আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কত আধুনিক ও যুগোপযোগী তা আমাদের সকলেরই জানা। যার কিছু উদাহরণ তুলে ধরি যার সম্মুখীন আমার সাথে সাথে আরও অনেকে হয়েছেন।
১। আমরা অনেকে এইচএসসি তে একটা বিষয় পড়েছিলাম যার নাম “সাচিবিক বিদ্যা” মূলত A+ পাওয়া সহজ বলে সবাই এটা নিতাম। সেখানে আমাদের শেখানো হত ‘শর্টহ্যান্ড’ আরও শেখানো হত ‘টাইপ রাইটার’ এ কাজ করা, পরিচালনা, এর বিবরন ও প্রকারভেদ ইত্যাদি।
যেখানে বর্তমান যুগ হল কম্পিউটারের সেখানে ‘টাইপ রাইটার’ আর ভয়েস রেকর্ডার জায়গায় ‘শর্টহ্যান্ড’ শেখানো হচ্ছে। আমি যে কলেজে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলাম সেখানে একটিও ‘টাইপ রাইটার’ ছিল না, বিধায় আমরা পরীক্ষা ছাড়াই সম্পূর্ণ মার্ক পেয়েছি। ‘টাইপ রাইটার’ এর জায়গা কলেজে নয় বরং মিউজিয়ামে।
২। যেহেতু বর্তমান যুগ কম্পিউটারের তাই কম্পিউটার সাবজেক্ট আছে ঠিকই কিন্তু ছাত্ররা ঐ আগের মতই A+ পাওয়া সহজ বলে এ সাবজেক্ট নিচ্ছে। আমি আমার কলেজ জীবনে মাত্র ২ বার ল্যাব পেয়েছিলাম যেখানে শিখানো হয়েছিল (এখনো শেখানো হয়)- কিভাবে MS-Word এর ফাইল সেইভ ওপেন ও ডিলিট করতে হয়, আর Qbasic এ কিভাবে কাজ করতে হয়। জানি না বর্তমান যুগে কেউ Qbasic ব্যবহার করে কিনা।
সর্বশেষ ইউনিভার্সিটিতে (প্রাইভেট) এসে একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম যে তারা কিভাবে তাদের টিউশন ফিস বৃদ্ধি করছে তার একটি উদাহরণ দেখি-
প্রায় সকল প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে যে কোন Undergraduate কোর্সে ইংলিশ শেখানোর জন্য ২-৩টি করে সাবজেক্ট (pre-English, Standard English, Basic, communication skill ইত্যাদি নামে) থাকে। যেখানে প্রায় ব্যয় হয় ৩০ হাজার টাকা বা আরও বেশি। জানি না কোন ইংলিশ কোর্সে (GRE, IELTS, GMAT, SAT, TOFEL ইত্যাদি) এত টাকা খরচ হয়। যাইহোক সেগুলো সাবজেক্টে পড়ানো হচ্ছে সেই ১২ বছর ধরে পড়ে আসা Third person singular number type Rules গুলো।
প্রায় পাঁচ বছর আগে খোঁজা হত গ্রাম-গঞ্জ শহরে কিংবা এলাকায় কে বা কারা A+ পেয়েছে আর এখন কারা ফেল করেছে তা খুঁজতে হয়।
সর্বশেষে আমার বন্ধুর একটি অভিজ্ঞতা,
বন্ধুঃ “কুকুরটি ঘেউ ঘেউ করে” এটি ইংলিশে ট্র্যান্সলেশন করো তো।
ছাত্রঃ The Dog Barks
বন্ধুঃ ভালো তাহলে তুমি Third person singular number Rule পার, আচ্ছা বলো তো bark এর পর s কেন যোগ হয়েছে।
ছাত্রঃ যেহেতু কুকুর দুই বার ঘেউ ঘেউ করে তাই।