আজকে দেখছি আওয়ামীলীগের কর্মিরা মহা উদ্যোগে পাপিয়ার ফোনালাপ ফেসবুকে শেয়ার করতে। যেহারে স্কাইপি, সাঈদি, আল্লামা শফী, এবং আরো অনেকের কথাবার্তার ডিজিটাল ভার্সন বের হচ্ছে, তাতে এটা নিশ্চিত যে, এর পিছনে সংঘবদ্ধ চক্র কাজ করছে। এই সংঘগুলি দুই উপায়ে এই কাজগুলি করে থাকতে পারে।
১। সত্যিকারের অডিও বের করে-
হয়ত কোনভাবে নেটওয়ার্ক হ্যাক করে অডিওগুলি রেকর্ড করে নিয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সরাসরি সাহায্য নেওয়া ছাড়া মোবাইলের অডিও রেকর্ড করা [যদি মোবাইলের দুই প্রান্তের মানুষ সরাসরি রেকর্ড না করে, সেই ক্ষেত্রে। বেশীরভাগ অডিও রেকর্ড শুনে মনে হয়নি এটা কোন এক প্রান্তের মোবাইলে করা রেকর্ড। কারণ রেকর্ডগুলিতে দুই প্রান্তের অডিও কোয়ালিটি প্রায় একই রকম ছিল। এক প্রান্তে রেকর্ড করা হলে দুই প্রান্তের ভয়েক একই কোয়ালিটির হত না]।
২। মিথ্যা অডিও ভিডিও হলে এইটা স্পষ্ট হয় দেশে একটি গ্রুপ অপর পক্ষের বিপক্ষে মিথ্যা খবর ছড়ানোর জন্যহ একটি দলকে নিয়জিত করেছে যাদের কাজ [ফেক] ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি এবং সেগুলি ছড়িয়ে দেয়া।
উপরের যেই পন্থাটাই সত্য হোক না কেন, এই পন্থাগুলি যে দেশকে কতটা হিংসাত্মক করে তুলছে, সেটা অনুধাবন করার মত বুদ্ধি যারা এটা তৈরি/প্রচার করছে তাদের ঘটে নেই -এইটা নিশ্চিত।
স্কাইপি কেলেঙ্কারিতে জামাত শিবির জড়িত, পরবর্তিগুলোতে আওয়ামীলীগ জামাতের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে। ফটো এডিটিং এ আগে জামাতের বাশেরকেল্লার একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। এখন আওয়ামীলিগের/ছাত্রলীগের অনেক পেজেও একই কারসাজি দেখা যায়।
আওয়ামীলীগের গুরু এখন দেখা যাচ্ছে বাশেরকেল্লা।
বাশেরকেল্লা কয়েকদিন পর পর নতুন ধরনের গু খাওয়া শুরু করে, আওয়ামীলীগ তার পরে পরেই আরো ব্যাপকভাবে সেই পন্থা অনুসরন করে। ব্রাভো ব্রাভো।
নতুন তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী যদি স্কাইপি হ্যাকের জন্য মাহমুদুর রহমানকে ধরা হয়, তবে একই আইন অনুযায়ী পরের ঘটনাগুলির ফেসবুকে প্রচারের জন্য আওয়ামীলীগের হার্ডকোর কর্মীবাহিনিকে কেন ধরা হবে না - এই প্রশ্নটার উত্তর কে দিবে?
নাকি সরকারে থাকলে সব মাফ?!
--
[ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেয়া]