চুল কাটা নিয়ে কিছুদিন হলো চুলাচুলি শুরু হয়েছে। যারা চুল কেটেছেন তাঁরা যদি প্রতিহিংসা বা অন্য কোনকিছুর বশবতি হয়ে চুল কেটে থাকেন তা হলে তা নিশ্চিতভাবে অন্যায় কিন্তু তাঁরা যদি ভালোর জন্য কিংবা আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটের কথা বিবেচনা করে অথবা সুস্থ পরিবেশের কথা চিন্তা করে কেটে থাকে তাহলে এতো ডামাডোল করার কোন অর্থ হয়না।
চুল কাটাকে কেন্দ্রকরে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার হামছাদী কাজির দিঘীর পাড় আলিম মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মঞ্জুরুল কবিরকে পুলিশ কতৃক আটক এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বরখাস্ত এগুলো কোনটিই ভালো লক্ষণ নয়।
যখন গ্রামে গঞ্জে, পাড়া মহল্লায় এবং শহরের রাস্তাঘাটে বিকৃত চুলের কাটিং-ওয়ালা ছেলেরা আড্ডাদেয় তখন তাদের পাশ দিয়ে হেটে যেতেও ভয় লাগে আর মেয়েরা পারলে ঐ পথ বাদ দিয়ে অন্য পথে যেতে বাধ্য হয়।
রাজনৈতিক মিছিল মিটিং -এ আমরা কি দেখতে পাই? সেখানেও সামনে সারিতে বিকৃত চুলের কাটিং ওয়ালাদের অবস্থান; যাদেরকে দেখলেই আপনার মনের ভিতর একটা ভয়ের উদ্যেগ হবে নিশ্চিতভাবেই। অর্থাৎ ওরা স্বার্থ হাসিলে সৈনিক! আমরা ওদেরকে ব্যবহার করছি।
বিকৃত চুলের কাটিং ওয়ালাদের যারা ব্যবহার করছে তারা বরাবরই ওদের পক্ষে দাড়িয়েছে ওদের পক্ষে কথা বলছে। শুধু কি ওরাই (?) এই পোস্টেও অনেকেই ওদের পক্ষেই কথা বলবে এবং বিভিন্ন যুক্তিও দাড় করাবে।
কে কাকে ল্যাং মেরে সামনে যাবে সেই প্রতিযোগিতায় এই চুলকাটাকে ইস্যু বানিয়ে প্রতিপক্ষদল ছাত্রদেরকে উস্কানী দিয়ে তিলকে তাল বানিয়ে ফেলছে কিন্তু এর সুদূরপ্রসারী যে প্রভাব সমাজে পড়বে তার দায়ভার কে নেবে?