আমি প্রায়ই একা হাঁটি
হাঁটতে থাকি দূরের মেঘ দেখে দেখে
একসময় নিজেই মেঘ হয়ে যাই।
.
একদিন মেঘ হতে পারছিলাম না
কোথায় যেন কারো কথার খোঁচা
কাঁটা হয়ে বিঁধছিল বলেই
মেঘ হতে পারলাম না সেদিন.. দীর্ঘক্ষণ হেঁটে হেঁটে ও...
.
'তুমি কষ্ট-বিরহের লেখা লেখ
পাঠকের সহানুভূতি লাভের আশায়
দু:খবিলাসী তুমি' - এভাবেই বলল একজন।
হুমম.. আমি তা বটে
দেখি আমি চারপাশে আমার যা যা ঘটে
আমি একজন দু:খবিলাসী বটে।
সুখ দু:খ সবই দৃষ্টিভংগি
কিংবা দৃষ্টিবিভ্রমও বলতে পার।
.
তোমাকে সুখবিলাসী বলাটাও আমি শোভন মনে করি না
তুমি আসলে কিছুই না কেবল সুবিধাবাদি একজন
প্রাচুর্যের সকল উৎস দখল করে আছ
আর তুমি-ই কিনা সমাজতন্ত্রের বুলি ঝেড়ে
হয়ে বসতে চাইছ জাঁদরেল প্রলেতারিয়েত নেতা!
নিজেকে কমরেড মনি সিং ভাবছ না তো আবার?
.
দু:খের তুমি কি জান? কষ্ট তোমার কতটুকু অনুভবে আসে?
ঐ বেকার বাবাকে দেখেছিলে কোনোদিন
যে স্কুলে বাবুটাকে ভর্তি করাতে পারছিল না?
ডোনেশনের ত্রিশ হাজার টাকা দরকার-
নিজের বলতে ত্রিশ টাকাও নেই পকেটে-
দু'দিন হাতে আর বাবা হাঁটেন পথে পথে
আকাশের নীলে কষ্টরা উড়ে বেদনার রথে।
.
একজন বাবার কেবল একটা কষ্টের কথা বললাম তোমায়
এমন লাখো বাবারা মেঘ হতে পারছেন না
উড়া ভুলে যেতে বসেছেন
তাদের আকাশের নীলে নীলে বেদনার হাহাকার!
.
বাবাদের বেদনা হাহাকার নিয়ে লিখেই
যদি হই দু:খবিলাসী
তবে জেনো সে আমার পরম পাওয়া!
আমি তাদের সহানুভূতি পেতে চাই না
জানাতেও চাই না একটুও
আমি যে তাদেরকে অনুভব করি
এটাই বাবারা বুঝুন!
.
সেদিন অনেক পরে
একা একা দীর্ঘক্ষণ হেঁটে হেঁটে
...অবশেষে মেঘ হলাম!
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৯