স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন বিষয়ক মোটা দাগে ৩৩টি তথ্য বিভিন্ন উপায়ে মানুষকে জানানোর ও তাদের প্রাত্যহিক জীবনে মেনে চলার বিষয়ে সচেতন করা জরুরি। এ ৩৩টি তথ্য হচ্ছেঃ
* শিশুর মুখের পিচ্ছিল পদার্থ দ্রুত পরিস্কার করতে হবে যাতে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে।
* শিশুকে উষ্ণ রাখতে হবে। এজন্য শিশুকে শুকনো কাপড় দিয়ে মাথা ও শরীর মুড়িয়ে মায়ের বুকে দিতে হবে।
* জন্মের ৭২ ঘন্টার পর শিশুকে গোসল করাতে হবে।
* জন্মের পরপর (আধ ঘন্টার মধ্যে) শিশুকে শাল দুধ সহ মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে।
* ছয় মাস পর্যন্ত শিশুকে কেবলমাত্র মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। এ সময় মধু, পানি, মিশ্রি অন্য কোন কিছুর প্রয়োজন নেই।
* শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে তাঁকে অবশ্যই বাড়তি খাবার দিতে হবে।
* শিশুকে সবুজ শাক সবজি ও হলুদ রংয়ের ফলমূল নিয়মিত খাওয়াতে হবে।
* পরিবারের ছোট বড় সকলে আয়োডিন যুক্ত লবণ খেতে হবে।
* জন্মের পর শিশুকে সিডিউল অনুযায়ী ছয় রোগের টিকা দিতে হবে এবং ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।
* শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ স্বাভাবিক করতে শিশুকে নতুন কিছু করতে বা শিখতে উৎসাহ দিতে হবে।
* শিশুকে সবসময় উষ্ণ রাখতে হবে এবং যাতে ঠান্ডা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
* শিশুর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ হলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
* শিশুর ডায়রিয়া হলে স্যালাইন সরবত খাওয়াতে হবে পাশাপাশি মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে।
* বড় শিশুদের স্বাভাবিক খাবার চালিয়ে যেতে হবে।
* গর্ভবতী মহিলাকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী খাবার দিতে হবে।
* গর্ভবতীকে দিনের বেলায় পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।
* কমপক্ষে ৪ বার হাসপাতালে চেকআপ করাতে হবে।
* প্রসবকালীন পরিকল্পনা করতে হবে। যেমন অর্থ সঞ্চয়, দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ধাত্রী নির্বাচন, রক্তদাতা নির্বাচন ও প্রসবের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ।
* সম্ভব হলে হাসপাতালে সন্তান প্রসব করাতে হবে।
* কোন বিপদ চিহ্ন দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে বা সেবা কেন্দ্রে যেতে হবে।
* স্তন্যদায়ী মাকে বাড়তি খাবার দিতে হবে।
* সন্তান প্রসবের ৪২ দিনের মধ্যে একটি ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।
* কিশোর/কিশোরীদের ব্যক্তিগত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
* কিশোরীদের আয়রণ সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে এবং প্রয়োজনে আয়রণ বড়ি খাওয়াতে হবে (ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী)
* বয়স ১৮ বছরের আগে কোন অবস্থাতেই বিয়ে দেয়া যাবে না।
* কিশোরদের ধূমপান/মাদকাসক্ত থেকে বিরত থাকতে হবে।
* বর্ষীয়ান/প্রবীণদের স্বাস্থ্য ও ব্যক্তিগত পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার উপর বিশেষ নজর দিতে হবে।
* প্রবীণদের সুষম/পুষ্টিকর খাবার এবং পরিচর্যায় যতœশীল হতে হবে।
* বাড়ীর বর্জ্য আবর্জনা নির্দিষ্ট গর্তে ফেলতে হবে।
* মলত্যাগের জন্য স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ব্যবহার করতে হবে।
* রান্না, খাওয়া, অজু, গোসলসহ ফলমূল ধোয়ার কাজেও টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার করতে হবে।
* পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য প্রত্যেক বাড়ীতে শাক সবজি ও ফলজ গাছ লাগাতে হবে।
* প্রোটিন ঘাটতি মেটাতে হাঁস-মুরগী পালন করতে হবে।