বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘ আট মাস স্কুল,কলেজ সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো, বন্ধ রাখা হয়েছে।
আর এমন অবস্থায় থাকাতে কোনও ভাবে পরিক্ষা নেয়া সম্ভব হচ্ছিল না তাই বছর শেষে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে অ্যাসাইনমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে।তবে এতে কতটা লাভবান হবো আমরা বা আমাদের দেশের শিক্ষাথীরা সেটা ভাবনার একটা বিষয়।কেননা এখনো
পযন্ত অনেক শিক্ষাথী আছেন যাদের মধ্যে অ্যাসাইনমেন্ট সম্পর্কে কোনও ধারনা পযন্ত নাই।যেমন কিভাবে লিখতে হবে কিভাবে
অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করতে হবে এবিষয়গুলো অধিকঅংশ শিক্ষাথীরাই জানেনা।এখন এমন একটা পরিস্থিতি দাড়িয়েছে যে
ওট ছেরি তোর গায়ে হলুদের আগে বিয়ে।
যেমনঃ যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রাবণী সূর জানিয়েছেন, সপ্তাহের শুরুতে একদিন শিক্ষার্থীর অভিভাবক বা পরিবারের অন্য কোন প্রতিনিধি স্কুলে গিয়ে সেই অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে আসবেন।
সেসময় অভিভাবকদের ফোনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর সাথে শিক্ষকরা কথা বলেন।
একইভাবে সপ্তাহের শেষে স্কুলে গিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেন অভিভাবকেরা। বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের প্রত্যেককে আলাদা সময় দেয়ার কথা।
ঠিক কেমন অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হয় তার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলছেন, "যেমন ধরুন ক্লাস নাইনে কপোতাক্ষ নদ কবিতার মূল বক্তব্য কি, তাতে দেশপ্রেম বিষয়টি কিভাবে এসেছে এবং দেশপ্রেমিক নাগরিকের দশটি গুণাবলি কি সেগুলো নিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট করতে বলা হয়েছে।"
তিনি বলছেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নে শিক্ষক কোন নম্বর দেন না। বরং শিক্ষার্থীর কাজের মান সম্পর্কে মন্তব্য করা হয়।
আমার কথা হলো টু থ্রী বা ৫ম শ্রেণীর একজন এতটা মেধা সম্পূণ্য নাও হতে পারে বা এতটা বুদ্ধিতৃপ্ত না হতে পারে। এতে করে
ওই সকল শিশুদের মাথায় একগাধা বুজা চাপায়া দেয়া হলো।
যাইহোক যাদের অ্যাসাইমেন্ট সম্পর্কে ধারনা শক্তি কম তারা গুগলে সার্চ করে দেখতে পারেন। অ্যাসাইনমেন্ট সম্পর্কিত নানা বিষয় নিয়ে অর্থাৎ যাদের কাছে অ্যাসাইনমেন্টের নানা ইস্যু বা যে বিষয়ে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হচ্ছে তার বিষয়বস্তু সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই তারা গুগলের দ্বারস্থ হতে পারেন।
চাইলে এখান থেকে পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৬