নির্বিকার চিত্তে মিথ্যে বলায় আমাকে কেউ টেক্কা দিতে পারবে কিনা তা নিয়ে আমি যথেস্ট সন্দিহান। কিছু কিছু কাজ আছে যা ভাল না লাগলেও করতে হয়। কিন্তু আমি ঐ কাজ গুলা করবই না তাহলে একমাত্র উপায় মিথ্যা বলা। অন্যান্য কাজের মত এটাও ঠান্ডা মাথায় করতে হয়। পুরো প্লটের সাথে যারা জড়িত সবাইকে একইরকম করে বলতে হয়। আর যাকে বলব না তাকে কিছুই বলব না। যার ফলে সে যদি অন্য কারো কাছে থেকে খবর নিয়েও থাকে একই রকম খবরই পাবে। তবে এখানেও একটা কিন্তু আছে। পুরো প্ল্যানটা সফল হলে হাতে বেশ কিছু সময় আসবে যা ভাল কিছু করে পার করতে হবে। তবে এই ভাল কাজের মধ্যে ব্লগের জন্য দু এক লাইন লেখা ভাল কাজের মধ্যে পরে না।
আমার ক্লাশ শুরু 12টায় আর 2টার সময় শেষ। আমার কাজ আমার ছোট্ট ভাগ্নাটাকে স্কুল থেকে নিয়ে বাসায় ফিরতে হয়। আজও একই কাজের সাথে দুইটা অতিরিক্ত কাজ ছিল,
[গাঢ়]এক[/গাঢ়]- ছোটাপুকে কল্যানপুরে বাসে তুলে দিয়ে আসা
[গাঢ়]দুই[/গাঢ়]- সেখান থেকে সাভার মেজাপুর বাসায় যাওয়া।
আমার ভাগ্নাকে স্কুল ঠেক নিয়ে আসতে আমার কোন সমস্যা নেই। কিন্তু আমাকে তাহলে অন্য কাজ দুটাও করতে হবে, তাহলে উপায়। বড়আপুকে বললাম ডিপার্টমেন্টে আমাদের ডেকে পাঠিয়েছে। কটক্ষন লাগবে বলতে পারব না। তাই রাহিকে তোমাকেই নিতে হবে। ছোটাপুকেও বললাম একই কথা। মেজাপুকে কোন কথাই বললাম না। আমাকে ফোনে না পেয়ে বড়আপুকে ফোন করলে বড়আপু যা জানে তাই বলবে। ব্যস, সব কাজ থেকে রেহাই। পুর সময়টা লাইব্রেরীতে বসে অংক করে কাটালাম। আর এই লিখার খসড়াটাও করলাম।(ক্লোজআপ হাসি)