[গাঢ়]এইটা ছিল সবচেয়ে মজার:[/গাঢ়]
এক পুরোহিত শীতের রাতে পাশের গ্রামে পূজো সেরে বাসায় আসছে। গায়ে একটা চাদর জড়ানো আর পরণে ধূতি। বেশ ঠান্ডা লাগছে তার। যেতে যেতে সামনে পড়ল একটা বিশাল মাঠ। মাঠের মাঝখান দিয়ে যাওয়ার সময়সে দেখল এককোনায় দুজন বসে আগুন পোহাচ্ছে। সে উর্ধশ্বাসে, "তাপাই, তাপাই, তাপাই" বলে আগুনের দিকে ছুটে গেল। এদিকে আগুন পোহাচ্ছিলেন তাপাই আর তার বউ এবং তারা দুজনই ভুত। বউয়ের সামনে ভুতকে নাম ধরে ডাকা হল বলে সে খুব ক্ষেপে গেল। পুরোহিতকে পাকড়াও করে বলল,
"তুই আমার নাম ধরে ডাকলি, দাড়া তোর ঘাড় মটকে দেব।"
পুরোহিতেরতো ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা। সে বলে, "আমি আবার কি করলাম? মুখ্খু সুখ্খু মানুষ আমি। পূজা পাঠ করে বেড়াই। আমাকে কেন মারবেন?"
তাপাই বলে, "তাওতো বটে। কিন্তু আমিতো একবার বলে ফেলেছি তাই কাজটা আমাকে করতেই হবে। আচ্ছা যাহ্, কাল এসময় এসে যদি তুই আমাকে আমার তিন পুরুষের নাম বলতে পারিস তাহলে টোকে ছেড়ে দেব।" এতটুকু বলেই তাপাই বউ সহ নাই হয়ে গেল।
পুরোহিত মনের দুঃখে বাসায় আসল। সারারাত না ঘুমিয়ে এপাশ ওপাশ করেই কাটাল। পরদিন সারাদিন মন বেজাড় করে ঘুরে বেড়াল। বিকেল বেলা সেই মাঠের পাশের বিশাল বনে মোটামুটি আত্নহত্যা করা যায় এরকম উঁচু একটা ডালের চড়ে তাতে দড়ির একমাথা বেঁধে আরেক মাথায় ফাঁস বানিয়ে নামিয়ে দিল। গাছ থেকে নামার সময় সে শুনতে পেল দুজন ভুত কথা বলছে। ভুত দুটো আর কেউ না তাপাই আর তার বউ।
তাপাই এর বউ তাপাইকে বলছে, "কিগো তুমি এ্যাঁ? পুরোহিত তোমার তিন পুরুষের নাম বলবে কি করে এ্যাঁ? আমি নিজেইতো জানিনা।"
তাপাই বলে, "এই কথা। এটা কোন ব্যাপার হল। শোন তাহলে,
প্রথমে হারমু
তার বেটা ছাড়মু
তার বেটা আপাই
তার বেটা তাপাই।
পুরোহিত সব শুনেতো খুশিতে ডগমগ। সে দড়িডাড়ি সব গুছিয়ে নিয়ে বাসায় চলে আসল। তারপর মাঠে গিয়ে তাপাইকে সব কিছু ঠিকঠাক মত বলে নতুন জীবন নিয়ে হৃষ্টচিত্তে বাসায় আসল।