বাসায় পিসির অবস্থা তেরোটা!কথায় কথায় রিফ্রেশ মারে যা লেখি আবারো সব কিছু নতুন করে শুরু করতে হয় তারপর আবার কারেন্ট থাকে না।আজকে আবার নেটের মেয়াদ শেষ তাই সাইবার ক্যাফে থেকে লেখতে হচ্ছে সেখানেও ঝামেলা পাশের এক ডিজুস পুলা ভয়েস চ্যাট করতেছে এক সুন্দরী তরুনীর সাথে।আমার একেবারেই নিকটে মেয়ের ছবি ওয়েবক্যামে দেখতেছি আর পুলায় বড় মোলায়েম কন্ঠে মেয়েরে বয়ান দিতেছে।মেয়ে মনে হয় আমেরিকা থাকে
যাই হোক এতো কস্ট করে পোস্ট লেখতেছি কারন একটাই রন্টি ভাইয়ের জন্মদিন কাল।রাতে পোষ্ট লেখা সম্ভব না তাই এখনি লেখতেছি।ফেসবুক অনুযায়ী কাল রন্টি ভাইয়ের ৭০ বছর সবাই এই মৌসুমে বয়স টয়স কমাইতে পছন্দ করে তখন তার বয়স এতোই বাড়াইছে যে হাসির কারন।তিনি আমার চেয়ে বড় হলেও আমার চেয়েও তরুনভাইজানের সাথে আমার সম্পর্ক বড়ই চমৎকার।যদিও আগের মতো কথা হয় না।আগে আমার প্রায় পোস্টেই রন্টি ভাইয়ের কমেন্ট আমাকে মুগ্ধ করতো! উনি কিংবা আমি কেউই এখন ব্লগে নিয়মিত না তবুও তার ভালোবাসা আমি টের পাই।কিছুদিন আগে যখন ভাইজানের বাবা মারা যায় তখন আমি জামালপুরে যোজন যোজন দুরে থেকেও মনটা ভীষন খারাপ হয়ে যায়।তিনি যখন দেশে আসেন তখন একবারের জন্য হলেও আমার সাথে দেখা করেন।ভাইজানের কথা কইতে আড্ডা মারতে দারুন মজা।কিন্তু দেশে চরম ব্যাস্ততার কারনে সময় পাওয়া যায় কম!
আরেকটা জন্মদিনের পোস্ট মিস করছি এ বছর।নাইম ভাইয়ের জন্মদিন ছিলো মে মাসে পোস্ট দিতে পারি নাই বলে মনটা খারাপ ছিলো খুব, তার কারন জামালপুরে নেটের লাইন নাই বাড়িতে।তবে এবার আর হাতছাড়া করবো না চান্স আর আজ জিপির মেয়াদ শেষ তাই ক্যাফে থেকে লিখতে হচ্ছে।তাই এই পোস্টের কুনো মন্তব্য জবাব দিতে পারবো না সাথে সাথে!
যাইহোক রন্টি ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।এই ব্লগটা থাকার কারনেই রন্টি ভাইয়ের সাথে আমার বন্ধুত্ব।তাই সামুর কাছে এই কারনেই কৃতজ্ঞ এরকম কিছু বড় ভাই+বন্ধু পাওয়ার জন্য।
শুভকামনা রইলো রন্টি ভাইয়ের জন্য।অসাধারন জীবন পার করুক এই কামনাই রইলো।আর কি আমাকে আগের মতোই ছোট ভাইয়ের মতো মনে রাখুক এই তো!
সবাই ভালো থাকুন
শুভকামনা সবার জন্য!