অবুঝ শিশুদের আর্তনাদ--'''আমার আব্বুকে ফিরিয়ে দাও'' ;
ভাইয়ের জন্য আহাজারি-- ''আমার সব সম্পত্তি দিয়ে দেব শুধূ একবার লিখেদিন আমার ভাই বেঁচে আছে''' ;
তরুনী বিধবার--'আমি বিধবা!!!'
সন্তানের জন্য মায়ের আর্তনাদ-'আমার ছেলে/বউমা একজনো যদি বেঁচে থাকত'
প্রিয়জন হারানো মানুষগুলোর হাজার হাজার আর্তনাদের বাক্যগুলোয় সারাদেশের মানুষ যখন নির্বাক তখনি আমাদের জাতীয় সংসদে কয়েক ঘন্টার শোক আলোচনায় আমাদের ডিজিটাল প্রধানমন্ত্রী আর নেত্রীর আচঁলে থাকা প্রিয় শিষ্যরা শোক প্রস্তাব বিষয়ক আলোচনা করতে গিয়ে শুরু করে দেয় ননস্টপ চামচালোচনা ।শোক প্রস্তাব বিষয়ক যতগুলো খবর জাতীয় দৈনিকগুলোর ইন্টারন্ট সংস্করনে পড়লাম প্রায় সবগুলো পত্রিকার বক্তব্য ৯৯ভাগই একই রকম।তোফায়েল,সেন,আমু,জলিল,মির্জা আজম,রাশেদ খান মেনন (কেউ যদি কল্লা কাইট্যাও কইবার চাই রাশেদ খান মেনন অন্য দল করে আমি কমু কল্লা কাইট্যা ফেলা তবু বিশ্বাস করুমনা রাশেদ খান মেনন অন্য দলের ) থেকে শুরু করে নানকসহ প্রায় ৯০ভাগ দেশসেবকরা ছিলেন নেত্রীর গুনগান গাইতে ব্যাস্ত ।তবে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন মির্জা আজম।উনার চামচালোচনায় বলেছেন''জীবন বাজি রেখে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকে ইবাদত মনে করে তার পা ছুঁয়ে আর্শীবাদ নিয়ে আমরা সেদিন রক্তাত্ব পিলখানায় গিয়েছিলাম।'''
অমনোযোগী পাঠকদের স্মরন করিয়ে দিতে চাই -বেশ কিছুদিন আগে আমাদের রাষ্টপ্রতি বলেছিলেন, আমার নেত্রী জীবনে কখনও কোনদিন মিথ্যা কথা বলেননি।প্রিয় পাঠক যা বোঝার নিজ দায়িত্বে বুঝে নিন।
পাবলিকের টাকায় হাজার হাজার টাকা খরচ করে নেতারা যখন নেত্রীর চামচামীতে ব্যস্ত তখনি আমাদের বিটিভি করে বসল গতকালের সেরা চামচামী।খালেদা জিয়ার ভাষনের কয়েক মিনিট আগে সম্প্রচার বন্ধ করে দেয় ।আবার হাসিনার বক্তব্যের শুরুতে সম্প্রচার শুরু করে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:৫৯