ঠিক হায়েনার মত ওসি প্রদীপ কুমারও টেকনাফের বাসিন্দাদেরকে জীবন্তই খুবলে খুবলে খেয়েছে। তার বিরুদ্ধে ততকালীন সময়ে বিভিন্ন প্রত্রিকায় তার অপকর্মের রিপোর্ট ছাপানো হয়েছে এবং গোয়েন্দা রিপোর্টও ছিল তারপরও ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি কারণ তিনি সরকারের আস্থাভাজন লোক যারা এখন সরকারের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পদগুলি বগলদাবা করে আছেন।
প্রদীপ কুমার দাশ টেকনাফ ওসি থাকাকালীন মাদক নির্মূলের নামে ২২ মাসে ১৪৪টি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। তাতে মারা গেছেন ২০৪ জন। নিহত সবাইকে দেওয়া হয়েছে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের তকমা। সন্ত্রাসী তকমা দিয়ে একই পরিবারের তিন ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে প্রদীপ। এক ভুক্তভোগী নারীও অভিযোগ করে বলেছিলেন, টেকনাফের ওসি থাকাকালীন দুই মেয়েকে ধর্ষণ করেছে প্রদীপ।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টের গাড়ি তল্লাশি কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এই হত্যাই ওসি প্রদীপের সমস্ত অপকর্ম আবারো জাতির সামনে চলে আসে যেটাকে সে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের তকমা দিয়ে আর ঢাকতে পারেনি।
এখন সমগ্র দেশের মানুষ অপেক্ষা করছে প্রদীপ ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের কি সাজা তা দেখার জন্য।
কিন্তু প্রদীপ ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের সাজা হলে কি হবে এ রকম প্রদীপরা এখন সব গুরুত্বপূর্ণ যায়গাতে বসে আসে এদের রুখবে কে?