বললো চল সিগারেট খাই। শুনে আমিতো একদম হা । ও বললো আরে ছেলেরা সিগারেট খেতে পারলে মেয়েরা কেন খেতে পারবে না ? আরে আমরা তো সব সময় খাবো না এক দিনের জন্য টেস্ট করবো কেমন লাগে খেতে । আমি বললাম না বাবা আমি খেতে পারবো না কিন্তু ও ছিল খুব জেদি যা বলতো তা করতেই হবে । তো ঠিক হলো ও দোকান থেকে সিগারেট কিনবে পরে বাসায় গিয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে সিগারেট খাওয়া হবে । কলেজ থেকে ফেরার পথে ও এক প্যাকেট সিগারেট কিনেছিল আমি বললাম কিরে এক প্যাকেট সিগারেট খাবো আমরা ? ও বললো আরে বোকা সিগারেট তো আর দুটো কেনা যায় না তাই এক প্যাকেট কিনেতে হলো । এর পর ওদের বাসায় গিয়ে ওর রুমে ঢুকে সিগারেট জ্বালানো হলো আর গন্ধে বমি আসার অবস্থা । প্রথমে ও একবার খাওয়ার চেষ্টা করলো কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে কাশি শুরু হয়েছিল । এর পর আর আমাদের সিগারেট খাওয়া হয়নি । ভাগ্য ভালো আন্টি , আঙ্কেল তখন অফিসে ছিলেন তা না হলে কি যে হতো ! এরকম অসংখ্য দুষ্ট বুদ্ধি সব সময় ওর মাথায় কিলবিল করতো । আরেক বার বললো চল বাইক চালানো শিখি এর পর দুজন মিলে বাইক নিয়ে লং ড্রাইভে যাবো । আমি বললাম কিভাবে শিখবি ? ও বললো কেন তোর ভাইয়ার বাইক আছে না ? তাকে বললেই শিখিয়ে দেবে। আমি বললাম তোর লজ্জা করবে না ভাইয়ার কাছ থেকে বাইক চালানো শিখতে ? ও বললো এতে লজ্জার কি আছে আমরা তো শুধু চালানো শিখবো আর শেখায় কোন লজ্জা নেই । তোর ভাইয়াকে কালকেই বলবি কিন্তু । আমার তখন কি যে অবস্থা কি আর বলবো । কোন রকমে ভাইয়াকে বলে ছিলাম মলি বাইক চালানো শিখতে চায়। ভাইয়া হাসতে হাসতে গড়া গড়ি খায় আরকি । ভাইয়া বলে ছিল তোদের আর বাইক চালানো শিখে কাজ নেই শেষে হাত পা ভাঙ্গবি পড়ে আর তোদের বিয়ে হবে না আর বাইক চালানো শিখতে হলে মাঠে যেতে হবে ওখানে অনেক মানুষ থাকবে আর আমি কোন মেয়েকে মানুষের মধ্যে বাইক চালানো শিখাতে পারবো না । আমি শুনে খুশিই হয়েছিলাম কিন্তু মলি খুব রাগ করে ছিল ভাইয়ার উপর , বলেছিল তোর ভাইয়াটা আস্ত একটা বলদ দাড়া তোর ভাইয়াকে একটা শিক্ষা দিতে হবে। আমি হেসে বলে ছিলাম কি শিক্ষা দিবি ? ও বলে ছিল সেটা পরেই দেখতে পাবি । এখন বললে তো আবার তোর ভাইয়া কে বলে দিবি । আমি বলে ছিলাম আচ্ছা ঠিক আছে । এর কিছু দিন পরেই ভাইয়া স্কলারশীপ নিয়ে ইংল্যান্ড চলে যান আর মলির শিক্ষা দেওয়াও হয়নি এখনো । তবে মাঝে মাঝেই ও বলে রিয়া তোর বলদ ভাইটা কবে দেশে আসবে রে ? আমিও বলি কেন কি হবে ? ভাইয়াকে শিক্ষা দিবি ? ও কেমন যেন চুপ করে থাকে আর আমার হাসি পেয়ে যায় । আসলে আমার বন্ধুটা খুব ভালো। ওর মনটা অনেক ভাল । আর আমাদের বাসার সবাই ওকে অনেক ভালোবাসে। আমাদের আরো আনেক মজার মজার কান্ড আছে কিন্তু সব গুলো বলা যাবে না । তাহলে আবার মলি আমাকেও শিক্ষা দিয়ে দেবে। ভালো থাকিস আমার প্রিয় বন্ধু মলি তোর মুখের সুন্দর হাসিটা সব সময় থাক অমলিন । আর শোন এই লেখা যদি তুই পড়িস তবে আমার উপর আবার রাগ করিস না কিন্তু ।
৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আব তেরা ক্যায়া হোগা কালিয়া!

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৩ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:৪১

আব তেরা ক্যায়া হোগা কালিয়া!"


অনেকেই আপত্তি জানাচ্ছেন, কেন সেনাপ্রধান নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুললেন? কিন্তু বিষয়টা একটু ভেবে দেখা দরকার, তিনি কি কোনো টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বা জনসমক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন? না।
তিনি শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ডায়েরী- ১৫৫

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৩ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০০



১। একজন নামকরা ডাক্তার আছেন।
তার সিরিয়াল পেতে দুই-তিন মাস সময় লাগে। এই ডাক্তার আমার মাকে দেখানো হবে। কিন্তু সিরিয়াল পাচ্ছিলাম না। শেষে একজন বললেন, যে ব্যাক্তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওরা সাতজন - বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে প্রধান অন্তরায় !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:২৬


সংকট ঘনীভূত; ড. ইউনূস কে ঘিরে একটি চক্র সক্রিয়-শিরোনামে মানবজমিন পত্রিকা একটা এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট করেছে। ড.ইউনূস কে ব্যবহার করে ইন্টেরিম সরকারের ভিতরে চারজন ও বাইরে তিনজন এক... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপি - জুলাই বিপ্লবের বিশ্বাসঘাতক

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৩ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৩:০১



ডক্টর ইউনুস এই দেশের ক্ষমতায় আর থাকতে চাচ্ছেন না। তবে এর দায় ভারতের নয়, পলাতক স্বৈরাচারী আওয়ামিলীগেরও নয়। এই দায় সম্পুর্নভাবে এই দেশের বৃহত্তম রাজনৈ্তিক দল বিএনপির। অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। তাঁকে বাদ দিয়ে নতুন করে গড়া হোক অন্তর্বর্তী সরকার! জাতির উদ্দেশে ভাষণের খসড়াও তৈরি করে ফেলেছিলেন ইউনূস ।।

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৪২






বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করতে চেয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতেই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এ কথা জানিয়েছেন। তার আগে ওই দিন অন্তর্বর্তী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×