মেলাদিন হইলো পোস্ট-টোস্ট দেই না।ব্লগেও নিয়মিত না দুই-তিন মাস যাবৎব্লগের কথা ব্লগারদের কথা সব সময়ই মনে থাকে, ভাবি,চিন্তা করি ব্লগের এখন কি অবস্থা নানাজনের কাছ থেকে খবর রাখার চেষ্টা করি।মাঝে সাঝেই ব্লগ খুলে দেখি কে কি পোস্ট দিলো সম্ভব হলে কমেন্ট করি না হলে চুপচাপ পড়ে যাই!
নিজের পরিবেশ পরিস্থিতি এখন অনেক পাল্টে গেছে।আগে নিজের বাসায় মনের খুশি মতো ব্লগ-টগে বসে থাকতাম।কিন্তু এখন মেস লাইফ সারাদিন বাইরে বাইরে থাকি ব্লগে বসার সময় পাই না একেবারেই।নিজের সুখের জীবন যে এই ভাবে হারাবো কম্মিনকালেও ভাবি নাই।তবুও দুইমাস পার করে দিলাম মেস লাইফের।খারাপ কাটে না দিনকাল।খালি একটু এতীম এতীম লাগে এই যা!
ফেব্রুয়ারী মাসটা আমার খুবই ভালো লাগার মাস।বইমেলা,২১শে ফেব্রুয়ারী,পহেলা ফাল্গুন সব নিয়া আনন্দেই যায়।বইমেলাই সবচেয়ে বড় আনন্দের কারন।বাংলা বই পড়া যে কি আনন্দের তা বলে বুঝাতে পারবো না।২৮ দিনের মেলার ১২-১৩ দিনই মেলাতে গেলাম।খুব বেশি বই পত্র কিনতে পারি নাই নিজের দরিদ্রতার কারনে।তবুও যা কিনছি তাতেই খুশি।কারন আমি ১২ মাসেই বই কেনার চেষ্টা করি তাই মেলা উপলক্ষ্যে বেশি বই কেনার দরকার নাই
মেলায় যাওয়া আরো রংগীন হয় নাঈম ভাইয়ের ঢাকায় আসার কারনে।দুইজন মিলা দুইটা দিন দারুন পার করছি।কি যে অসাধারন সময় কাটছে তা বলাই বাহুল্য।আর দুইজন মিলে বইমেলাতে দুর্দান্ত সময় পার করছি।নাঈম ভাইয়ের অটোগ্রাফটা দেখলে এখনো সেই সময় ফিরে যাই!
আর একা একা যখন মেলায় গেছি তখন কারো সাথেই দেখা সাক্ষাৎ করি নাই।বই মেলায় দেখি খালি ব্লগার আর ব্লগার।বাংলা ব্লগিং এর যে এখন রমরমা অবস্থা তা বইমেলায় গেলেই বুঝা যায়।কারো সাথে আজকাল কথা বার্তা বলতে ভালো লাগে না।নিজের মতো পাশ দিয়ে চলে যাই!
ইমন ভাইয়ের সাথে জোশ একটা দিন পার করছিলাম।ইমন ভাই পারফেক্ট জেন্টেল ম্যান ইমন ভাইয়ের সাথে বইমেলাতে থাকার কথা ছিলো কিন্তু জ্যামের কারনে সময় মতো পৌছাতে পারি নাই।এই দু:খটা থেকেই যাবে।তার মধ্যে রন্টি ভাইয়ের সাথে একটা দিন দারুন কাটছিলো।রন্টি ভাই আরো কিছু দিন ঢাকায় থাকলে দারুন লাগতো
লেখার মতো কিছুই নাই মাথায়।তাই নিতান্তই ব্যাক্তিগত প্যাচাল লিখে ফেললাম!
ফাহমিদা নবীও বাপ্পার কন্ঠে একটা পুরানো দিনের গান দিয়ে পোস্ট খতম করি
http://www.youtube.com/watch?v=H5RdWSIsIZg