কখনো ঝরা পাতা দেখেছো নীলাদ্রীতা। ফাগুনের শেষ বিকেলে কিছু আলো কিছু অন্ধকারে। এলোমেলো তোমার চুল ছুঁয়ে সে পাতা ঠাঁই নিয়েছিল মাটির বুকে।
মাটির বুকে সুখ খুঁজে নেওয়া সেই পাতার খসখসে বুকে এঁকে দেই তোমার আলপনা। পরম নির্ভরতায় ঝরে পড়া সে পাতা রোদে পোড়া তামাটে বুকের মাঝে পুষে রেখেছে তোমায় নীলাদ্রীতা।
তোমার নিমন্ত্রণে আমি সূর্যাস্ত দেখেছি। নীল আকাশ জুড়ে দেখেছি শূন্যতা। ঘরকুনো ছেলের মতো সূর্যের পরাস্ততা।
তুমি কথা দিয়েছিলে। সূর্যের লাল আরক্তিম আভাটা ছড়িয়ে পড়বে যখন পশ্চিম ঈশান কোণে। আমার হাত বাঁধা পড়বে তোমার উষ্ণ বাহুডোরে।
আমি ফিরে এসেছি রিক্ততা বুকে নিয়ে। ঝরা পাতার কষ্ট নিয়ে। বুকের মাঝে হাহাকারগুলো হৃদয়ের আঁধ খোলা জানালার কাঁচ বেয়ে হাপিত্যেশ করে। স্বপ্ন হয়ে ক্রমাগত হানা দেয়। বিলাসিতা তার আকাশচুম্বী। কখনো তোমায় ছুঁড়ে ফেলে নরম তক্তপোষে। আস্বাদনে ব্যস্ত তোমার শরীরের ওম। তুমি জীর্ন ফ্রেমে আটকে রাখা মোনালিসা। যে প্রাণহীনা তোমায় গোগ্রাসে পাওয়ার মাঝেই পাশবিক স্বার্থকতা।
কখনো আবার নির্জন কোনও সূর্যাস্তস্নানে কফির মগে উষ্ণ চুমুকে ঠোঁটের কোণে একটুকরো হাসি সাথে ধীর পদক্ষেপ তোমার। দীঘল কালো খোলা চুলগুলোয় আধিপত্য় অন্ধকারের।
মৃদু আলো আঁধারে শুধালে আমায় "কখনও যদি নীল শাড়িতে তোমার সামনে এসে দাঁড়াই, তুমি কি আমার প্রেমে পড়বে"।
স্বপ্নেরা সেই ঝরা পাতার মতো। কংক্রিট কঠিন বাস্তবতার কাছে বড্ড বেশি অহেতুক। নীলাদ্রীতা নামের মেয়েটির তাই নীল শাড়ি পড়া হয় নি। আর আমারও হয় নি তার প্রেমে পড়া। শুধু জীবনের হিসেবনিকেশে একটা ছোট ভুল হয়ে রয়ে গেছে। সূর্যাস্তস্নানে ভুল।।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩৫