somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি মেয়ের আর্তনাদ ‍ঃ

০৪ ঠা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটি ঘটনা যা আমার হ্নদয়কে অনেক ব্যাতীত করে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে এটি কোন কল্পনা জগতের মনগা কাহীনি নয়, এটি একটি বাস্তব ঘটনা।
সূত্র ঃ আমার এক বন্ধু তার নিজের করা একটি ঘটনা আমার সাথে শেয়ার করেছিল।
পরিচিত ঃ আমার বন্ধু ছিলো রাজেশ নামে। সে ছিলো হিন্দু ধর্মালম্বি। তার সাধে আমার পরিচয় হয় একই মেসে থাকার কারনে। সে একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে সেল্স ম্যান কি হিসাবে কাজ করে। সে ছিল ২৭ বছরের একজন বিবাহিত ছেলে। কিন্তু তার শরীরে গঠন কোন সময়ই তার বয়সের প্রমাণ দিত না।
ঘটনা ঃ রাজেশ সেল্স ম্যান হওয়ায় তার এরিয়ার সেল্স বিভিন্ন মানুষের সাথে পরিচিত ছিল। ঠিব তেমনি ভাবে তার এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের দোকান মালিকের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক ছিলো। ঐ দোকান মালিকের একটি মেয়ে ছিলো। মেয়েটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। মেয়েটির সরকারি একটি পরীক্ষা ছিলো তাদের পাশের শহরে। পরীক্ষা সকালে হওয়ায় মেয়েটি থাকার জন্য একটি জায়য়গা খোজছিলো। এমন সময় মেয়েটির বাবা বলল আমার এক পরিচিত ছেলে ঐ শহরে থাকে। ছেলেটির নাম রাজেশ। তিনি আরও বললেন ছেলেটি খুব ভদ্র। তাই তার বাবা ছেলেটির সাথে যোগাযোগ করে মেয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন এবং রাজেশকে ওনার মেয়ের থাকার ব্যবস্থা করে দিতে বললেন। রাজেশ বলল ব্যবস্থা করবে বলে জানায়। পরের দিন সকাল ৮ টার দিকে রাজেশ মার্কেট যাওয়ার আগে মেয়েটিকে ফোন করে আসার ব্যপারে খোঁজ নিলো। মেয়েটি সে সময় জানালো সে আসবে না। তাই রাজেশ বাড়িতে কাউকে জানানোর প্রয়োজন মনে করল না এবং মার্কেট চলে গেল। সারাদিন মার্কেট করার পর সন্ধা ৬ টার দিকে হঠাৎ রাজেশ এর ফোনে ঐ মেয়েটির নাম্বার থেকে কল আসল। রাজেশ ফোন উঠাতেই ওপার থেকে মেয়েটি বললে ভাই আমি শহরে আইসা বাস স্ট্যান্ড বসে আছি এখন থাকার ব্যবস্থাটা করতে হবে যে। রাজেশ বলল সমস্যা নাই আসেন আমি বাস স্ট্যন্ড আসতেছি আপনি ঐখানে আসছি। রাজেশ বাস স্ট্যান্ড যাওয়ার পর মেয়েটিকে দেখল এবং তার ভিতর একটি কুৎসিত কামনা চলে আসল। সে মেয়েটিকে বলল আমি আপনাকে সকাল ফোন দিছিলাম এই জন্য যে আজ আমার বাসার সবাই চলে গেছে। বাসা সম্পুর্ন খালি। এখন আমি বাইরে খেয়ে বাসায় চলে যাব। এখন আপরি যদি চান আমার সাথে খালি বাসায় যেতে পারেন। তখন মেয়েটি বলল একা বাসায় যাওয়া আমার কাছে ভালো লাগতেছেনা। এখন কি করা যায়। রাজেশ বলল সমস্যা নাই আমি আপনাকে একটি ভালো হোটেলে রাতে থাকার ব্যবস্থা করে দেই এবং সকালে এসে আপনাতে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাব। মেয়েটি রাজি হলো এবং রাজেশ তাকে ভালো একটি হোটেলে ব্যবস্থা করে দিল। হোটেল ম্যনাজার রাজেশকে এন্ট্রি করার কখা বললে রাজেশ তার বন্ধৃর পরিচয় দিলো। রাজেশ এর বন্ধু ছিলো ঐ হোটেলের মালিকের ছেলে। তাই রাজেশ কে আর হোটেল এন্ট্রি করতে হলনা। রাত ৮.৩০ এর দিকে তারা দুজন খাওয়া দাওয়া শেষে রুমে গেল। তখন রাজেশ মেয়েটির সাথে গল্প শুরু করল। প্রায় ১০ টার কাছাকাছি সময় মেয়েটি বলল আপনি এখন চলে যাস আমি ঘুমিয়ে পড়ব। বাইরে তখন প্রচুর বৃষ্টি ছিলো। যাওয়ার আলাপ শুরু করাতেই রাজেশ সরাসরি মেয়েকে বলল আচ্ছা বলুন তো আমি আপনার জন্য নিজের টাকা খরচ করতেছি এবং এই কষ্ট করতেছি। মেয়েটি হেসে বলল আমার বাবার সাথে আপনার ভালো পরিচিতি তাই। রাশেদ হেসে বলল ভূল বললেন। আমি আপনার জন্য এসব করতেছি কারণ আমি আজ আপনার সাখে ইনঞ্জয় করব। মেয়েটি পুরোপুরি হতবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করল কি বলতেছেন এসব। রাশেদ হেসে বলল জি এবং সে আরও বলল আমি হোটেল ম্যনাজারকে বলেছি আপনি একজন কর্লগার্ল। মেয়েটি কেঁদে দিল এবং বলল কি বলতেছেন আমি এখন চলে যাব। রাশেদ হেসে বলল কই যাবেন রাত ১১ টা বাজে আর আপনাকে ম্যানাজার যেতে দিলে তো। এখন চলেন ইঞ্জয় শুরু করি। মেয়েটি চিৎকার শুরু করল। রাশেদ ধমক দিয়ে বলল শুনো তুমি চিৎকার করলে আমি এখন চলে যাব এবং সবাইকে বলব আমার কাজ শেষ আপনারা শুরু করেন। তখন আরও চার পাঁচজন এসে করে যাবে। মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে টয়লেটে চলে গেল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সে সময় সে তার বাবার ফোনে ফোন দিল কিন্তু ফোন বন্ধ আসল। সে টয়লেটে অনেক্ষণ ধরে বসে আছে। রাশেদ অপেক্ষা করে ডাকাডাকি শুরু করল এবং ভয়ভীতি দেখানো শুরু করল। মেয়েটি নিরুপায় হয়ে বাইরে এল। সে রাশেদকে অনেক বুঝালো। কিন্তু রাশেদ নাছোড়বান্দা। সে মেয়েকে অনেক ভয় দেখালো। এমনকি ম্যনাজারকে ফোন দেয়ার হুমকি দেখালো। রাত ১ টা বাইরে নিরবতা, কিন্তু মেয়েটির মনে অশান্তি। শেষমেশ মেয়েটি হার মানল। রাশেদ রাতভর তার কামনা মেটালো। সকাল ছয়টার সময় রাশেদ চলে গেল মেয়েটি তার সবকিছু হারিয়ে বসে রইল। মেয়েটির শেষ পরিস্থিতি আর জানা হলনা। কারণ রাশেদ সকালেই চলে গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাসান মাহমুদ গর্ত থেকে বের হয়েছে

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১২


যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল হাসান মাহমুদের সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। আমি ভাবতেও পারি নাই উনি এতো তারাতারি গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। এই লোকের কথা শুনলে আমার গায়ের লোম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দারিদ্রতা দূরীকরণে যাকাতের তাৎপর্য কতটুকু?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৮



দরিদ্র দূরীকরণে যাকাতের কোনো ভূমিকা নেই।
যাকাত দিয়ে দারিদ্রতা দূর করা যায় না। যাকাত বহু বছর আগের সিস্টেম। এই সিস্টেম আজকের আধুনিক যুগে কাজ করবে না। বিশ্ব অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্তান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্তান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের বিয়ের খাওয়া

লিখেছেন প্রামানিক, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৬৮ সালের ঘটনা। বর আমার দূর সম্পর্কের ফুফাতো ভাই। নাম মোঃ মোফাত আলী। তার বিয়েটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। বাবা ছিলেন সেই বিয়ের মাতব্বর।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে মৈত্রী হতে পারে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০


২০০১ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছে, গত ১৫ বছরে (২০০৯-২০২৪) আওয়ামী লীগ সুদে-আসলে সব উসুল করে নিয়েছে। গত ৫ আগস্ট পতন হয়েছে আওয়ামী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×