রমজানের পর দীর্ঘমেয়াদি গুরুত্বপুর্ণ ইবাদতের মৌসুম হলো যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশদিন, যা আমাদের দোরগোড়ায় হাজির। আজ (মঙ্গলবার) সন্ধা থেকে সৌদি আরবে শুরু হয়ে গেছে নেক আমলের শ্রেষ্ঠ এই দশক। বাংলাদেশে আরম্ভ হতে যাচ্ছে কাল (বুধবার) সন্ধা থেকে। স্বয়ং আল্লাহ এই দশকের রাতসমুহের শপথ করেছেন কুরআনে।-সুরা ফজর১-২ আয়াত দ্রষ্টব্য। কুরআনে আরো বলা হয়েছে, তোমরা আল্লাহকে স্মরণ করো নির্দিষ্ট দিনসমুহে।-সুরা হজ্জ২৮। সাহাবী হযরত ইবনে আব্বাস রা:বলেছেন, নির্দিষ্ট দিন বলে যিলহজ্জের প্রথম দশককে বুঝানো হয়েছে।-ইবনে কাছীর। বোখারীর বর্ণনা মতে রাসুল সা: বলেছেন, ভাল আমলের জন্য আল্লাহর নিকট এই দিনগুলোতে চেয়ে প্রিয় কোন দিন নেই;এমনকি আল্লাহর রাহে জিহাদও এই দিনসমুহের ইবাদতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়। যিলহজ্জের প্রথম দশকের মাঝেই রাখা হয়েছে ইসলামের ৫ম মৌলিক কাজ হজ্জের বিধান ও প্রায় সবধরণের আমলের সমাহার। মাস হিসেবে রমজান আর দিন হিসেবে এই দশক শ্রেষ্ঠ বলে হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। মুসনাদে বাযযারে বর্ণিত হাদীসে এই দিনগুলোকে দুনিয়অর শ্রেষ্ঠ দিন বলা হয়েছে।
যিলহজ্জের প্রথম দশকে একজন মুসলিমের জন্য কুরআন হাদীসে কয়েকটি কর্মসুচি রয়েছে। যথা-
১/আল্লাহকে অধীক পরিমানে স্মরণ করা।-সুরা হজ্জ ২৮
২/অধিক পরিমাণে নেক আমল করা। -বোখারী মুসলিম
৩/পাপের পথ না মাড়ানো। -প্রাগুক্ত
৪/সামর্থবান হলে হজ্জ করা। -বোখারী মুসলিম
৫/সামর্থবান হলে কুরবানী করা। -সুরা কাউসার ৩-তিরেমিযী ১৪১৩
৬/কুরবানিচ্ছুক ব্যক্তি এই দশদিন নখ চুল ইত্যাদী কর্তন না করা।- মুসলিম৩৬৫৪
৭/বেশি বেশি তাকবীর তাহমীদ ও তাহলীল পাঠ করা-যথা আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ। -বোখারী
৮/একই দুআ আইয়ামে তাশরীকে নামাজের পর পড়া। -প্রগুক্ত
৯/আরাফার দিনে রোযা রাখা।-মুসলিম
সম্মানিত পাঠক, আপনার জীবনের একটি যিলহজ্জেও কি উপরোল্লিখিত আল্লাহ ও রাসুলের গুরুত্বারোপের ছাপ পড়েছে ? উত্তর না বাচক হলে এই যিলহজ্জটি আপনার জন্য বিশাল একটি সুযোগ। কে জানে আগামী যিলহজ্জ আপনার বরাতে আছে কি না ?