দেশটা দলান্ধ অসুস্থ মানসিকতায় ভরে যাচ্ছে। এখন মুসলিমরা যারা বিএনপি বা আওয়ামীলীগ করে, তাদের পরিচয় তারা আগে বিএনপি বা আওয়ামীলীগার, তারপরে যদি কোন জায়গা ফাকা থাকে, তবে মুসলিম।
একজন ছাত্রলীগ করলে কি সে মুসলিম আইডেন্টিটিটা ভুলে যায়? দলই বড় হয়ে যায় মুসলিম আইডেন্টিটির চেয়ে? একজন মুসলিমের কাছে দুনিয়ার সব কিছুর চেয়ে মহানবী(সাঃ) এর প্রতি আবেগ-শ্রদ্ধা আগে হওয়ার কথা - যদি সে সত্যিই নিজেকে মুসলিম বলে দাবী করে। অথচ মহানবী(সাঃ) কে কটুক্তিকারীদের বিচার চেয়ে যে আন্দোলন, সরকারী দলের শত বাধা বিপত্তি আর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে যে আন্দোলন, সেই আন্দোলনে শরীক মুসলিমদের ফেরত যাবার পথে কেমন করে একজন মুসলিম তার মুসলিম সত্ত্বা বিসর্জন দিয়ে শুধুমাত্র দলীয় অন্ধ আনুগত্যের প্রদর্শন স্বরুপ বাস থেকে নামিয়ে নির্দয়ভাবে আঘাত করে ক্ষতবিক্ষত করে?
এটাই কি মুসলিমদের চরিত্র? এই শিক্ষাই কি সে পেয়েছে তার পরিবার/সমাজ থেকে?
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষতে ধন্যবাদ এইরকম হীন মানসিকতাকে প্রশ্রয় না দেবার জন্য। তবে এর শাস্তি হিসেবে শুধুই বহিস্কার করাটা কেমন জানি গরু মেরে জুতা দানের মত লাগছে। আর এর সাথে শুধু একজন জড়িত ছিল না। যারা যারা জড়িত ছিল, সকলের শাস্তি কাম্য।
=========================
খবরঃ
দাঁড়ি-টুপিধারীদের ওপর চড়াও ছাত্রলীগ নেতা অবশেষে বহিষ্কার
নিজস্ব প্রতিনিধি
আরটিএনএন
জাবি: হেফাজতে ইসলামের ডাকে লংমার্চ শেষে শনিবার রাতে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ধর্মপ্রাণ মানুষ।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেটের সামনে বাস থামিয়ে দাঁড়ি-টুপিধারীদের খুঁজে খুঁজে বেধড়ক মারধর করতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা ক্লান্ত-শ্রান্ত লংমার্চকারীদের আর্ত চিত্কারে এ সময় ওই এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। এ ঘটনা দেখে দাঁড়ি-টুপিধারীদের রক্ষায় ছুটে যান বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক নূরুল হক। এ সময় তার ওপরও হামলা করে বসেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহমেদ রাসেল।
এ ঘটনার খবর শুনে তাত্ক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ভিসি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের বাড়ি ঘেরাও করে শিক্ষক ও দাঁড়ি-টুপিধারীদের মারধরকারী রাসেলসহ ছাত্রলীগ কর্মীদের শাস্তি দাবি করেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে গভীর রাতে ভিসি নিজ ক্ষমতাবলে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদককে সাময়িক বহিষ্কার করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ড. এমএ মতিন ও প্রক্টর ড. সোহেল আহমেদের উপস্থিতিতে শিক্ষক সমিতি, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম এবং অন্য শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর রাত পৌনে দুটায় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহমেদ রাসেলকে ভিসি নিজ ক্ষমতাবলে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেন।
বৈঠক শেষে ভিসি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশর ১২(১) ধারা অনুযায়ী রাজীবকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘ভিসির তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে আমরা খুশি হলেও তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বাস্তবায়ন দেখতে চাই।’
======================
সূত্রঃ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩