আসুন দেখে নিই কাদের কাদের আমরা বয়কট করবো, প্রতিহত করবো।
১। ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এই ব্যাংকটির মূল কাজ হচ্ছে জামাত-শিবির যারা করে তাদের ঋণসহ নানা ধরণের আর্থিক সুবিধা দেওয়া। অথচ ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে ওরা আমানত নেয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছ থেকে। শায়েখ রহমান ও বাংলা ভাইদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের জরিমানা করেছিল।
২। ইবনে সিনা ট্রাস্ট-জামাতের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে আয়ের বড় অংশ আসে। এই ট্রাস্টের নামে আছে হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ওষুধ কোম্পানি। কর্মীদের লালন-পালন করার আরেক প্রতিষ্ঠান
৩। নয়া দিগন্ত-সংগ্রাম তাদের দলীয় পত্রিকা হলেও তাদের মূল পত্রিকা এখন এটাই। এর মাধ্যমে তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে যেতে চাচ্ছে। অর্থের যেহেতু অভাব নেই তাই কম দামে পত্রিকা বিক্রি করতেও তাদের সমস্যা নেই। এখন আসছে দিগন্ত টেলিভিশন।
৪। মীর কাশেম আলী-আর্থিক দিক থেকে জামাতের মূল লোক। নয়া দিগন্তের চেয়ারম্যান। জামাতের আর্থিক দিকটি তারই হাতে। এক সময় মহানগর জামাত আমীর ছিল, এখন এমন ভাব করে যে সে জামাত করে না। কেয়ারি গ্রুপ তারই। এই গ্রুপে আছে রিয়েল এস্টেট, শপিং কমপ্লেক্স ও কেয়ারি সিন্দাবাদ নামের একটি ফেরি জাহাজ।
৫। শাহ আবদুল হান্নান-সচিব ছিলো। সরকারি চাকরি অবস্থাতেই প্রকাশ্যে জামাত করতো। সেই এখন জামাতের অন্যতম তাত্বিক।
৬। ব্যারিষ্টার আবদুর রাজ্জাক-জামাতের আরেক তাত্বিক। আন্তর্জাতিক যোগাযোগ সেই বজায় রাখে এখন। বর্তমান সরকারের অন্যতম সংযোগ সে
৭। অধ্যাপক শমশের আলী-জামাতের আরেক তাত্বিক। সরকারের সঙ্গে জামাতের আরেকজন সংযোগ। উপদষ্টা পরিবর্তন হলে অথবা পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হলে যারা হবেন তার তালিকায় আছে শমশের আলীর নাম।
৮। পাড়ার কোনার মুদির দোকান বা ছোট্ট লন্ড্রী-এগুলো সব দরিদ্র জামাত-শিবির কর্মী। তাদের আর্থিক সাহায্য দিতে দলের পক্ষ থেকেই পাড়ায় পাড়ায় এসব করে দেওয়া হয়। এলাকার খবরাখবর নেওয়ার জন্যও এটা ভাল একটা উপায়। বিশ্বাস না হলে খোঁজ নিয়ে দেখুন এই সব দোকানে সংগ্রাম রাখা হয় কিনা
৯। ইন্টারন্যাশন্যাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম-এটাও জামাতিদে।
এইটাও বর্জন করুন। আরও আছে- এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি,, মানারত ইউনিভার্সিটি ও স্কুল
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:২৩