somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এমন একটা ওয়েবসাইট থাকলে কেমন হয়?

১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছি। আমি ঠিক করেছি এই ওয়েবসাইটের সাহায্যে সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের কাছে নোট পৌছে দেব। শিক্ষার্থীরা সাইটটা থেকে ফ্রি নোট ডাইনলোড করে নিতে পারবে। আমি ছাত্রজীবনে ওয়েবে কোন বাংলা নোটের ওয়েবসাইট দেখি নি বলে এই উদ্যোগ নিয়েছি।

শুধু তা-ই নয়। এই ওয়েবসাইটে থাকছে জীবনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিয়ে টিপস, আর্টিকেল। শিক্ষার্থী ছাড়াও বেকার, চাকুরিজীবী, বৃদ্ধ সবারই এগুলো কাজে লাগবে। এটার মধ্যে আরও থাকছে কিছু সফটওয়্যার, প্রেজেন্টেশন(এ্যানিমেশন)।

ইতিমধ্যেই ওয়েবসাইটটার কিছু অংশ তৈরি হয়ে গেছে। http://www.amarnotes.com থেকে আপনি চাইলে এক্ষুণি কিছু নোট ডাউনলোড করতে পারেন। ওয়েবসাইটটার ডিজাইন আমার করা। ফায়ারফক্সে একটু খারাপ দেখায়। তবে আশা করি আইডিয়াটা বুঝবেন।

আমি এখানে এই পোস্টটা দিলাম- প্রথমত, আমার প্রিয় সামহোয়্যার ইনের ব্যবহারকারীদের সাইটটার কথা জানানোর জন্য। দ্বিতীয়ত, আপনাদের কাছ থেকে মতামত নেয়ার জন্য। আসলে এরকম একটা ওয়েবসাইটের প্রয়েজন কতটুকু

***************************************
** বাড়তি সংযোজন **
***************************************
অনেক কমেন্ট দিয়েছেন অনেকে। সবাইকে আবার ধন্যবাদ। কিছু কিছু বিষয় পরিস্কার করে বোঝাতে পারি নি বলে এখানে বলছি:

- আমি মুখস্থ বিদ্যার (পুরোপুরি) পক্ষে নই:
এজন্য আমি কোনো রেডিমেড নোট দিবো না। শুধু স্যাম্পল নোট দিব। যাতে করে শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে মিনিমাম কতটুকু লিখলে চলবে।
আমি মুখস্থবিদ্যাকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাপোর্ট করি, যদি বুঝে মুখস্থ করা হয়।

- আমি শিক্ষকদের মুখের ভাত কেড়ে নেয়ার পক্ষপাতি নই:
কারণ শিক্ষকরা বেতন ও প্রাইভেট পড়িয়ে যে টাকা পান তা দিয়ে তাদের জন্য সম্মানজনক জীবন যাপন করা কষ্টকর। তাই আমি তাদের ইনকামে হাত দিতে চাই না। তবে আমি এটাও চাই না যাতে মেধাবী ছাত্ররা *শুধু* নোট পাওয়ার লোভে প্রাইভেট পড়ুক।

- স্যাম্পল নোট:
অনেকেই মন্তব্য করেছেন। আমি যদি পরীক্ষার খাতায় লেখার মতো নোট দিয়ে দিই তাহলে শিক্ষার্থীরা নোট তৈরি করতে চাইবে না। - বর্তমানে বাজারে অনেক নোট আছে (আইনি ও বেআইনি)। ছাত্ররা তো তাহলে সেখানেও নোট পাচ্ছে। সেখান থেকে দাগিয়ে নিয়ে নোট তৈরি করে ফেলছে। নোটওয়ালারা কাগুজে নোট বিক্রি করছে, আমি অনলাইনে ফ্রি দিচ্ছি। তাহলে ছাত্ররা কি নিজেরা নোট করছে না? অবশ্যই করছে, মেধাবীরা সবসময়ই নিজের নোট নিজে তৈরি করে নেবে। আমি চেয়েছিও তাই। কিন্তু কিছু কিছু শিক্ষার্থী লেখাপড়াই করতে চায় না। তাদের কথা যদি আমি ভাবতে যাই তাহলে আমারনোটস খোলাই হবে না।

তাছাড়া কতটুকু খাতায় না লিখলেই নয় সেটা বুঝতে বুঝতে ইন্টারের অনেক সময় আমার বেহুদা খরচ হয়েছিলো। এই সময়টুকু আমি কাজে লাগাতে পারতাম যদি আমারনোটসের মতো ওয়েবসাইট থাকতো।

- অনেক টপিকের সম্পর্কে বই-ই নেই:
আমার ভাই যখন অনার্সে পড়তো তখন দেখতাম অনেক টপিক সম্পর্কে বাজারে কোন বই নেই, তাই ও ইন্টারনেটে খুজতো। ইন্টারনেটে রেফারেন্স থেকে বিষয়টা সম্পর্কে ধারণা ও নোট নামিয়ে নিতো। এখন, বাংলায় কোনো এমন রেফারেন্স সাইট নেই যেখান থেকে ছাত্ররা বইয়ের চেয়ে এক্সট্রা কিছু তথ্য পাবে। আমি চাইছি রেফারেন্সের একটি বিশ্বাসযোগ্য ওয়েবসাইট হিসেবে আমারনোটস চালু হোক।

- শিক্ষকদের প্রাইভেটপ্রীতি:
(শিক্ষকদের উপর সম্মান রেখেই বলছি) অনেক টিচারকে দেখেছি যারা ক্লাসেই প্রাইভেট পড়ানোর কথা প্রচার করে। তাদের মতে, ক্লাসে পড়ানোর কোনো সময় নেই। অথচ তিনি এক্সট্রা ক্লাস নিতেও রাজি নন। এসব ক্ষেত্রে কোন বিষয় না বুঝলে শিক্ষার্থীরা আমারনোটসে ঢুকে বিষয়টা সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবে।

- ক্লাস মিস গেলে:
আমরা না চাইলেও অসুস্থ হই। কোন কারণে আমি যদি ক্লাস মিস করতাম তখন বিভিন্ন বিষয় আমি বুঝতাম না। এক্সট্রা অনেক কিছু বোঝার উপায় থাকে না ক্লাস মিস করলে। আমারনোটস কোনো ছাত্রকে যদি টপিকটা বোঝার সুবিধা করে দেয় তাহলে তার অবস্থা আমার মতো হবে না।

- গরীব শিক্ষার্থীদের জন্য:
অনেকেই টাকা খরচ করে প্রাইভেট পড়তে পারে না। তাদের জন্য আমারনোটস একটা বড় উপকার করতে পারে। গ্রাম থেকে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীকে আর ক্লাস কামাই দিয়ে, টাকা খরচ করে ঢাকায় আসতে হবে না।

- ছুরি - ভাল না খারাপ:
সব কিছুরই ভাল খারাপ দিক আছে। যারা এই ব্লগে নেগেটিভ দিকগুলো দেখিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ। আপনাদের কমেন্ট থেকে আমার অনেক ভুল ধারণা শুধরে গেছে। সবকিছুরই ভাল খারাপ দিক আছে। তাই বলে তো আর বসে থাকলে চলবে না। কিছু খারাপ দিক থাকলেও (বা খারাপ ব্যবহারের উপায় থাকলেও) আমারনোটসের যে প্রয়োজন আছে, তা আশা করি সবাই বোঝেন।

আমি এবার নিশ্চয়ই আমার মতামত তুলে ধরতে পেরেছি। তবুও যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে কমেন্ট করুন।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮
৪৭টি মন্তব্য ৪৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×