১.
ঢাবির ঘটনায় সারা মিডিয়া পাড়া উত্তাল- ক্ষুদ্ধ আমাদের মন। ঢাবিতে যে ঘটনা ঘটেছে তা কি নতুন? এই রকম নিপীড়ন এর আগে ঘটেনি? এই দায়টা কার?
২.
প্রায় ৫ বছর আগে আমার এক বান্ধবী বলেছিল- পহেলা বৈশাখে শাবিতে আর যাব না।
কারন?
কারন ঐ একই- কিছু ছেলে।
হ্যাঁ, কিছু ছেলে- কিছু পুরুষ। যেখানেই ভিড় সেখানেই তারা। যেখানে একাকী নারী সেখানেই তারা।
গ্রামের নির্জন রাস্তায়, বাসে-ট্রেনে- শপিংমলে, কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে... কনসার্টে। কোথায় নেই এই মানুষ নামের তারা।
৩.
এসব ঘটনায় আমাদের ভাই বন্ধুদের বিচার- সব দোষ ঐ মেয়ের। যায় কেন তারা ওখানে... তারা সাজলো কেন... পড়ল কেন শাড়ী!
মুখ খোলে একবার বল্লেও... মন থেকে একবারও বলে না পুরুষটির দোষের কথা- বরং কামার্ত মন প্রকাশ করে উল্লাস।
মেয়ের হাঁটায় দোষ... মেয়ের কাপড়ে দোষ- দোষ মেয়ের সারা অঙ্গে।
কপটচারী মন ... দেখে না তখন নিজেরে ।
এই কথা আমি লিখে জানাবো কেন... কম-বেশি সবাই জানেন।
৪.
তো ঢাবির ঘটনায় হইল কী!
ফেসবুকে তুফান।
কিছু মানুষ কিছু মিডিয়া আরো এক খাটি সরস। তারা ছেলের বস্ত্রহীন ছবি মেয়ের বলে চালিয়ে দিল। আর আমাদের ফেসবুকিয় অনুভূতি বলে দিল.... হায়! গেল... গেল!
আরো বলে দিল... পহেলা বৈশাখে বের হও কেন মেয়ে! আগামী বছর থেকে যাবে না ঐ পাড়ায়... যাবে না টিএসসি তে- যাবে না রমনায়।
ঐখানে ছাত্রলীগ থাকে।
ভিতরে লালসা রেখে আমরা হয়ে গেলাম দেবতা... আর দানব হল লীগ।।
৫.
কোন ঘটনায় কেন আমরা একটা দল.. একটা গোষ্ঠীকে ঢালাও ভাবে অপরাধী সাজাই?
কারণ... প্রতিহিংসা।
আমরা ঐ ঘটনায় চড়ে স্বার্থ হাসিল করি।
তো ঘটনার দায় কার?
অপরাধী যে দল করে সেই দলের? রাষ্ট্রের?
আমি মনে করি ঘটনার সময় রাষ্ট্রের দায় গৌণ। দায় ইন্ডিভিজুয়াল... দায় সমাজের- নৈতিকতার।
ঘটনার সময় দায় গৌণ হলেও... রাষ্ট্রের দায় থাকে অপরাধীকে সাজা দেওয়ার।
আর ঢাবির মতো ঘটনা... একমাত্র ইন্ডিভিজুয়ালি সচেতন হলেই .. প্রতিরোধ সম্ভব।
আমাদের মনের ভিতর যদি নীতিবোধ না থাকে.... যতই আমরা হিন্দু হই .. বৌদ্ধ হই... খ্রিস্টান হই.... হই মুসলমান- আমরা মানুষ হইব না।
৬.
এত হইচই... তারপর কি হবে?
তারপর কী....?
......তারপর মূর্খমুহূর্ত!
সমাজের ভিতরে ... মানুষের ভিতরে ঘটতে থাকা কিছু ঘটনা মিডিয়া আবার সামনে নিয়ে আসবে- আমাদের মানবতা... মানে ফেসবুকিয় জীবন আবার উত্তাল হবে।
বদলাবে না আমাদের সিংহভাগ মানুষের নৈতিকতা।
আমরা পার করছি মুর্খমুহূর্ত!
৭.
মূর্খমুহূর্ত
/
খুটিতে বাঁধা ছাগল।