এক শিশি পটাশিয়াম সায়নাইড, বিশটার মত ঘুমের ওষূধ,আর একটা ধারালো ছুরি সামনে নিয়ে অনেকক্ষণ বসে আছে বকুল।ঠিক কোনটা দিয়ে আত্মহত্যা করবে বুঝে উঠতে পারছেনা। তবে আজকে সে সে তার প্রাণ নিয়েই ছাড়বে। এই সিদ্ধান্তে সে অনড়। একমাস আগে মাকে বলে রেখেছিল পিকনিকে যাবে। চাদার ৫০০ টাকা লাগবে। আজকে সেটা দেয়ার লাস্ট ডেট ছিলো। এখনো টাকার যোগাড় হয়নি। সে আগেই বুঝতে পেরেছিল হবেনা। বার বার মাকে বলেওছিল দেখো মা পারবেতো। মা বলল চিন্তা করিস না হয়ে যাবে। একথা শুনেই তো সে নাম লেখাল। সেই কবে থেকে সবাইকে বলে বেড়াচ্ছে পিকনিকে যাবে। সবাই মিলে অনেক মজা করবে। অনেক রকম ঢং ঢাং করে ছবি তুলবে। বকুলের এক বান্ধবীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে। সে বলেছে সে ছবিগুলো ফেসবুকে দিবে। বকুল সেটা ভেবে খুশীতেই বাচেনি। কত মানুষ তাকে দেখতে পাবে। সে মনে হয় বিখ্যাতও হয়ে যাবে। গত এক সপ্তাহ ধরে সে ঠিক করে কুল পাচ্ছেনা কোন জামাটা পড়লে তাকে ভালো দেখাবে আর কোনটা পড়লে ছবিতে তাকে ভালো দেখাবে। অবশ্য খুব বেশী ভালো জামা তার নেই । তবু সে ভেবেই কুল পাচ্ছেনা। প্রতি রাতে স্বপ্ন দেখছে । কত জায়গায় ঘুরছে বান্ধবীদের সাথে। এভাবে কখোনো ঘুরতে যাওয়াও হয়নি তার। বাসার সামনে নোংরা একটা পার্ক আছে যেটার পাশ দিয়ে হেটে যেতেও ঘেন্না হয়। তার বান্ধবীরা কত জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। বাবাকে সে অনেকবার বলেছে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা। বাবা ম্লান হেসে শুধু বলে “হবে মা হবে”। কবে আর হলো। কখোনো হয়নি আর হবেওনা। এই জীবন রাখার কোনো মানে হয়। তাই সে ঠিক করেছে আজকেই তার শেষদিন। অনেক খুজে খুজে সে আত্মহত্যার সঞ্জামাদি যোগার করেছে। সবচেয়ে বেগ পেতে হয়েছে বিশটা ওষুধ খুজতে ফার্মেসিতে দশটার বেশী দিতে চায়নি। বাসার থেকে পেয়েছে আরো দশটা । ঘুমের ওষূধ দিয়েই নাকি মানুষজন আত্মহত্যা করে। কোনো কষ্টও নাকি হয়না। তাছাড়া পটাশিয়াম সায়নাইড চুরি করছে স্কুলের ল্যাব্রেটরি থেকে সেটা কাজ করবে কিনা কেজানে। ছুরি দিয়ে রক্তারক্তি করার সাহসও তার নেই ।তাই সে ওষুধের দিকেই হাত বাড়ালো একটা খবরেরে কাগজে পেচিয়ে রেখেছে ওষূধ গুলো ।গুনে দেখল বিশটাই আছে। সবগুলো একপাশে আলাদা করে গ্লাসে পানি ঢাললো। সেসময় একটা খবর দেখল কাগজে, এক পরিবারে একটা মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। দৃষ্টি আকর্ষন করল তার । পড়া শুরু করল খবরটা। অভাবের সংসারে ভাই বোন পালা করে খেত। একজন দুপুরে তো আরেকজন রাতে। এক দুপুরে ভাই তার বোনের খাবার খেয়ে ফেলে। এই দুঃখ, হতাশা আর ধরে রাখতে পারেনি বোনটা ক্ষুধার তাড়নায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিল সে। বকুল দেখতে পেল তার চোখের পানিতে কাগজটা ভিজে গিয়েছে। কি তুচ্ছ একটা জেদ ধরেই না ছিল সে..., নিজের উপরেই ঘেন্না হতে লাগল।
আলোচিত ব্লগ
কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন
'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।