somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রসংগ: ইঁদুর ও মানুষ (৩)

২৭ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


জর্জ তিরিক্ষি মেজাজে রক্তবর্ণ চোখে পানির দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ। তারপরে আপনমনেই তেতে উঠা গলায় বলে উঠলো, ''হারামজাদা বাস ড্রাইভারটার যদি কোন আক্কেল থাকতো তাইলে আমরা এতোক্ষণে খামারে পৌঁছায় যাইতে পারতাম। হাইওয়ের থেকে খালি একটু দূরে! হাহ! একটু দূরে? শালার পাক্কা চারটা মাইল! আর সেইটা নাকি একটু দূরে? হারামজাদা, খামারের কাছে থামতে চায় নাই মোটেই। অলসের হাঁড়ি একটা! মনে হয় ব্যাটা সোলদাদেই থামতেই চায় নাই। একটু ঘুরতে হবে বলে আমাদেরকে চার মাইল বাকি থাকতেই লাত্থি মেরে বাস থেকে বের করে দিয়ে বললো এইতো একটু দূরে। চার মাইলের বেশিই হবে মনে হয় যতোদূর হাঁটছি আমরা। বাপরে! কি গরমটাই পড়ছিলো আজকে!''

লেনি একটু ভয়ে ভয়ে জর্জের দিকে তাকিয়ে বললো, ''জর্জ?''

''বল, কি চাস?''

''জর্জ, আমরা কই যাচ্ছি?''

জর্জ অধৈর্য্য হাতে নিজের টুপির কোণাটা ঝেড়ে লেনির দিকে ফিরে খেঁকিয়ে উঠলো, ''অ! তুই এর মধ্যে ভুলেও গেছিস, তাই না? আমার আবার তোকে বলতে হবে, নাকি? হায় খোদা! তুই সত্যি একটা হাড়ে হারামজাদা।''

লেনি একটু নরম অপরাধী স্বরে বললো, '' ভুলে গেছি, কিন্তু বিশ্বাস কর, আমি চেষ্টা করছিলাম না ভুলতে। খোদার কসম, আমি চেষ্টা করছিলাম জর্জ।''

''ঠিক আছে, ঠিক আছে, আমি আবার বলবো তোকে। আমার তো আর কিছু করারও নাই। সারা জীবন ধরে আমি তোকে কথাবার্তা বলতেই থাকবো, আর তুই ভুলতেই থাকবি। এরপরে আমি আবারও মনে করাইতেই থাকবো।''

''কতো চেষ্টা করেছি'' লেনি বললো, '' কিন্তু কোন লাভ হয় নাই, তবে আমার খরগোশগুলার কথা মনে আছে, জর্জ।''

''চুলায় যাক তোর খরগোশ। তোর তো সারাজীবন খালি খরগোশের কথাই মনে থাকে। যাই হোক, এবার মন দিয়ে শোন। আর নাইলে মনে রাখিস আমরা কিন্তু বিরাট ঝামেলায় পড়বো। তোর মনে আছে হাওয়ার্ড স্ট্রিটের নালাটার পাশে বসে আমরা ব্ল্যাকবোর্ডটা দেখছিলাম?''

লেনির মুখ হঠাৎ করেই খুশিতে ভরে উঠে, বলে, '' কেন থাকবেনা জর্জ? আমার সেইটা মনে আছে... কিন্তু... তারপরে আমরা কি করছিলাম জানি? মনে হয় একটা মেয়ে আসছিলো আর তুই বলছিলি... তুই বলছিলি...''

''আরে চুলায় যাক আমি কি বলছিলাম। তোর মনে আছে আমরা যে মুরে এ্যান্ড রেডি'স এ গেলাম আর ওরা আমাদেরকে কাজ করার কার্ড আর বাসের টিকিট দিলো?''

''ওহ, হ্যাঁ, জর্জ। আমার এখন মনে পড়ছে।'' লেনি দ্রুত কোটের সাইড পকেটে হাত ঢুকিয়ে আস্তে করে বললো, ''জর্জ... আমার কাছে তো কিছু নাই। আমি মনে হয় হারাইয়া ফেলছি।'' বলেই হতাশ হয়ে মাটির দিকে তাকিয়ে রইলো।

''আরে তোর কাছে তো কখনো ছিলোই না, হারামী। দুইটাই আমার কাছে। তোর কি মনে হয় আমি এতোই বেকুব যে তোকে তোর কার্ড রাখতে দিবো?''

লেনি স্বস্তিতে হেসে ফেললো, ''আমি... আমি ভাবছিলাম আমি আমার সাইড পকেটে রাখছি কার্ডটা।'' আবারো পকেটে ঢুকলো ওর হাত দুটো।

তীক্ষ চোখে লেনির দিকে তাকিয়ে জর্জ বললো, ''তুই তোর পকেট থেকে কি বের করলি?''

''আ.. আমার পকেটে কিচ্ছু নাই।'' খুবই চালাকের মতো বললো লেনি।

''আমি জানি, পকেটে নাই। যা বের করছিস সেইটা তুই হাতে রাখছিস। কি রাখছিস হাতে? দেখি... কি লুকাইতেছিস?''

''সত্যি জর্জ, কিচ্ছু রাখি নাই।''

'' আয় এদিকে, দেখা বলছি।''

লেনি ওর বন্ধ হাতের মুঠোটা জর্জের কাছ থেকে অনেক দূরে রেখে বললো, ''এইটা খালি একটা ইঁদুর।''

''ইঁদুর? জ্যান্ত ইঁদুর?''

''আহ-হা! না, খালি একটা মরা ইঁদুর, জর্জ। বিশ্বাস কর আমি এটাকে মারি নাই। আমি এইটাকে খুঁজে পাইছিলাম, মরাই খুঁজে পাইছিলাম।''

''দে এদিকে'' আদেশ করলো জর্জ।

''ছাড় না জর্জ, এইটা আমারে রাখতে দে।''

''দে বলছি!'' এবার চেঁচালো জর্জ।

লেনির বন্ধ করা হাতের মুঠোটা আস্তে আস্তে জর্জের কথা মেনে নিলো। জর্জ ইঁদুরটা নিয়ে পানির অন্যপাশে জংলী ঝোপের মধ্যে ঢিল ছুঁড়ে ফেলে দিলো। তারপরে বললো, ''তুই একটা মরা ইঁদুর নিয়ে কি করতে চাস?''

''আমরা যখন হাঁটবো, আমি এইটাকে আমার আংগুল দিয়ে আদর করতাম।'' জবাব দিলো লেনি।

''শোন, তুই যখন আমার সাথে হাঁটবি তখন কোন ইঁদুরকে আদর করা লাগবে না। তোর মনে আছে আমরা এখন কই যাচ্ছি?

লেনি বিভ্রান্ত চেহারা নিয়ে জর্জের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে প্রচন্ড লজ্জায় হাঁটুতে মুখ ঢেকে বললো, ''আমি আবার ভুলে গেছি।''

''হা খোদা!'' জর্জ হাল ছেড়ে দিয়ে বললো, ''শোন, আমরা উত্তরের একটা খামারে যেরকম কাজ করতাম, সেরকমই একটা খামারে আবারো কাজ করতে যাচ্ছি।''

''উত্তরে?'' প্রশ্নবোধক দৃষ্টি লেনির।

''হ্যাঁ, উইড এ।''

''ওহ হ্যাঁ, মনে পড়েছে, উইড এ।''

''আমরা এখন যেই খামারটাতে যাবো সেইটা কোয়ার্টার মাইল দূরে। আমরা সেইখানে গিয়ে মালিকের সাথে দেখা করবো। এখন মনে রাখ, আমি মালিককে আমাদের কার্ডগুলা দিবো... কিন্তু সাবধান! তুই একটা শব্দও উচ্চারণ করবিনা। তুই খালি দাঁড়িয়ে থাকবি চুপ করে। যদি ও একবার টের পেয়ে যায় তুই কেমন হারামী, আমাদেরকে ও কাজটা দিবেনা। কিন্তু তুই কথা বলার আগেই যদি ও কাজ দিতে রাজী হয়ে যায় তাইলে আমরা কাজটা পেয়ে যাবো, বুঝলি?''

''হ্যাঁ, হ্যাঁ, এইবার বুঝছি।''

''ঠিক আছে, তাইলে বল মালিকের সাথে দেখা করতে গেলে তুই কি করবি?''

''আমি... আমি...'' লেনি ভাবতে লাগলো। চিন্তা করতে করতে ওর মুখ শক্ত হয়ে এলো, '' আ... আমি কিচ্ছু বলবোনা, আর ওইখানে গিয়ে খালি দাঁড়ায়ে থাকবো।''

''এইতো লক্ষী ছেলে, তুই এখন দুই তিনবার এই কথাটা নিজে নিজে বল, যাতে ভুলে না যাস পরে।''

লেনি নরোম স্বরে নিজের সাথে বলতে লাগলো, ''আমি কিচ্ছু বলবোনা... আমি কিচ্ছু বলবোনা... আমি কিচ্ছু বলবোনা।''

''ঠিক আছে, আর তুই উইড এ যা করেছিলি, সেইরকম খারাপ কিছুও এইবার করবিনা বুঝলি?''

লেনিকে ভীষণ দ্বিধাগ্রস্ত দেখলো, '' উইড এ যা করেছিলাম?''

''ওহ! তুই সেটাও ভুলে গেছিস? যাক, ভালোই হলো, আমিও তোকে আর মনে করিয়ে দিবোনা, নাইলে দেখা যাবে আবারও সেইরকমই কিছু একটা করে বসেছিস''

-----------------------------------------------
প্রসংগ: ইঁদুর ও মানুষ (২)
প্রসংগ: ইঁদুর ও মানুষ (১)
জর্জ তিরিক্ষি মেজাজে রক্তবর্ণ চোখে পানির দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ। তারপরে আপনমনেই তেতে উঠা গলায় বলে উঠলো, ''হারামজাদা বাস ড্রাইভারটার যদি কোন আক্কেল থাকতো তাইলে আমরা এতোক্ষণে খামারে পৌঁছায় যাইতে পারতাম। হাইওয়ের থেকে খালি একটু দূরে! হাহ! একটু দূরে? শালার পাক্কা চারটা মাইল! আর সেইটা নাকি একটু দূরে? হারামজাদা, খামারের কাছে থামতে চায় নাই মোটেই। অলসের হাঁড়ি একটা! মনে হয় ব্যাটা সোলদাদেই থামতেই চায় নাই। একটু ঘুরতে হবে বলে আমাদেরকে চার মাইল বাকি থাকতেই লাত্থি মেরে বাস থেকে বের করে দিয়ে বললো এইতো একটু দূরে। চার মাইলের বেশিই হবে মনে হয় যতোদূর হাঁটছি আমরা। বাপরে! কি গরমটাই পড়ছিলো আজকে!''

লেনি একটু ভয়ে ভয়ে জর্জের দিকে তাকিয়ে বললো, ''জর্জ?''

''বল, কি চাস?''

''জর্জ, আমরা কই যাচ্ছি?''

জর্জ অধৈর্য্য হাতে নিজের টুপির কোণাটা ঝেড়ে লেনির দিকে ফিরে খেঁকিয়ে উঠলো, ''অ! তুই এর মধ্যে ভুলেও গেছিস, তাই না? আমার আবার তোকে বলতে হবে, নাকি? হায় খোদা! তুই সত্যি একটা হাড়ে হারামজাদা।''

লেনি একটু নরম অপরাধী স্বরে বললো, '' ভুলে গেছি, কিন্তু বিশ্বাস কর, আমি চেষ্টা করছিলাম না ভুলতে। খোদার কসম, আমি চেষ্টা করছিলাম জর্জ।''

''ঠিক আছে, ঠিক আছে, আমি আবার বলবো তোকে। আমার তো আর কিছু করারও নাই। সারা জীবন ধরে আমি তোকে কথাবার্তা বলতেই থাকবো, আর তুই ভুলতেই থাকবি। এরপরে আমি আবারও মনে করাইতেই থাকবো।''

''কতো চেষ্টা করেছি'' লেনি বললো, '' কিন্তু কোন লাভ হয় নাই, তবে আমার খরগোশগুলার কথা মনে আছে, জর্জ।''

''চুলায় যাক তোর খরগোশ। তোর তো সারাজীবন খালি খরগোশের কথাই মনে থাকে। যাই হোক, এবার মন দিয়ে শোন। আর নাইলে মনে রাখিস আমরা কিন্তু বিরাট ঝামেলায় পড়বো। তোর মনে আছে হাওয়ার্ড স্ট্রিটের নালাটার পাশে বসে আমরা ব্ল্যাকবোর্ডটা দেখছিলাম?''

লেনির মুখ হঠাৎ করেই খুশিতে ভরে উঠে, বলে, '' কেন থাকবেনা জর্জ? আমার সেইটা মনে আছে... কিন্তু... তারপরে আমরা কি করছিলাম জানি? মনে হয় একটা মেয়ে আসছিলো আর তুই বলছিলি... তুই বলছিলি...''

''আরে চুলায় যাক আমি কি বলছিলাম। তোর মনে আছে আমরা যে মুরে এ্যান্ড রেডি'স এ গেলাম আর ওরা আমাদেরকে কাজ করার কার্ড আর বাসের টিকিট দিলো?''

''ওহ, হ্যাঁ, জর্জ। আমার এখন মনে পড়ছে।'' লেনি দ্রুত কোটের সাইড পকেটে হাত ঢুকিয়ে আস্তে করে বললো, ''জর্জ... আমার কাছে তো কিছু নাই। আমি মনে হয় হারাইয়া ফেলছি।'' বলেই হতাশ হয়ে মাটির দিকে তাকিয়ে রইলো।

''আরে তোর কাছে তো কখনো ছিলোই না, হারামী। দুইটাই আমার কাছে। তোর কি মনে হয় আমি এতোই বেকুব যে তোকে তোর কার্ড রাখতে দিবো?''

লেনি স্বস্তিতে হেসে ফেললো, ''আমি... আমি ভাবছিলাম আমি আমার সাইড পকেটে রাখছি কার্ডটা।'' আবারো পকেটে ঢুকলো ওর হাত দুটো।

তীক্ষ চোখে লেনির দিকে তাকিয়ে জর্জ বললো, ''তুই তোর পকেট থেকে কি বের করলি?''

''আ.. আমার পকেটে কিচ্ছু নাই।'' খুবই চালাকের মতো বললো লেনি।

''আমি জানি, পকেটে নাই। যা বের করছিস সেইটা তুই হাতে রাখছিস। কি রাখছিস হাতে? দেখি... কি লুকাইতেছিস?''

''সত্যি জর্জ, কিচ্ছু রাখি নাই।''

'' আয় এদিকে, দেখা বলছি।''

লেনি ওর বন্ধ হাতের মুঠোটা জর্জের কাছ থেকে অনেক দূরে রেখে বললো, ''এইটা খালি একটা ইঁদুর।''

''ইঁদুর? জ্যান্ত ইঁদুর?''

''আহ-হা! না, খালি একটা মরা ইঁদুর, জর্জ। বিশ্বাস কর আমি এটাকে মারি নাই। আমি এইটাকে খুঁজে পাইছিলাম, মরাই খুঁজে পাইছিলাম।''

''দে এদিকে'' আদেশ করলো জর্জ।

''ছাড় না জর্জ, এইটা আমারে রাখতে দে।''

''দে বলছি!'' এবার চেঁচালো জর্জ।

লেনির বন্ধ করা হাতের মুঠোটা আস্তে আস্তে জর্জের কথা মেনে নিলো। জর্জ ইঁদুরটা নিয়ে পানির অন্যপাশে জংলী ঝোপের মধ্যে ঢিল ছুঁড়ে ফেলে দিলো। তারপরে বললো, ''তুই একটা মরা ইঁদুর নিয়ে কি করতে চাস?''

''আমরা যখন হাঁটবো, আমি এইটাকে আমার আংগুল দিয়ে আদর করতাম।'' জবাব দিলো লেনি।

''শোন, তুই যখন আমার সাথে হাঁটবি তখন কোন ইঁদুরকে আদর করা লাগবে না। তোর মনে আছে আমরা এখন কই যাচ্ছি?

লেনি বিভ্রান্ত চেহারা নিয়ে জর্জের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে প্রচন্ড লজ্জায় হাঁটুতে মুখ ঢেকে বললো, ''আমি আবার ভুলে গেছি।''

''হা খোদা!'' জর্জ হাল ছেড়ে দিয়ে বললো, ''শোন, আমরা উত্তরের একটা খামারে যেরকম কাজ করতাম, সেরকমই একটা খামারে আবারো কাজ করতে যাচ্ছি।''

''উত্তরে?'' প্রশ্নবোধক দৃষ্টি লেনির।

''হ্যাঁ, উইড এ।''

''ওহ হ্যাঁ, মনে পড়েছে, উইড এ।''

''আমরা এখন যেই খামারটাতে যাবো সেইটা কোয়ার্টার মাইল দূরে। আমরা সেইখানে গিয়ে মালিকের সাথে দেখা করবো। এখন মনে রাখ, আমি মালিককে আমাদের কার্ডগুলা দিবো... কিন্তু সাবধান! তুই একটা শব্দও উচ্চারণ করবিনা। তুই খালি দাঁড়িয়ে থাকবি চুপ করে। যদি ও একবার টের পেয়ে যায় তুই কেমন হারামী, আমাদেরকে ও কাজটা দিবেনা। কিন্তু তুই কথা বলার আগেই যদি ও কাজ দিতে রাজী হয়ে যায় তাইলে আমরা কাজটা পেয়ে যাবো, বুঝলি?''

''হ্যাঁ, হ্যাঁ, এইবার বুঝছি।''

''ঠিক আছে, তাইলে বল মালিকের সাথে দেখা করতে গেলে তুই কি করবি?''

''আমি... আমি...'' লেনি ভাবতে লাগলো। চিন্তা করতে করতে ওর মুখ শক্ত হয়ে এলো, '' আ... আমি কিচ্ছু বলবোনা, আর ওইখানে গিয়ে খালি দাঁড়ায়ে থাকবো।''

''এইতো লক্ষী ছেলে, তুই এখন দুই তিনবার এই কথাটা নিজে নিজে বল, যাতে ভুলে না যাস পরে।''

লেনি নরোম স্বরে নিজের সাথে বলতে লাগলো, ''আমি কিচ্ছু বলবোনা... আমি কিচ্ছু বলবোনা... আমি কিচ্ছু বলবোনা।''

''ঠিক আছে, আর তুই উইড এ যা করেছিলি, সেইরকম খারাপ কিছুও এইবার করবিনা বুঝলি?''

লেনিকে ভীষণ দ্বিধাগ্রস্ত দেখলো, '' উইড এ যা করেছিলাম?''

''ওহ! তুই সেটাও ভুলে গেছিস? যাক, ভালোই হলো, আমিও তোকে আর মনে করিয়ে দিবোনা, নাইলে দেখা যাবে আবারও সেইরকমই কিছু একটা করে বসেছিস''

-----------------------------------------------
প্রসংগ: ইঁদুর ও মানুষ (২)
প্রসংগ: ইঁদুর ও মানুষ (১)
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:৩৪
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×