মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। সত্যগ্রহ আন্দোলনের পথিকৃৎ মহান এই নেতা পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে স্মরণীয় ও বরণীয়।
যৌবনে মহাত্মা
বাংলায় মহাত্মা
অনশনরত মহাত্মার পাশে শিশু ইন্দিরা গান্ধী
জওহরলাল নেহেরু ও মহাত্মা
রবীন্দ্রনাথ ও মহাত্মা
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও মহাত্মা
লর্ড ও লেডি মাউন্টব্যাটেনের সাথে মহাত্মা
নিজের গায়ের কাপড় বুনাচ্ছেন মহাত্মা
নোয়াখালিয়াতে মহাত্মা - ১
ড্যান্ডি মার্চে মহাত্মা
আইনস্টাইন ও মহাত্মা
দক্ষিণ আফ্রিকায় মহাত্মা
অন্তিম শয়নে
আগেই বলেছি মহান এই মানবতাবাদী ব্যক্তিত্বকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই, এবং এটাও জানি ছবিগুলোও সবারই অনেকবার দেখা ও জানা রয়েছে। ইংরেজ বিরোধী "ভারত ছাড়ো" আন্দোলনের পথিকৃৎ বাংলাদেশে এখন অনেকটাই বিস্মৃত। কিন্তু গান্ধীর ইংরেজ বিরোধী আন্দোলন ছিলো সমগ্র উপমহাদেশ বিস্তৃত। ইংরেজ পরবর্তী দেশভাগে গান্ধীর ভূমিকা কতটুকু ছিলো নাকি তিনি পরিস্থিতির শিকার এটা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। তবে তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সমগ্র উপমহাদেশের কল্যাণ চেয়েছেন এবং সমগ্র ভারতবর্ষকেই তাঁর আপন ভূমি বলে মনে করতেন। যেমন ভাইয়ে ভাইয়ে ভাগ হয়ে গেলেও পিতার কাছে সব সন্তানই থাকে পরম আদরের।
যে উপমহাদেশ পুরোটাকে গান্ধী ভালোবাসতেন সন্তানতূল্য মমতায় সেই উপমহাদেশের একটি অংশ হয়েও এই বাংলাদেশে মহাত্মা গান্ধী অনেকটাই উপেক্ষিত। ইংরেজ শাসন থেকে মুক্তির এই মহান দিকপালকে কি আমরা শুধু দেশ ভাগের কারণে কেবলই একজন ভারতীয় হিসেবে মূল্যায়ন করবো?
মহাত্মা গান্ধীর এই জন্ম জয়ন্তীতে সকলের প্রতি আবেদন থাকবে বাংলাদেশে মহাত্মাকে নিয়ে এদেশে আরো বেশি আলোচনা ও প্রচারের। হতে পারে মহাত্মার কর্ম ও জীবনী নিয়ে একটি রিসার্চ সেন্টার ও প্রকাশন, হতে পারে অন্তত একটি প্রধান সড়কের নাম মহাত্মার নামে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:২২