পোড়ামুখো শহরতলীর শেষচিঠি তুমি সামান্য নও
কিছু সকাল মুড়িয়ে কাগজ বানাই
উড়িয়ে দেই আকাশে
বোকানীলকলমে লিখেছিলে তুমি সামান্য কেউ
রোদপোড়া সেই মিথ্যে অপেক্ষায় সত্য জ্যোৎস্নার।
সেই মিথ্যেধোয়া দগ্ধদুপুর শহরে
গরাদহীন জানালায় খেলা করে একফালি রোদ্দুর।
ছায়া পড়ে
নিটোল শরীরের
অচেনা বাঁকে প্রজাপতি খুঁজেছি।
ঘেমেনেয়ে হাঁপিয়ে ওঠা শহর
ক্লান্তিকর চেয়ে থাকা
হেলেপড়ার পায়তারা
ভারি শরীরটা নিয়ে একপাদুপা করে এগিয়ে আসে
উত্তাপ ছড়িয়ে রোদে লিখে যায়
তুমি সামান্য কেউ।
বোকাশহরটা কখনো বিকেল ছুঁয়ে দেখেনি
হয়তো বিকেলখাতার ওপিঠে কেউ ছিল
উল্টে দেখা হয় নি।
তিনশতাব্দি ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে
একটা চাঁদরাত ভরাজোছনায় শরীর ভেজানো ইচ্ছে নিয়ে।
আজ মেঘধূলো উড়ছে সূয্যদিন বেরসিক
সাদামাটা কৌটায় একরাত বন্দীর ষড়যন্ত্র।
সূয্যটাকে লাটিম বানাই
ঘূর্ণনে তার মাটির বুকে লিখি
তুমি সামান্য নও নীলাদ্রিতা।
সত্য জ্যোৎস্না বরষা হয়েছে
পোড়ামুখো শহরতলীর শেষচিঠি
তুমি সামান্য কেউ
পরিশেষে এসে মিথ্যে বনেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫