ইদানীং কালে বেশ কিছু তরুণ- তরুণীর ফ্যাশনের একটা অংশ হয় উঠেছে 'ইসলাম ধর্ম গালাগাল'।
জ্বি, আপনি ঠিকই পড়েছেন...... তারা নিজেদের নাস্তিক বলে ঘোষণা দেন না.... আবার ফ্যাশনও এড়িয়ে যেতে পারেন না। এখন কিসের ভিত্তিতে তারা এই ধর্ম ও ধর্মের রীতিনীতিকে গালাগাল করেন, অন্তত আমার মতো ছোট মাথার মানুষের মগজে ঢুকে না।
তারা যদি নাস্তিক হতেন, তবে নাস্তিক্যবাদের মৌলিক অংশ তুলে ধরতেন, তুলে ধরতেন 'নাস্তিক্যবাদের সৌন্দর্য'। তারা ধর্মের আপেক্ষিকতার অসাড়তা বা কালো দিক নিয়ে আলোচনা করতেন। আর নিজেদের মতবাদ যৌক্তিক এবং ভদ্র ভাষায় তুলে ধরতে পারতেন। যেমন তুলে গেছেন- John Anderson, Gilles Deleuze বা Debiprasad Chattopadhyaya। তারা কোন ধর্মকে গালাগালি করেননি, বা কোন গোষ্ঠীর প্রতি আক্রমণাত্মক ভাষায় বক্তব্য দেননি। তবে তাদের একটি মতবাদ ছিল, ছিল যুক্তির প্রবল প্রচেষ্টা।
কিন্তু বাংলাদেশের এই নব্য 'গালাগাল পার্টি' কিসের জন্য ইসলাম ধর্ম গালাগাল করে চলেছে, তা খুব পরিষ্কার নয়। আর খেয়াল করলে দেখা যায় এই 'গালাগাল পার্টি' ইসলাম ও ইসলাম ধর্মের উপর এমন কুৎসিত ও অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করে, যা আমাদের পক্ষে সয়ে উঠা বেশ কঠিন। বিশেষত 'থাবা বাবা' (আহমেদ রাজীব হায়দার), ব্লগার অনন্ত, বা ওয়াশিকুর বাবু 'রা যেভাবে ইসলাম ধর্মকে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় (অনেকটা Taslima Nasrin স্টাইলে ) আক্রমণ করতেন ধর্ম প্রিয় মানুষ হিসেবে বাংলাদেশীদের আঘাত লাগারই কথা। তবে একটা কথা অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই--- 'তাই বলে তাদের মেরে ফেলতে হবে, এমন মতবাদে আমি বিশ্বাসী না'।
এই 'নব্য গালাগাল্কারী'দের একটি কমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে, আর তা হল শুধু ইসলাম ও নবী রাসুলদের গালাগালি করেন, অন্য কোন ধর্মের কথা তারা কিন্তু বলেন না। তবে কেউ কেউ সরাসরি গালাগালি না করে, ইসলাম ধর্মের রীতিনীতি এবং ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে 'হেয় ও তাচ্ছিল্য সূচক' মন্তব্য করেন। যা গালাগালিরই নামান্তর।
এদের সবাই আলোচিত-সমালোচিত হতে চান, পেতে চান বিদেশ থেকে পুরষ্কারের ডালি, পাড়ি জমাতে চান পশ্চিমা কোন দেশে। আর এই সবই খুব সহজে অর্জন করা যায় এই দেশে - আমাদের ধর্ম ইসলামকে গালি দিয়ে................
সহিঞ্চুতার পরীক্ষা এদেশের ধর্ম প্রাণ প্রত্যেক মুসলমান সমানে দিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এই 'ইসলাম গালাগাল'কারীদের কাছ থেকে আমরা কি একটু সংযম ও বিজ্ঞতার প্রকাশ আশা করতে পারি না...........?