আমাদের পৃথিবীতে জনসংখ্যা যে হারে বাড়ছে সেই হারে খাদ্য উৎপাদন বাড়ছে না। এর সমাধান খুজতে বিজ্ঞানিরা বিভিন্ন পথ খুজছেন। তাই বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা পোকা মাকড় এর দিকে নজর দিচ্ছে। বিশ্বে প্রায় এক হাজার রকমের পোকা রয়েছে যেগুলো আহারযোগ্য৷ এর বেশিরভাগই যেমন সুস্বাদু, তেমনি পুষ্টিকর৷
পোকামাকড় খেতে সুস্বাদু৷ গরু, ছাগল, ভেড়ার চেয়ে এগুলো পালতে খরচ যেমন কম পড়ে, তেমনি পরিশ্রমও হয় কম৷ এছাড়া এরা গ্রিনহাউস গ্যাসও কম উৎপাদন করে৷ তাহলে আমরা বেশি করে পোকামাকড় খাই না কেন? -এভাবে ভাবতে খারাপ লাগলেও এটাই বলছেন গবেষকরা !
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পতঙ্গ খাদ্য হিসাবে গৃহীত হয়ে আসছে। জাপানে গবুরে পোকা একটি জনপ্রিয় খাবার!!!
কড়া করে ভাজা গুবরে পোকা, শূককীট ও পঙ্গপালের এই মেনুটি কলম্বিয়ায় একটি জনপ্রিয় খাবার৷
কিছু পতঙ্গের খাদ্য মানঃ
লাল পিঁপড়ায় আছে ১৩.৯ গ্রাম প্রোটিন, ৩.৫ গ্রাম চর্বি, ২.৯ গ্রাম শর্করা, ৪৭.৮ মি.গ্রা ক্যালসিয়াম, ৫.৭ মি.গ্রা লোহা।
রেশমি পোকার পিউপায় আছে ৯.৬ গ্রাম প্রোটিন,৫.৬ গ্রাম চর্বি,২.৩ গ্রাম শর্করা, ৪১.৮ মি.গ্রা ক্যালসিয়াম, ১.৮ মি.গ্রা লোহা।
গবুরে পোকায় আছে ১৭.২ গ্রাম প্রোটিন,৪.৩ গ্রাম চর্বি,০.২ গ্রাম শর্করা, ৩০.৯ মি.গ্রা ক্যালসিয়াম, ৭.৭ মি.গ্রা লোহা।
ঘাস ফড়িং এ আছে ২০.৬ গ্রাম প্রোটিন,৬.১ গ্রাম চর্বি,৩.৯ গ্রাম শর্করা, ৩৫.২ মি.গ্রা ক্যালসিয়াম, ৫.০ মি.গ্রা লোহা।
ক্যাটারপিলার এ আছে ২৮.২ গ্রাম প্রোটিন ও ১.৯ মি.গ্রা লোহা।
টারমাইট এ আছে ১৪.২ ও ৩৫.৫ মি.গ্রা লোহা।
কি খাবেন নাকি?