somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেরিডিয়ান ক্ষুদে গানরাজঃ হুমায়ুন আহমেদ, যুবতী বউ শাওনের বিচার রঙ্গ এবং সাংবাদিকের কাণ্ডজ্ঞান

০৮ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২০১০.......

টিভি পাগল,বউ পাগল,নেশা পাগল,ভাবের পাগল,স্বার্থের পাগলসহ দুনিয়াতে হরেকরকম পাগলে ভরপুর।আমিও তার মধ্যে একজন।তবে আমি খিচুরি পাগল।খিচুরী রান্না করে ১০০ মাইল দুরে আমাকে দাওয়াত দিলেও আমি যেতে রাজী আছি। ঘনিষ্ট যারা জানে তারা খিচুরি রান্না করলে আমাকে না খাইয়ে খাবেনা।এই কারণে কাছের বন্ধুটির বাসায় আমার প্রায় খিচুড়ির দাওয়াত পড়ে।আর এই খিচুড়ি খেতে গিয়েই আমি ইন্ডিয়ান বেশ কিছু চ্যানেলের সাথে পরিচিত হয়।আমরা ২ বন্ধু যখন সপসপে ব্যস্ত তখন ভাবী এক মনে এক ধ্যানে এই চ্যানেলগুলো দেখতে ব্যস্ত।ইন্ডিয়ান জনপ্রিয় চ্যানেলগুলো মূলত ২ রকমের।সংবাদ ভিত্তিক এবং বিনোদন ভিত্তিক।যে চ্যানেলগুলো সংবাদ দেখায় সে চ্যানেলগুলো শুধু সংবাদ,সংবাদ বিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠান,টকশো,রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত।আর যে চ্যানেলগুলো বিনোদন নিয়ে ব্যস্ত সে চ্যানেলগুলোর কিছু চ্যানেল ব্যস্ত গাঁজার নৌকা হাওয়ায় ভাসে টাইপের সিরিয়াল প্রচারে আর কিছু চ্যানেল ব্যস্ত বিভিন্ন রকম প্রতিযোগিতা নিয়ে।এই প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানগুলো ৫বছর বয়সী থেকে শুরু করে যে কোন বয়সী পর্যন্ত গানের প্রতিযোগিতা,পোশাক প্রতিযোগিতা,রান্না প্রতিযোগিতা,সুন্দরী প্রতিযোগিতাসহ অনেকরকম প্রতিযোগিতা।এই প্রতিযোগিতাগুলোর বিচারকদের মধ্যে কাইজ্জা একটা কমন দৃশ্য।

যাই হউক হিন্দী চ্যানেলগুলোর বিভিন্ন প্রতিযোগিতার অনুকরণে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে সুন্দরীদের চামড়ার প্রতিযোগিতা কিংবা সেরা কণ্ঠ প্রতিযোগিতা বাংলাদেশে শুরু করে প্রথম চ্যানেল আই।গানে আওয়াজ তোলো প্রানে স্লোগানের সেরা কন্ঠ বেশ জনপ্রিয় হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোতে শুরু হয়েছে বিভিন্ন বয়সীদের গানের প্রতিযোগিতা।এই গানের প্রতিযোগিতার অন্যতম একটি প্রতিযোগিতা ক্ষুদে গানরাজ।বেশ কয়েক বছর ধরে চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে।শিশুদের নিয়ে এর আগে এত বিশাল করে কোন আয়োজন কোন চ্যানেলে হয়নি।এই কারণেই ক্ষুদে গানরাজ প্রতিযোগিতা দেশে বিদেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে।কোমল মতি শিশুদের কন্টে আসতে থাকে কাল সারারাত ছিল স্বপ্নের রাত ঘুম ছিলনা দুটি চোখের পাতায়/রুব্বানে নাচে কোমর ঢুলায়া/বন্ধু যখন আমার বাড়ির সামনে দিয়া হাইট্যা যায় বুকটা ফাইট্যা যায়/খায়রুনলো তোর লম্বা মাথার চুল/ভালবাসবো বাসবরে বন্ধু তোমায় যতনে সহ বড়দের গান।ভালবাসা বিরহ ,ছ্যাঁকা, খুল্লাম খুল্লা বাসর রাতের গান সহ যত রকমের গান আছে সব রকমের গানই এই শিশুরা গাইছে বিচারকদের সামনে।

কি শিখছে এই সব অনুষ্ঠানগুলো থেকে কোমলমতি শিশুরা সেই প্রশ্নটি করা হয়ত বেকুবের মত হয়ে যেতে পারে।বেশ কয়েক মাস আগে পড়শীর একটি মিউজিক ভিডিও দেখে রীতিমত স্তব্দ হয়ে গেলাম।ক্লাস ৭ পড়ুয়া মেয়েটির ভিড়িও দেখুন

এই ভিডিও করার জন্য যে বয়সের দরকার সেই বয়স কি পড়শীর হয়েছে?বিভিন্ন ব্লগে এই নিয়ে বেশ সমালোচনা করেছে ব্লগাররা।আরেফীন রুমিকে নিয়ে বেশ মন্তব্য করা হয়েছে।অনেকেই মানতে পারছেননা আরেফীন রুমির ভীমরতি।
কিন্তু কাদের হাত ধরে পড়শীরা আসছে?পড়শীর মত অন্য শিশুরা কাদের সামনে গান গেয়ে পড়শী হচ্ছে সে খবর কতজনই রাখে?তাহলে এই ভিডিওটি দেখুন

বিচারক হুমায়ন আহমেদ শাওনের বিচারের নমুনাও দেখুন।হুমায়ন আহমেদের মত একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব উনার যুবতী বউ নিয়ে যে অনুষ্ঠানে শিশুদের উৎসাহ দিচ্ছেন শাওন যখন কোন শিশুর শাশুড়ী সাজেন তখন হুমায়ন আহমেদের মিটিমিটি হাসি দেখার মত।অনেকেই এখন আমার ১৪গুষ্টি উদ্ধার করতে পারবেন।আরেফীন রুমিরা ডিজুস শিল্পী।ওদের কোন দায়বদ্ধতা নেই সমাজের প্রতি।টাকার জন্য ওরা নেংটা হয়েও মিউজিক ভিডিও করতে পারবে ।কিন্তু হুমায়ন আহমেদের মত মিডিয়া সুশীলদের দায়বদ্ধতা বলতে কিছু কি নেই? থাকবেই বা কেন?গ্রামের কোন বুইড়া যুবতী মেয়ে বিয়ে করলে সেটা হয়ে যায় ভীমরতি আর হুমায়ন আহমদ করলে সেটা হয় ভালবাসা এরশাদ করলে সেটা হয় লুচ্চামি আরেফীন রুমি করলে সেটা হয় বদমাইশি। কিন্তু আরেফীন রুমিদের সাথে এমন মিউজিক ভিডিও করার পাশ মার্ক যারা দিয়ে আসছেন তাদের ১৪ গুষ্টি কেউ উদ্ধার করেনা।পড়শীর এই বয়সের বডি ফিজিক্স নিয়ে সমালোচনার সুযোগটি কতজনই বা হারাতে চাই? পুরো ভিডিওটি ভাল করে দেখুন। আপনি হুমায়ন আহমেদও উনার যুবতী বউয়ের ভাঁড়ামির পরই দেখবেন সেলিম চৌধুরীর প্রশ্নে পিচ্চি মেয়েটি কি বলছে । ৯-১২বছরের একটি পিচ্চির কাছে দেহ পূজি করে শিল্পী হওয়া মিলা শ্রদ্ধেয়া মিলা..

২০১১
২০১০ এর পর ২০১১ সালেও ক্ষুদে গানরাজ শুরু হয়ে ৩ ভাগের ২ভাগ প্রায় শেষ। আর এরই মধ্যে ঘটে গেছে একটি ঘটনা।যা ঘটেছে — ফলাফল ঘোষণার আগেই মঞ্চে সেন্সলেস হয়ে গিয়েছে মেরিডিয়ান-চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজের এক প্রতিযোগী।মেরিডিয়ান-চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ প্রতিযোগিতার অন্যতম বিচারক ফেরদৌস আরা এ সম্পর্কে বলেন, ‘প্রতিযোগিতার অতিরিক্ত টেনশন ক্ষুদে প্রতিযোগীরা নিতে পারছে না। তাদের মধ্যে সব সময়ই বাদ পড়ার আতঙ্ক বিরাজ করছে। আর এ কারণেই এমন ঘটনাটি ঘটেছে বলে তিনি মনে করেন।

আফসোসের বিষয় এই ঘটনাটি যে সাংবাদিকের কারণে ব্লগে জানতে পারলাম সে সাংবাদিক দ্বিতীয়বারের মত এই অনুষ্ঠানে গিয়ে অতিথি হিসেবে গিয়ে ব্লগে এসে বিজ্ঞাপন দেয় — আজ প্রচারিত হবে ক্ষুদে গানরাজে প্রতিযোগী সেন্সলেস হওয়ার পর্বটি .. ২য় বারের মত অতিথি হয়ে গেছি । সাংবাদিকের কান্ডজ্ঞান নিয়ে কমেন্ট করায় আমি হয়ে যায় শিবির এবং ব্লক!! গত পোস্টে বলেছিলাম হাসিনা-খালেদার পা চাটার জন্য আছে একপাল অমানুষ যারা সংসদে গিয়ে হাসিনা-খালেদার পা চামচামির প্রতিযোগিতায় মুজিব-জিয়ার কাফনের কাপড় নিয়ে টানাটানি করে। আজ বলছি দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিরা কোটি কোটি টাকা খরচ করে পত্রিকা আর টেলিভিশন খুলে একপাল অমানুষকে মিডিয়ায় ছেড়ে দিয়েছে।যাদের মানসিকতা রাজনীতিবিদদেরই মত।যাদের কাছে টেলিভিশনে নিজের খোমা দেখিয়ে ভেটকানোর নামই সাংবাদিকতা।

ক্ষুদে গানরাজ যে বাংলাদেশে কি প্রভাব ফেলেছে তার কিছু নমুনা দেখুন।


ইভটিজিং নিয়ে কত চিৎকার দেখুন বিনোদন দুনিয়ার অবস্থা ।কি শিখবে এইসব ভিডিও দেখে শিশুরা?

আমাদের আগামী প্রজম্মকে আমাদেরই বাঁচাতে হবে ।আর কতদিন রাজনীতিবিদদের চামচা হেয় থাকব?ব্লগে পোস্ট দিলে প্রায় সবাই সহমত জানায় সচেতন পোস্টের জন্য ধন্যবাদ দেয়।কিন্তু কি লাভ আমাদের সচেতনতার?যে সচেতনতা আমাদের সমাজের অনাচার,আমাদের সংস্কৃতির ধ্বংস ঠেকাতে পারছে না সে সচেতনতা কি অর্থহীন নয়?বাস্তব সত্যি হচ্ছে আমরা সচেতন।সবই বুঝি ।কিন্তু আমরা শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়ার আঁচল থেকে বের করে আনতে পারিনি আমাদের সচেতনতা।ভারত-পাকিস্তান দুটি শত্রু দেশ একসাথে বসে খেলা দেখে আর আমরা হাজার হাজার মাইল দুরে বসে কে পাকিস্তান সাপোর্ট করা মানেই রাজাকার,ভারত সাপোর্ট করা মানেই ভারতের দালাল এসব নিয়ে একজন আরেকজনের দেশপ্রেম হরণ করি।আসুন আগামী দিনের ভবিষৎদের আমরা রক্ষা করতে এইসব অনুষ্টান বর্জন করি প্রতিবাদী হয়।
--
দুটি পোস্ট একত্রে এবং আরো গুছিয়ে লেখার চেষ্টা নুতুন করে।এর আগে পোস্ট দুটি আমার সত্য সুন্ধানী আমি নিকে ছিল।রাতের আধাঁরে আমার পুরো ব্লগই বাতিল হয়ে যায়।এই পোস্টগুলো বিডি নিউজ ২৪ প্রথম আলোর মত কটোর মডারেশনের ব্লগগুলোতেও বহাল তবিয়তে আছে।যারা আগে পড়েছেন ফেসবুকে শেয়ার দিয়েছেন সবাইকে ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:০৭
২১টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×