আমার যেবার প্যারিস দেখার সুযোগ এলো, হাতে মাত্র কয়েক ঘন্টা। ল্যুভরের সামনে লম্বা লাইণ। মোনালিসাকে দেখতে গেলে আর কিছুই দেখা হবে না সেদিন। ভাবলাম, মোনালিসার রেপ্লিকা তো দেখেছি বহুবার। তারচে' 'সাঁজে লিজে 'র দিকে যাই। এটা হলো প্যারিসের বেইলী রোড, চায়ের দোকানে দোকানে আণ্তর্জাতিক আঁতেলদের মহাসমাবেশ, প্রতিদিন, প্রতিরাত। ভাবলাম, এখানে যদি দৈবাৎ সাহাবুদ্দিন, নভেরা কিম্বা পার্থ'র মতো গুনী মানুষদের দেখা পেয়ে ষাই। বেশ গল্প করা যেতো। দেখা পেলাম না ওনাদের কারোরই। মনের দু:খে গেলাম ডায়নার টানেল দেখতে। কি দু:খের ঘটনা, দেশে যেদিন আমার ভাবানুবাদ করা 'অনিচ্ছুক রাজকন্যার কাব্য আর নাছোড়বান্দা ফটোশিকারীদের গল্প' ফিচারটি একটা কাগজে ছাপা হয়, ঠিক তার দুদিনের মাথায় এই টানেলে ডায়নার মৃত্যু হয় রহস্যজনক দুর্ঘটনায়। মান খারাপ হলো। রওণা দিলাম আইফল টাওয়ারের দিকে, কপাল 'ভালো' হলে সুনীলের মতো ঘটনা আজ আমার ক্ষেত্রেও ঘটা অসম্ভব না। তাঁদেরটাও তো এই টাওয়ার এলাকাতেই..। কিন্তু হলো না। এলিভেটরে উঠলাম, নামলাম সিঁড়ি বেয়ে, অনেক সময় নিয়ে। তবু হলো না। তবে অনেক দিন পরে আটলান্টিকর অপর পারে 'ছবির দেশে কবিতার দেশে' মার্কা একটা ঘটনা একবার সত্যি ঘটেছিলো।
পরের অংশটুকু পড়তে এখানে ক্লিক করুন, প্লিজ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৩:৩৭