>কুরবানীর গরুকে গরু বা দামড়া বলিয়া অপমান করিবেন না। গরু কিনিবার পূর্বে গরুর নাম ঠিক করিয়াই হাটে গমন করিবেন। গরু নর এবং সুন্দর হইলে নায়ক শাকিব খানের নামে নাম রাখিতে পারেন আর বৃদ্ধ কিংবা চার দাতের বেশি দাত হইলে জলিল চৌধুরী রাখিতে পারেন। তবে জলিল নামের গরুর কিন্তু স্বাদ বাজে এবং গোশত শক্ত হইবার সমূহ সম্ভাবনা আছে। আর গরু যদি মাদী হয় তবে নাম ময়ূরী/মুনমুন’ই যুক্তিযুক্ত হইবে। তবে কেহ যদি শখ করিয়া সানি লিওন রাখিতে চান তবে কুরবানী কবুল না হইবার সম্ভাবনা প্রবল!
>ভুলেও জোর করিয়া গরুর লজ্জাস্থান দেখিবার চেষ্ঠা করিবেন না। দয়াপূর্বক ভুল বুঝিবেন না, কুরবানীর গরুর লজ্জাস্থান হইলো দন্ত। পুরুষের বেতন, নারীর বয়স আর কুরবানীর গরুর দন্ত- এই তিন জানিতে চাহিয়া জোর প্রয়োগ করিতে নাই। গরুর বয়স কিংবা দন্তসংখ্যা বিক্রেতার নিকট গোপনে জানিয়া লইবেন।
>গরুর দন্ত দুই হইলে ভালো হয়, চার হইলেও মন্দ নয়। তবে চারের বেশি হইলে গোশত খাইতে যাইয়া বৃদ্ধ অতিথির দাত পড়িয়া গেলে ক্রেতা দায়ী থাকিবেন!
>অবশ্যই গরুর বর্ণ(রঙ) দেখিয়া লইবেন। লাল বর্ণের দেশী গরু দেখিতে যেমন বলিউডের ক্যাটরিনার হইতে কোন অংশে কম নয়, তেমনি স্বাদেও পদ্মার ডিম্ববতী ইলিশের মতই অভূতপূর্ব! সুবিধাবাদী কৃপণ ক্রেতা হইলে সাদা বর্ণের গরু দেখিতে পারেন। দামে কম হইলেও উহা স্বাদে খারাপ হইবে না।
>গরু কিনিবার পূর্বে গরুর নিতম্বে একবার চোখ বুলাইয়া লইবেন। হৃষ্ট ফিগারের নায়িকায় যেমন সিনেমা হিট হয়, পুষ্ট নিতম্বের গরুর তেমনি গোশত বেশি হয়। ইহাতে লুলামির কোন সুযোগ নাই। লুল দৃষ্টিতে গরুর নিতম্বে চক্ষুপাত করিলে নিশ্চিত কড়মড়ে লাথি খাইবেন। কুরবানীর গরু কিন্তু বড্ড ইজ্জতদার হইয়া থাকে।
>লুলা, ন্যাংড়া, লেজকাটা, কানা, কানকাটা, শিংভাঙ্গা গরু কিনিবেন না। সুঠাম ব্যাতিত জীর্ণ গরু হইলে কুরবানী না'সহিহ হইবার সম্ভাবনা রহিয়াই যায়।
>আশ্বিন মাসে কুকুরী পাগল হয়, হাটে যাইয়া খেয়াল রাখিয়া হাটিবেন। সর্বদা পাগল কুকুরী আর পকেটমার হইতে সাবধান থাকিবেন। আপনার গরুর সর্বমঙ্গল কামনা করিলাম।
(অটঃ গরু কিনিতে যাইয়া কেহ গোবরে পা পিছলে পড়লে লেখক দায়ী থাকিবে না)