আওয়ামীলীগ পুরোপুরী বামদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গিয়েছে। সরকারে বাম, দলে বাম, মিডিয়ায় বাম - ইচ্ছেমত মিথ্যাচার করে শেখ হাসিনাকে ভুল পথে পরিচালিত করছে। ইসলামের মুখোমুখি দাড় করিয়ে দিয়েছে।
শেখ হাসিনা ভুলে যাচ্ছেন- বামদের এই তর্জন গর্জনই সার। সারা দেশে বামদের ১০% ও জনসমর্থন নাই।
ইসলামকে দেশ থেকে মুছে দিতে পারাটাই বামদের লক্ষ। নিজেদের লড়ার ক্ষমতা নাই জন্য দলে দলে বাম আওয়ামীলীগের উপরে ভর করে আওয়ামীলীগকেই তাদের ব্যক্তিগত এই লড়াইয়ে শামিল করছে।
এখন দেখা যাচ্ছে বামরাই মিডিয়া-ব্লগে একচ্ছত্র প্রভাব খাটাচ্ছে। বাম-মাত্রই দেশপ্রেমিক - বাম মাত্রই প্রগতিবাদী - এইরকম প্রচারণা চালাচ্ছে।
ইসলাম বিদ্বেষীতা বামদের একটা ফ্যাশন। এই ফ্যাশনে শরিক হয়ে অনেকেই নিজেদের স্মার্ট জাহির করে। ইসলামকে যে যত বেশী কটাক্ষ করতে পারবে, বামদের আড্ডায় তার কদর তত বেশী - এই রকম অসুস্থ মানসিকতার একটা প্রতিযোগীতা চলছে।
এই স্মার্টনেস দেখাতে গিয়ে বর্তমানে ডিবির হাতে আটক শুভকে বামরা দেশপ্রেমিক বলে প্রচারণা চালাচ্ছে। তার (শুভর অথবা থাবা বাবা ওরফে রাজীবের) ইসলামকে কটাক্ষ করে লেখাগুলির কথা উঠলে বলে উঠে বাক-স্বাধীনতা! বাক-স্বাধীনতা মানে কি চটি লেখা? বাক-স্বাধীনতা মানে কি প্রতিপক্ষের মা-বোনকে নিয়ে ইচ্ছেমত চরমতম অশ্লীল রসালো গল্প বানানো? অবশ্যই না। প্রতিটা জিনিসেরই একটা সীমারেখা আছে। এই বামদের মা- বোনদের নিয়ে যদি অশ্লীল/রসালো কথা শুরু করেন সে কি বাকস্বাধীনতার দোহাই দিয়ে চুপ থাকবে? নিশ্চয়ই না। নিজেদের ক্ষেত্রে এরা বাকস্বাধীনতার একটা সীমারেখা টানবে, কিন্তু নিজেদের দলের লোক ইসলাম নিয়ে কুরুচীপূর্ণ কটুক্তি করলে তাদের পিঠ চাপরে দিবে। এর প্রতিবাদে কেউ তাদের শাস্তি চাইলে বাকস্বাধীনতার বুলি আওরাবে। কি চমৎকার স্ববিরোধীতা।
আওয়ামীলীগের সামনে এই একটা বিরাট সুযোগ, নিজেদের শরীর থেকে
পরগাছা বামদের ঝেটিয়ে বিদায় করে দেবার। আওয়ামীলীগ যদি সত্যিই এই কাজটা করতে পারে, তবে জনগণ আওয়ামীলীগকে নতুনভাবে গ্রহণ করবে, এবং সেটা হবে আগের চেয়ে অনেক বেশী জোড়াল।
নচেত বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে আওয়ামীলীগ ডাইনোসারের বর্তমান পরিণতি বরণ করবে।