জন্ম জন্মান্তর ধরে আমি অপেক্ষা করে আছি কেবল একটি রাত কিংবা একটি মুহূর্তের
কালো সে রাতটা মুড়িয়ে থাকবে রুপোলি জোছনায়
জোছনা তোমার খুব পছন্দের হবে
উছলে পড়া জোছনার বিভ্রমে ফ্যাকাশে তোমায় অভ্যর্থনা
জানাবে চারপাশে উড়তে থাকা জোনাকিফুল
আমি মুগ্ধ হয়ে দেখবো। কখনোবা ছুঁয়ে দিবো
তোমার চুল গড়িয়ে পড়তে থাকা জোছনাবিন্দু।
জোছনা মাখা তোমার কঠিন আঙুল ছুঁয়ে
আমি পূর্ণ হবো
পূর্ণ হবে আমার অস্তিত্ব।
অথবা সে রাতটা হবে শ্রাবণের কোন এক রাত
ঝুম বৃষ্টি নামা সে রাতে
তোমায় খুব কাছে পেতে ইচ্ছে হবে আমার
আলমারির ডান তাকে কর্পূর দিয়ে তুলে রাখা নীল শাড়িটা পরে
আমি তোমার রাধা হবো।
তখন বৃষ্টি মাথায় নিয়ে জমে থাকা জলে পা ভিজিয়ে ছপছপ শব্দ তুলে তুমি আসবে
বিজলীর ছটায় তোমার চুলে,চোখের পাপড়িতে
জ্বলজ্বল করবে বৃষ্টিকণা
আমি লুকিয়ে সে বৃষ্টির ঘ্রাণে মেখে নেবো
আমার নীল শাড়ির আঁচল।
তুমি আমার দেবতা হবে।
তোমার চরণে অঞ্জলি দেবো বৃষ্টিস্নাত আমার নীল শাড়ি।
আমার একুশ কোটি জন্মের প্রতিটি জোছনাপ্রহর কিংবা শ্রাবণসন্ধ্যা
তোমার অপেক্ষায় উৎসর্গ করেছি বারবার
আরো একুশ কোটি জন্ম আমি অপেক্ষা করবো
আমার বুকে ফুটে থাকা রক্তকমল বিছানো পথে
তোমার পদধ্বনি শোনবার
দেবতা,তুমি এসো ।