কোবা দা দিয়ে কসাই গরু মহিষের মাংস কাটে, এটা নিতান্তই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু সেই দা দিয়ে মানুষের শরীর এভাবে কেউ কাটতে পারে এটা ভাবা যায়না। বাস্তবে এমনটাই ঘটেছে।
ইদুল ফিতরের অগের দিন রাত আনুমানিক ১০টা ৩০ মিনিটে নাটোর সদর থানার লক্ষীপুর বাজারের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও মৎস চাষী জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম কে তার নিজ বাসায় স্থানীয় কিছু চিন্নিত সন্ত্রাসী এভাবে কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু তার অবস্থার গুরুত্ব বিবেচনা করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা পূঙ্গ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। বর্তমানে তিনি পূঙ্গ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।এ ব্যাপারে তার বড় ভাই হয়বতপুর অদর্স মডেল গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক জনাব মোঃ মফিজুর রহমান বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সর্বশেষ খবর হলো ছয় দিন পার হয়ে গেছে এখন পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেপ্তার হয়নি। উপরন্তু আসামীরা বাদীকে মুঠোফোনে হুমকী দিচ্ছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। আমি এ ঘটনার তিব্র নিন্দা জানাই, এবং আশা করি প্রশাসন যত দ্রুত সম্ভব আসামীদের গ্রেপ্তার করে আইনের শাসন সমুন্নত রাখবে। পাশাপাশী আমি সকল ব্লগার ভাই-বোন ও সকল মিডিয়ার কর্মী ভাইদের অনুরোধ করছি এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানোর জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৫৩