স্বাধীনতার পর হইতেই আনোয়ার হোসেন ইত্তেফাকের সম্পাদক। মাঝে মন্ত্রী থাকায় দুই দফা ছিলেন না। ইত্তেফাক দখল লইয়া বহুবার মারামারি হইয়াছে ইত্তেফাকে, খুনও হইয়াছিল, যাহার অন্যতম আসামী মইনুল হোসেন। দেড় বছর আগেও আরশাদ হোসেনকে উত্তম মাধ্যম দিয়া ইত্তেফাক প্রেস হইতে বিতারিত করা হইয়াছিল।
সম্পাদক হইতে নাম কাটিয়া অবশেষে ইত্তেফাক দখলের কাজ সম্পন্ন করিলেন ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেন। এর আগে প্রকাশ হিসাবে নিজ স্ত্রী সাজু হোসেনের নাম গত মাস হইতে ছাপা হইতেছে। আর আজ বাদ গেল সম্পাদক হিসাবে আনোয়ার হোসেনের নাম।
ইত্তেফাক একটি টাকার খনি বলিয়া পরিচিত ছিল। একদা শফিক রেহমান লিখিয়াছিলেন যে বাংলাদেশে দুইটি প্রতিষ্ঠান আছে, একটি হইতেছে সেনাবাহিনী, অন্যটি ইত্তেফাক। সেই ইত্তেফাকের রমরমা অবস্থা আর এখন নাই। কিন্তু তাহাতেও লোভ একটুও কমে নাই ব্যারিষ্টার ও তার পরিবারবর্গের।
আনোয়ার হোসেন কবে দেশে ফিরিতে পারিবেন জানা নাই। যদি ফেরেন তাহা হইলে ইত্তেফাকের পরিণতি কি হইবে, খুনাখনি কোন পর্যায়ে হইতে ইহা লইয়া আমার অন্তত আগ্রহ রহিয়াছে।
বলিয়া রাখি ইত্তেফাক হইতে ব্যারিষ্টার বিরোধী বলিয়া পরিচিত বিখ্যাত সাংবাদিক হাবিবুর রহমান মিলনেরও চাকরি গতকাল চলিয়া গিয়াছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:৩৯