ফেবু হতে কপি করে দিলুমঃ
১। আপনি কি হেফাজতে ইসলামীর ১৩ দফার সাথে একমত? 'শাহবাগ আন্দোলনকারিরা নাস্তিক' বলে হেফাজতে ইসলামের এই দাবীর সাথে আপনি কি একমত?
২। কেনো চট্রগ্রামে মহাসমাবেশ কারা প্রতিহতের ঘোশনা দিয়েছিলো?
৩। ২৪ ফেব্রুয়ারী কারা হরতাল ডেকেছিলো?
====
১। আপনি কি হেফাজতে ইসলামীর ১৩ দফার সাথে একমত? 'শাহবাগ আন্দোলনকারিরা নাস্তিক' বলে হেফাজতে ইসলামের এই দাবীর সাথে আপনি কি একমত?
উত্তরঃ দাবীগুলো প্রায় সবগুলোই ইসলামের মূল ভাবধারার সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত।
সংবিধান সম্পর্কিত যে দাবি - সেটা কৌশলগত - সেটার মূল কারণ হল - যাতে ভবিষ্যতে কোন ক্ষমতাশীল সরকারী দল ধর্মবিরোধী কোন আইন করার আগে ১০০ বার ভাবে - সেই জন্য।
শাহবাগের আন্দোলনকারীরা নাস্তিক - এইটা বলার কারণ - নবীকে নিয়ে অশ্লীল পোষ্টের বিরুদ্ধে [থাবা বাবা কাহিনীর পরে] যখন ২৪শে ফেব্রুয়ারী ইসলামপন্থী দলগুলী হরতাল ডাকে - তখন শাহবাগে দাঁড়িয়ে এই ইমরানই এইটাকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়। সেক্ষেত্রে ইমরান এবং তার সাথে যারা ছিল - তওবা এবং পুনঃ কালিমা পাঠ ব্যতীত তাদের ইমান আছে কি নাই - সেইটা আপনিই বিবেচনা করুন।
হেফাজতের দাবী সব ব্লগার নাস্তিক - এইটা ভুল। এইটার উত্তর পাবেন নিচের পোষ্টে-
কালের কণ্ঠ : সব ব্লগারের বিরুদ্ধে আপনাদের এই আন্দোলন, নাকি নির্দিষ্ট কিছু ব্লগ ও ব্লগারের বিরুদ্ধে?
আল্লামা শফী : আমাদের আন্দোলন ঢালাওভাবে সব ব্লগ বা ব্লগারের বিরুদ্ধে নয়। অনেক আলেম ও ধর্মপ্রাণ ব্লগারও আছেন। আমাদের আন্দোলন কেবল সেসব ব্লগারের বিরুদ্ধে, যারা মুক্তচিন্তা ও বাকস্বাধীনতার আড়ালে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ, প্রিয় নবী রাসুল (সা.), পবিত্র কোরআন ও ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে জঘন্য কুৎসা ও অবমাননায় জড়িত। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ ছাড়াও দেশের শান্তিশৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে এবং সভ্যতা-ভব্যতা ও গণতন্ত্রের কোনো মাপকাঠিতেই এমন কুৎসা ও অবমাননা মেনে নেওয়া যায় না। ওরা ইসলামের এমন জঘন্য অবমাননা করেছে, যা পশ্চিমা বিশ্বের কোনো অমুসলিমের মুখেও কখনো শোনা যায়নি। শুরু থেকেই আমরা ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতিষ্ঠা, ইসলামবিরোধী নারীনীতি ও ধর্মহীন শিক্ষানীতির বিরোধিতা করে আসছি। অথচ কয়েক বছর যেতে না যেতেই বর্তমান সরকারের গৃহীত এসব নীতির মারাত্মক কুফল শুরু হয়ে গেছে।
Click This Link
২। কেনো চট্রগ্রামে মহাসমাবেশ কারা প্রতিহতের ঘোশনা দিয়েছিলো?
উত্তরঃ চট্টগ্রামের মহাসমাবেশ প্রতিহতের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল কারণ তার আগেই ২৪শে ফেব্রুয়ারী ইসলাম বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে করা হরতাল প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছিল ইমরান এবং তার দল। তাই ইমরানের বিরুদ্ধেই শুধু ঐ কর্মসূচী। ইমরান ব্যতীত অন্য কোন গণজাগরণের সমাবেশে হেফাজতের প্রতিহতের কোন ঘোষণা ছিল না। এমনকি চট্টগ্রামেও ইমরান ও তার দল না থাকলে গণজাগরণের মঞ্চের কোন বিরোধীতা করা হবে না বলেও ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।
৩। ২৪ ফেব্রুয়ারী কারা হরতাল ডেকেছিলো?
উত্তরঃ আপনি যদি এখন আমারে এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন, আমার আর কিছুই বলার নাই। ২৪শে ফেব্রুয়ারীর হরতালে জামাত ছিল না, ছিল কওমীপন্থী ইসলামিক দলগুলি।
==========================
==========================
শাহরিয়ার কবিরের এই হরতালকে আপনারা কি চোখে দেখেছেন বুঝতেছি না। তবে এটা দৃশ্যতই নাস্তিকতা রক্ষার হরতাল।
ধর্মবিদ্বেষীরা কট খাওয়ায় হনু ব্যতীত কারো হতাশ হবার কথা না। ব্লগার হিসেবে না, নাস্তিক হিসেবেও না - তাদেরকে আটক করা হয়েছে উগ্রপন্থী, কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী প্রচারের কারণে।
কিন্তু হনু কট খাইলে নাস্তিকতার প্রচার করবে কে? তাই নাস্তিকতার স্বার্থেই মৌলবাদী হনুদের রক্ষা করা জরুরী। সেই জন্যই এই হরতাল।
সহমত হইলে আওয়াজ দেন।
=========================
পরের পর্বগুলিঃ
দ্বিতীয় কিস্তিঃ
১। নাস্তিকতা নিয়ে লেখা হয় অনেক আগে থেকে, ইসলাম নিয়ে বাংলা ব্লগে কটুক্তিও করা হয় অনেক আগে থেকে, তাহলে এই যুদ্ধাপরাধীর বিচারের সময়েই কেন কওমীপন্থী আলেমদের আন্দোলনে নামতে হবে?
২। জামাতের বিরুদ্ধে হেফজতে ইসলাম কথা বলছে না কেন?
৩। তাহলে এখনকার বর্তমান এজেন্ডায় এই ব্যাপারে কোন কথা নেই কেন?
তৃতীয় কিস্তিঃ
১। ইসলামের হেফাজতকারী তো আল্লাহ্ই তবে হেফাজতে ইসলামের ইসলাম হেফাজতের কী দরকার!
২। হেফাজতে ইসলাম জামাতের বি টিম।
৩। হেফাজতে ইসলামের দাবীগুলি মধ্যযুগীয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭