যিলহজ্জ মাস এলেই মনে পড়ে যায় মানবিতিহাসের দুর্লভ ব্যক্তিত্ব আল্লাহর প্রিয় নবী এবং হযরত মুহাম্মাদ সা: এর পুর্বপুরুষ ইব্রাহীম বিন য়া'কূব আ:কে। একাধারে কা'বা, কুরবানীর চলমান সংস্করণ ও হজ্জের বিধানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। মুসলিম জাতির স্বপ্নদ্রষ্টাও ছিলেন তিনি। (সুরা বাকারা ১২৯) আল্লাহ তাকে বলেছিলেন- আপনি মুসলমান হোন অর্থাত আত্মসমর্পন করুন। তিনি বললেন-আমি রাব্বুল আ...লামীনের নিকট আত্মসমর্পন করলান। (বাকারা ১৩১)
প্রকৃত আত্মসমর্পন হলো-অর্থ-বৃত্ত প্রবৃত্তির চাওয়া-পাওয়া জীবন-মরণ সবকিছুই তাঁর নির্দেশের সামনে সঁপে দেওয়া। সেটি তিনি কতোটা পেরেছেন- সে পরিক্ষা আল্লাহ নিয়েছেন জীবনভর। (সুরা বাকআরা ১২৪)
সেই দীর্ঘ পরিক্ষার দু'টি স্মৃতি বহন করে আজকের কুরবানী ও হজ্জ। এই দু'টি আমল আমরা পরমানন্দে করলেও এর পিছনে রয়েছে ত্যগের চরম শিক্ষা ও ইতিহাস। মহান রবের নির্দেশের সামনে নিজের সকল ইচ্ছাকে কুরবানী করাই হলো এর মূলকথা।
সন্তান কুরবানী নির্দেশেও অটল থেকে নিজের ভেতরের পশুত্ব কুরবানী থেকে এসেছে প্রতীকি পশু কুরবানী। শয়তানের চাওয়ার বিরোদ্ধে আল্লাহর নির্দেশকে প্রধান্য দিয়ে নিক্ষেপ করা পাথরের প্রতীকি রূপ হলো আজকের মিনার জামারাত বা কংকর নিক্ষেপের বিধান।
প্রৃকৃত মুসলমান হতে হলে "ধরিমাছ না ছুঁই পানি" টাইপের মুসলমান হলে চলবে না। এই শ্রেণীর মুসলমানকে আজকের সমাজ উদার বললেও ইসলাম তাকে উদাসীন বলে। আর আল্লাহর নির্দেশের উপর অবিচল ও দ্ব্যর্থহীন ভাবে আত্মসমর্পন এবং পুর্নাঙ্গ অনুকরণ হলো প্রকৃত মুসলমানিত্ব ও আত্মসম্পর্ন। এই টাইপের মুসলামনকে আজকের সমাজ গোঁড়া ধর্মান্ধ মৌলবাদী ইত্যাদি বললেও আল্লাহর কাছে সে-ই মুসলমান। আজকের কুরবানী ও হজ্জ সেই শিক্ষাই বহন করে ।
আল্লাহ আমাদের সকলকে কুরবানী ও হজ্জের আসল শিক্ষা গ্রহণ করে ইব্রাহীম আ: এর মতো প্রকৃত মুসলিম হয়ে আল্লাহর নির্দেশ পালনে অটল অবিচল ও পাহাড়সম দৃঢ় হবার তাউফীক দান করুন।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৫৮