

প্রথমেই আমি দুঃখ প্রকাশ করছি আমার এই শিরোনামের জন্য।কিন্তু কার কাছে দুঃখ করব? আপনি কি বলতে পারেন আমাদের দেশে কয়টা ইউনিভার্সিটি আছে যা সন্ত্রাস মুক্ত?গ্রাম-গঞ্জ থেকে হাজার হাজার ছেলে মেয়ে শহরে যায় অনেক অনেক আশা নিয়ে, তারা বড় হবে, মানুষ হবে, মা-বাবার মুখে হাসি ফুটাবে, দেশ-জাতির জন্য কিছু একটা করবে, বিশ্বের বুকে উচু করবে আমার দেশের নাম, সম্মান, ইজ্জত। কিন্তু তারা কতোটুকু সফল হতে পারছে? আমাদের দেশের সমাজ কি ছাত্রদের কে এ সুযোগ টুকু দিচ্ছে? তাহলে কেন ছাত্রাবাসে রাজনীতি নামের নোংরা বিষ প্রবেশ করবে? কেন শিক্ষকরা লাল- নীল- হলুদ- বেগুনী ইত্যাদি দলে বিভক্ত হবে?ওনাদের দ্বারা কি ছাত্ররা প্রভাবান্বীত হচ্ছেনা?আজ যারা সরকারী দল করবে তারা ভাল চাকুরী পাবে, বখাটে ছাত্র হয়েও তারা বিসিএস এ পাশ করবে!!!! ভাল মেধাবী ছাত্ররা পিছে পরে থাকবে, এটা কেমন শিক্ষানীতি???
হরতাল করে করে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান গুলো দিনের পর দিন সেশন জটে ফেলে দিচ্ছে, ৪ বছরের অনার্স ৫/৬/৭ বছর লেগে যাচ্ছে, এতে কি আমরা নিজেরাই ক্ষতিতে পরছিনা?প্রধান মন্ত্রী, মন্ত্রীদের ছেলে- মেয়েরা বিদেশে উচ্চশিক্ষায় মননিবেশ করছে আর আমাদের মত গরীবরা দুকে দুকে মরছে, এটা কেমন সমাজ?
বিশ্ব যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে আমারা দিন দিন পিছিয়ে যাওয়ার জন্য পাল্লা দিচ্ছি। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক ছাত্র হিসাবে বলতে পারি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো লেখা-পড়ার জন্য মনে হয় বানানো হয়নি, সন্ত্রাস তৈরির জন্য উপযোগী। তা না হলে হল দখল কেন চরের জমি দখলের মত হবে? হল কি সরকার দলীয় ছাত্রদের বাবার সম্পাদ? যাকে খুশী তাকে রাখবে, যাকে খুশি তাকে বের করে দেওয়া হবে? যখন তখন ক্ষমতাশীনদের কথা মত চলতে হবে। না না এভাবে চলতে দেওয়া যায়না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো আমাদের জাতীয় সম্পদ, এর ব্যবহার জাতি সঠিক ভাবে করতে চায়।
We need change, no violence, no terrorism, keep the Universities faraway from bloody politics. Remember that, politicians are enemy of nations.

