জলবায়ু ভয়ঙ্করভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে । আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ সমুদ্রতল ৯ থেকে ৪৮ সেন্টিমিটার এবং কার্বন নির্গমনের উচ্চহারে যে বৈশ্বিক উষ্ণতা পাচ্ছে তার ফলে সমুদ্রতল ১৬ থেকে ৬৯ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়বে। ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ভূমির এক-তৃতীয়াংশ পানিতে নিমজ্জিত হবে। এর ফলে সমুদ্রের কাছাকাছি অঞ্চলগুলোর দুই কোটি মানুষ বাস্তুভিটা হারাবে, বাড়বে জলবায়ু উদা্বাস্তু শরণার্থীর সংখ্যা। নদ-নদীতে লোনা পানির পরিমাণ বারবে। জীব বৈচিত্র হবে ধংস, বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার সহ ২০ থেকে ৩০ শতাংশ প্রজাতি হবে বিলুপ্ত (ছবি-১ )
ছবি-১/৩৫ : বিলুপ্তির মুখে রয়েল বেঙ্গল টাইগার
বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশের উপকূলের বড় অংশ ডুবে যাওয়ার বিপরীতে সম্পূর্ণ নতুন তথ্যও করেছেন প্রকাশ ।বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, আগামী ১০০ বছরে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে পলির পরিমাণ বাড়বে। এর ফলে দেশের বেশির ভাগ উপকূল ও নদী-তীরবর্তী এলাকা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। বাংলাদেশ সরকারের প্রাকৃতিক সম্পদবিষয়ক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) বলেছে, হিমালয় পর্বতমালা থেকে প্রতিবছর ১০০ কোটি টন পলি বঙ্গোপসাগরে এসে পড়ে। সমুদ্রের জোয়ার-ভাটার টানে তা বাংলাদেশের উপকূলে এসে জড়ো হয়ে নতুন ভূমি গঠন করে। এভাবে গত ৬৫ বছরে বাংলাদেশের উপকূলে এক হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার ভূমি জেগে উঠেছে (ছবি-২)।
http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2010-04-23/news/58304
ছবি-২/৩৫ : বাংলাদেশের উপকূলে ভেসে উঠা জমি
তারা বলেছেন আগামী ১০০ বছরে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে গিয়ে দেশের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলোতে পানির পরিমাণ বাড়লেও একই সঙ্গে পলির পরিমাণও বাড়বে। ফলে দেশের বেশির ভাগ উপকূল ও নদী-তীরবর্তী এলাকা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে দেশটি ডুবে না গেলেও জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যান্য সকল কুফলই বাংলাদেশকে ভোগ করতে হবে ।
ধারে ভারে পোক্তা আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থাগুলির প্রতিবেদনে ভেসে আসা তথ্যগুলিকেই আমলে নেয়া আমাদের জন্য শ্রেয় হবে। তাছাড়া ১০০ বছর অপেক্ষা করার মত সময় আমাদের হাতে নাই । যা করার এখনই করতে হবে ।
প্রায় সকল পরিবেশ বিজ্ঞানীরাই আশঙ্কা করেছেন আগামীতে বাংলাদেশের প্রায় ২ কোটি মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হবে বাধ্য । ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য ২০২০-২০৩০ সালের মধ্যে একটি মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে । যুক্তরাষ্ট্রসহ মোট ১৯টি দেশ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে ২০২০ সাল থেকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থ ব্যয়ে হয়েছে প্রতিশ্রতিবদ্ধ । এই ফান্ড হতে কিছু অর্থ প্রাপ্তির লক্ষে বছর কয়েক যাবত বাংলাদেশ সরকার প্রধানের নেতৃত্বে দৌঁড় ঝাপ হয়েছিল শুরু । সাম্প্রতিক সফরে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় আগামী তিন বছরে বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম ( ছবি -৩ )। সন্দেহ নাই প্রকল্প প্রনেতারা দেশে বিদেশে তাদের তৎপরতা করবেন শুরু এখন জোরে সোরেই ।
ছবি-৩/৩৫ : বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম কতৃক ২ বিলিয়ন দেয়ার প্রতিশ্রুতি
বৈদেশিক সাহায্য পুস্ট প্রকল্প প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন সে এক এলাহী কান্ড । প্রকল্প চিহ্নিত করণ , তাদের প্রাক বিনিয়োগ আর্থ-কারিগরী সম্ভাব্যতা জরীপ , প্রকল্প দলীল প্রনয়ন , পকল্প বাস্তবায়নে দেশী বিদেশী পরামর্শক ও ঠিকাদার নিয়োগ এক জটিল ও মজাদার ব্যপার , পদ্মা সেতুর কথাটাই মনে বাজে বার বার । তার পরেও রয়েছে বৈদেশিক সহায়তা প্রকল্পের আওতায় প্রাপ্ত অর্থের ব্যবহার ও পরিশোধ পদ্ধতি সম্পর্কে টার্মস এন্ড কন্ডিশন । দাতাদের অর্থ বিনিয়োগ প্রসঙ্গে বলা যায়, বিনা লাভে কিছুই নয় । সুদ সমেত আসলটা ফিরততো দিতেই হবে সাথে খাত বহি:র্ভুত অন্যসব অপ্রাসঙ্গীক অদ্ভুত কিছু কন্ডিশনালিটিজ তো পালন করতেই হবে । দাতা আরোপিত বিবিধ প্রকার আনাকাংখিত স্ট্রাকচারাল এডজাস্টমেন্ট মেনে নিতেই হবে । তাছাড়া বাতাশে ভেসে বেড়ানো আমলাতান্ত্রিক কিছু কর্মকান্ডের কথাও যায়নাতো দেয়া উড়িয়ে । দাতাদের সহায়তায় এখানে আমরা যা কিছুই করিনা কেন তা দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন যাবে কি কিছু রোধ করা ? , এটা একটা বিরাট প্রশ্ন বোধক হয়েই রবে ।
২০১৪ সনে ইউএসএ এনার্জি ইনফরমেশন এডমিনিসট্রেশন (EIA) পরিচালিত এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা যায় বাংলাদেশ বছরে ৪৩.৬২ মিলিয়ন টন সমপরিমান গ্রীন হাউজ গ্যস CO2 নির্গমন করে । এর বিপরিতে রাশিয়া করে ১৭৮৮.৮৪ মিলিয়ন টন , চীন করে ৮৭৫৭.৩১ মিলিয়ন টন , জার্মানী করে ৭৪৮.৪৯ মিলিয়ন টন, কানাডা করে ৫৫২.৫৬ মিলিয়ন টন , গ্রেট বৃটেন করে ৪৯৬.৮০ মিলিয়ন টন আর মার্কিন যুক্তরাস্ট করে ৫৪৯০.৬৩ মিলিয়ন টন । বিশ্ব কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনে বাংলাদেশের অংশ মাত্র ০.১৪ ভাগ। গ্রীন হাউস ইফেক্ট এর জন্য দায়ী গ্যাস নির্গমনে শতকরা একভাগের উপরে অবদানকারী দেশের অবস্থান নিন্মের চিত্র -৪ এ দেখা যেতে পারে ।
ছবি-৪/৩৫ : গ্রীন গ্যাস কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনে বিভিন্ন দেশের অবস্থান
অবস্থা দৃস্টে এটা পরিস্কার, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন রোধ, এর মিটিগেশন এবং এডাপটেশনে বাংলাদেশ যত কিছুই করুক না কেন, তা বিশ্বের উন্নত দেশগুলির মাত্রাতিরিক্ত কার্বন নির্গমনের প্রেক্ষাপটে অতি নগন্য পরিমানে দায়ী হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের চড়া মাসুল গুনতে হবে বাংলাদেশকেই শুধুমাত্র উপকুলীয় নিন্মভুমি হওয়ার কারণে ।
এ অবস্থার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে সর্বাত্বক সমন্বিত প্রচেষ্টাতো গ্রহণ করতেই হবে । এখনো বিস্তারিত কোন রূপরেখা পাওয়া যায়নাই বৈদেশিক সহায়তা নিয়ে সরকার কি করবে । নিশ্চয়ই বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে এ নিয়ে কার্যক্রম হয়ে গেছে শুরু , কিন্তু আমরা আম জনতা যখন জানতে পারব তখন তা হয়ত রামপালের মত বিতর্কিত হতে হতে, কোন পর্যায়ে যে যাবে, তা কেবল বিধাতাই জানেন, ইউনেস্কোর দরবাবরে গিয়া হয়তবা আমাদের আমলাদের অতি দক্ষতার কারণে ঘোরাফেরা করতে হতে পারে বছরের পর বছর ধরে !!! তাই বিষয়টির উপরে সকলেরই সুচিন্তিত মতামত ও প্রকল্প রূপরেখা তুলে ধরা একান্ত প্রয়োজন । সরকারেরই উচিত ছিল জলবায়ুর পরিবর্তন জনিত সমস্যা মোকাবেলায় করনীয় বিষয়ে রূপকল্প সম্বলিত একটি কনসেপ্ট পেপার তৈরী করে সরকারী ওয়েব সাইটে দিয়ে তার উপর সকলের মতামত আহ্নবান করা ।
যাহোক, প্রলয় অপ্রতিরোদ্ধ গতিতে আসতেছে ধেয়ে , সন্দেহ নেই কোন তাতে । আমরাও প্রস্তুত, বাঙ্গালী বীরের জাতি , যুদ্ধ সংগ্রাম করে স্বাধিনতা এনেছি , এগিয়ে যাচ্ছি সমৃদ্ধির পথে দৃপ্ত পদক্ষেপে, ভয় পাইনা কোন কিছুতে । অনেকেই আসঙ্কা করছেন দেশের উপকুলীয় অংশ তলিয়ে গেলে ২ কোটি লোককে দেশ ছেড়ে যেতে হবে চলে । শিক্ষায় ও কারিগরী জ্ঞানে পিছিয়ে থাকা জলবায়ু উদ্ধাস্তুগনে নিবেনা কেও কোলে তুলে । আমাদেরও সাফ কথা, যাব কেন দেশ ছেড়ে , দেখিনা একটু হাত পা নেড়ে , টিকতে পারব কিনা বাপ দাদার ঠিকানা ধরে ।
নিতে পারি আমরা স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা । স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনায় জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মিটগেশন ও এডাপটেশন এর জন্য যা প্রয়োজন, ভেবে ভেবে করব তা সকলে । জনগনের মাঝে সচেতনতা দিব ছড়িয়ে । জল বায়ু পরিবর্তনের শিকার জনগনের জন্য কৃষি , শিক্ষা , স্থাস্থ্য ও যোগাযোগ খাতে সরকারকে বলব নিতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা । সামুদ্রিক ঝড় ও জলোচ্ছাস রোধে উপকূলীয় এলাকায় বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে সবুজের বেস্টনি গড়ে তোলার প্রয়াস নিব সকলে মিলে, যেন সেখানে বিলুপ্ত প্রায় জীব বৈচিত্র থাকতে পারে পরম নিশ্চিন্ত মনে ( ছবি-৫) । প্রয়োজনে লাগাতার মানব বন্দন কর্মসুচী দেয়া হবে উপকূল জোড়ে । যেমন করেই হোক সচেতন সকল পরিবেশবাদীদেরকে নিয়ে উপকূলীয় জীব বৈচিত্র রক্ষায় মেনগ্রোভ ফরেস্টের প্রসার ঘটানোর জন্য কর্মসুচী নেয়া হবে দ্রুতলয়ে ।
ছবি ৫/৩৫ : জীব বৈচিত্রের জন্য সবুজের নিরাপত্তা বেস্টনিতে নিশ্চিন্ত মনে রয়েল বেঙ্গল টাইগার
শুনা যায় সুন্দরবনের দক্ষিনের বিশাল একটি অংশ ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে সমুদ্রে বিলীন , এ অবস্থা রোধে রামপাল হতে বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের ব্যবস্থাটিকে সুন্দরবন থেকে নিরাপদ দুরত্বে সরানোর ব্যবস্থাটি করতে হবে স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনার আওতাধীনে ।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ কয়েক'শ বছর ধরে পানির উপর সবজি চাষ করে আসছেন ( ছবি-৬) ৷ অভিনব এই উপায়টিই এখন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় তাদের সাহায্য করছে ভীষনভাবে ৷ স্বল্পমেয়াদেই এই চাষাবাদ পদ্ধতিটার করতে হবে ব্যপক প্রসার । জলবায়ু তহবিলের কিছু অর্থ একাজে ব্যবহার হয় কিনা তা থাকবে গভীর পর্যবেক্ষনে, জানিনা এ কাজে অর্থ ব্যয় হবে কিনা, কেননা এ কাজে বিদেশী বিশেষজ্ঞতো আর লাগবেনা, তাই এটা গুরুত্ব নাও পেতে পারে বিবিধ কারণে ।
ছবি-৬/৩৫ : ভাসমান সবজি চাষাবাদ
জলবায়ুর প্রভা্বে যে হারে ডুববে উপকূলীয় অঞ্চল, তার থেকে অধিক হারে করতে হবে এই চাষাবাদের প্রচলন, নারী পুরুষ সকলকে সম্পৃক্ত করে দিতে হবে ভাসমান কৃষির উপরে প্রশিক্ষন (ছবি-৭) । লবনাক্ততায় টিকে থাকতে পারে এ ধরনের কৃষি উদ্ভিদের জাত বেশি করে করতে হবে উদ্ভাবন, দেশের কৃষিবিদদেরকে এ কাজে সম্পৃক্ত করার জন্য জলবায়ু তহবিল থেকে করতে হবে অর্থায়ন, দেখা যাক সরকারী পরিকল্পনা রূপকে এ বিষয়ে কি রূপ ধরে , যদি হয় ভাল , না হলে পরে, সকলেই মিলে এ জন্য কলম ধরতে হবে ।
ছবি-৭/৩৫ : নারী পুরুষ কিশুর মিলে ভাসমান জমিতে ফসলের আবাদ কার্যক্রম
শত শত বছর ধরে পানির উপরে ভেসে থেকে বসবাস করার অভিজ্ঞতা রয়েছে দেশের বিশাল এক জনগুষ্ঠির , বেদে হিসাবেই এক নামে তাদেরকে সকলে চিনে ( ছবি-৮)। পানির উপরে নৌকায় থেকে বসবাস করেও বেচে থাকার কথাটি যুগ যুগ ধরে করেছেন তারা প্রমান ।
ছবি-৮/৩৫ : পানির উপরে নৌকায় বসবাসকারী বেদে বহর
নদীর কলতানে যাদের ঘুম ভাঙ্গা আর ঘুমোতে যাওয়া তেমনি আর একটি হল মানতারা জেলে সম্প্রদায় । তেঁতুলিয়া-বুড়াগেীরাঙ্গ নদীর বাঁকে খালে ওদের দেখা মেলে ( ছবি -৯ : সুত্র আবির রঙ, সামু ২০১১) । জন্ম থেকে নদীর জলে খেলা করতে করতে ওরা বড় হয়। এদের মত আরো হাজারো জেলে সম্প্রদায় দেশের উপকূল এলাকায় যুগ যুগ ধরে পানির উপরে নৌকায় বসত করে কাটিয়ে দিয়েছেন জীবনের অনেকটা বেলা। সমাজ জীবনের সুবিধা বঞ্চিত এদেরকে তাদের পুর্ব পুরুষের পেশায় রেখে পানির উপরে ভেসে ভেসে জীবন কাটানোর দক্ষতাটাকে করতে হবে নিরাপদ ও সুবিধা মন্ডিত। তাদের জন্য ভাসমান তরীতে করতে হবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ জলবায়ু পরিবর্তনের অর্থায়ন হতেই । আমাদের উপকূল ডুবে গেলে সেখানকার জনগুষ্ঠিকে বিশাল জলরাশি থেকে মৎস আহরণ কর্মকান্ডে নিয়োজিত করার জন্য এরাই হতে পারেন এক বিরাট সহায়ক শক্তি , বিষয়টি সরকারের পরিকল্প রূপক প্রনেতাদের বিবেচনায় রাখা উচিত বলেই মনে করি ।
ছবি-৯/৩৫ : নৌকায় বসবাসকারী মানতারা জেলে সম্প্রদায়
নৌকায় ভেসে বসবাসকারী জনগুষ্ঠিকে নৌকায় রেখেই যদি দেয়া যায় শিক্ষা (ছবি ১০) স্বাস্থ্য , চিকিৎসা , সামাজিক যোগাযোগ ও হাটবাজারের সুাবিধা এবং তা সম্প্রসারণ করা যায় অধিক হারে, তাহলে পানির নীচে ডুবে যাওয়া উপকূল ভাগের বিশাল জনগুষ্ঠিকে পানির উপরে ভাসমান বসতের সুবিধা দিয়েই স্বল্প মেয়াদেই করা যাবে পুর্নবাসন উপযুক্তভাবে ।
ছবি-১০/৩৫ : নৌকায় স্কুলে শিশু কিশুর দেরকে শিক্ষাদান কার্যক্রম
পানির উপরে ভাসমান নৌকায় শিক্ষাদান কার্যক্রম কোন নতুন বিষয় নয় সিলেট ও কিশুরগঞ্জের বিস্তির্ন হাউর অঞ্চলের বানে ভাসা শিশু কিশুরের জন্য ব্র্যাক পরিচালিত নৌকার উপর স্কুল কার্যক্রম জ্বালিয়েছে আশার আলো (ছবি-১১) । জলাবায়ু তহবিলের অর্থায়নে এ ব্যবস্থাটাকেও করা যাবে আরো ফলপ্রসু ।
ছবি-১১/৩৫ : হাউর অঞ্চলের শিশু কিশুরের জন্য ব্র্যাক পরিচালিত নৌকার উপর স্কুল
দেশের হাউর ও প্লাবন এলাকায় নৌকায় হাট বাজার নতুন কিছু নয় ( ছবি-১২) । তাই ডুবে যাওয়ার ভয়ে হতাশ হয়ে দেশ ছাড়ার চিন্তা বাদ দিয়ে পরিবেশের সাথে খাপ খেয়ে চলার তালিমটা নিতে হবে স্বল্প মেয়াদেই, এর আরো সহজ নিরাপদ কৌশল বের করতে হবে অচিরেই । উপকূলের ডুবে যাওয়া এলাকার মানুষকে সামাজিক ব্যাবসার মডেলে (Community Business model) করতে হবে সম্পৃক্ত । ভবিষ্যত প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে জলবায়ু তহবিল সামাজিক ব্যবসা ও ভাসমান হাটবাজার উন্নয়নে রাখতে পারে অবদান গুরুত্বপুর্ণভাবে ।
ছবি-১২/৩৫ : ভাসমান বাজার
নৌকায় ভাসমান হাট বাজারে যুক্ত করা যেতে পারে ফলমুল ও মনোহারী দোকান (ছবি-১৩)।
ছবি-১৩/৩৫ : জলের উপর ভাসমান তরীতে ফল ও মনোহারী দোকান
শুধু কি তাই, ভাসমান নৌকা ছাড়াও পানির উপরে ডাঙ্গারমত দ্বীপ তৈরী করে সেখানে ঘর তুলে করা যায় বসবাস ( ছবি-১৪ ও ১৫) । এটা নতুন কিছু নয় ল্যটিন আমেরিকার পেরু দেশটির উরু জনগুষ্ঠির কিছু জনতা জলের উপরে খরকোটা , কাদামাটির লেয়ার দিয়ে দিয়ে জীবন্ত গাছগাছালী লাগিয়ে ছোট ছোট দ্বীপ করে তার উপর খর কোটা দিয়েই ঘর বানিয়ে শত শত বছর ধরে বাস করে আসছে , আমরাও এটা করতে পারি অনুকরণ যদি প্রয়োজন পরে । পানির উপরে নতুন করে চড়ে জন্মায় প্রচুর পরিমান নল খাগড়া , সেগুলিকেই বৈজ্ঞানিক উপায়ে গৃহ নির্মান সরঞ্জামাদির কাজে লাগানো যেতে পারে । কিছু কিছু এলাকায় পরিক্ষামুলক ভাবে তালিমটা শুরু হয়ে যেতে পারে এ বেলায় ।
ছবি-১৪/৩৫ : পানির উপর তৈরী ডাঙ্গায় বসতঘর (১)
ছবি-১৫/৩৫ : পানির উপর তৈরী ডাঙ্গায় বসতঘর (২)
শুধু বিচ্ছিন্ন ঘর বাড়ী নয় পেরুর উরুরাগন এরকম ভাবে খড়কোটা দিয়ে বড় সর আকারের প্রায় ১০ একর পরিমানের জায়গা জুরে গড়ে তুলছে ভাসমান গ্রাম (ছবি -১৬) । দেশীয় সহজ এ প্রযুক্তি অনুসরন করে আমরাও গড়তে পারি ভাসমান গ্রাম , খুটি গেড়ে ধরে রাখতে পারি বাপ দাদার ভিটামাটির ঠিকানাখান ।
ছবি-১৬/৩৫ : পানির উপরে তৈরী ভাসমান ডাঙ্গায় গ্রাম
বর্ষাকালে ও শরতের নীল আকাশে সাদা মেঘের তলে পুরা গ্রাম টিকে নিয়ে ভেলার মতন করে প্রমোদ ভ্রমনে ঘুরে আসতে পারি সকলে মিলে ( ছবি-১৭) ।
ছবি-১৭/৩৫ : পানির উপরে তৈরী ভাসমান গ্রামটিকে ভেলার মতন করে প্রমোদ ভ্রমন
ভাসমান গ্রামের জনগনের জন্য শিক্ষা কার্যক্রমের মত নৌকায় করা যেতে পারে চিকিৎসা কার্যক্রমের আয়োজন ( ছবি-১৮) ।
ছবি-১৮/৩৫ : ভাসমান তরীতে চিকিৎসা কার্যক্রম
প্রয়োজনে ভাসমান গ্রামে জন্মানো খরকোটা দিয়েই নৌকা বানিয়ে করা যাবে তৈরী চলাচল মাধ্যম (ছবি-১৯) । এছাড়া কাঠের নৌকা তো থাকছেই ।
ছবি-১৯/৩৫: খরকোটা দিয়ে তৈরী নৌকা
বিবিধ উপায়ে পানিতে ভাসমান থেকে প্রতিকুল পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে গড়ে তুলতে পারি আমাদের বিপন্ন জনগুষ্টীর জন্য বাপ দাদার ঠিকানাতেই এক সুন্দর আবাসন, হবোনা কোন মতেই দেশ ছেড়ে নির্বাসন। এটা সকলেরই জানা মাইগ্রেটেড সিটিজেন দুনিয়ার সর্বত্রই পালন করে এক দুর্বিসহ জীবন, কথায় কথায় সারা জীবন ধরে ট্রাম্পের মত কারো না কারো কাছ হতে শুনতে হয় তাদের দেশে বসকারী সকল বিদেশীকে দেশ থেকে করবে অপসারণ, কথাটায় সকল সময় মিশে থাকে এক বিশালতর অপমান । জীবন ও সন্মানের তাগিদে নীজ ভুমেই যে কোন ত্যাগের বিনিময়ে বসবাসটাই মানব জীবনের তরে সকল সময়েই মুল্যবান ।
দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা
২০৫০ সালে দেশের উপকূল ভাগের বিস্তির্ণ এলাকা পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ার আগেই সরকারী ঘোষনা অনুযায়ী তাদের ভিশন অনুসারে ২০৪১ সালেই পৌছে যাব উন্নত বিশ্বের কাতারে । বর্তমান হারে প্রবৃদ্ধির গতিতে ( বার্ষিক ৬ পারসেন্টের উপরে ) চলতে থাকলে ২০৫০ সালে ভিতরে আমাদের মাথাপিছু আয় চলে যাবে ২০ হাজার ডলারের উপরে । সে বিষয়টা মাথায় রেখে আমরাতো উচ্চবিলাসি পরিকল্পনা নিতেই পারি, জলউদ্বাস্তু হয়ে কেন চলে যাব বিদেশে রিফুজী হয়ে? উন্নত বিশ্বের প্রায় সকল দেশেরই উন্নয়ন প্রবৃদ্ধির হার নিন্মের দিকেই ধাবমান , এটা তাদের কমতে কমতে ২০৫০ এ এসে এমন পর্যায়ে চলে যেতে পারে যে অনেকেরই তখন হয়তবা আসতে হতে পারে আমাদেরই ঘরে ।
যাহোক, কামনা করি তারা যেন থাকতে পারে তাদেরই ঘরে । আমরা এখন দেখি আল্লা না করুন জলে ডুবে গেলে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে কেমন করে বিলাসী জীবন যাপন করতে পারি পানির উপরে ।
অগভীর জলে খুটি গেড়ে নৌকার মত বসত তৈরী করে বসবাস করতে পারি আয়েশ করে ( ছবি-২০) । টিভি ফ্রিজ থেকে শুরু করে আধুনিক গৃহ সজ্জার সকল উপকরনই রাখতে পারি তাতে ধরে ।
ছবি-২০/৩৪: নৌকার আকৃতিতে তৈরী বিলাসি আবাসন
সব জায়গাই যে পানির নীচে ডুবে যাবে তাতো নয় । প্রাকৃতিক নিয়মেই কিছু কিছু ভুমি রয়ে যাবে পানির উপরে, ভেসে থাকবে ঠিকই উচা নীচ হওয়ার কারণে। আগে ভাগেই সঠিক জরীপ চালিয়ে সে রকম ভুমি সংলগ্ন স্থানে ভাসামান গুচ্ছ গ্রাম সৃজনের পরিকল্পনা করা যেতে পারে যেন তা ঝড় প্লাবনের সময়ে ভেসে থাকতে পারে পানির উপররে (ছবি-২১) । উচ্চ ভুমিতে লোনাজলাসয়ী জলজ উদ্ভিদ ও চাষাবাদ করা যেতে পারে ।
ছবি-২১/৩৫ : ভাসমান গুচ্ছ গ্রাম
জলে ডুবা উপকুলে ঘরবাড়ীর দৃশ্যগুলি এরকমটিই হতে পারে । প্রতিটি গৃহ নির্মিত হবে স্থানীয় উপকরনে এমন কি গৃহের চালে থাকবে সোলার প্যনেল শক্তি যোগানোর তরে ( ছবি-২২ ) ।
ছবি-২২/৩৫ : জলের উপরে নির্মিত সোলার প্যনেল যুক্ত বসত বাড়ী
প্রতিটি বাড়ীর আঙ্গীনাতে বৃস্টির পানিকে ধরে রাখা হবে সুপেয় পানির চাহিদা মিটাতে ( ছবি-২৩) ।
ছবি-২৩/৩৫ : বাড়ীর আঙ্গীনায় বৃস্টির পানি ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন বাড়ী
২০৫০ এ উচ্চ আয়ের স্তরে পৌঁছে গেলে দেশের উল্লেখ যোগ্য লোক হয়ে যাবেন বিত্তশালী , তাদের জন্য পানির উপরে করতে হবে বিলাসী ভবন , তা না হলে বিদেশে দিবেন পারি পানির উপরে তৈরী ভিলায় করতে জীবন যাপন । তাই তাদের কথাটাও রাখতে হবে প্রকল্প প্রনাতের মনের ভিতর তা না হলে আখেরে পস্তাতে হবে !!! তাদের জন্য গৃহে যাতায়াতের সুবিধাসহ পানির উপরে নিন্মের মত ( ছবি ২৪ ও ২৫ ) হতে পারে বসতি ঘর নির্মান ।
ছবি-২৪/৩৫ : পানির উপর বিলাস বহূল কটেজ (১)
ছবি-২৫/৩৫ : পানির উপর বিলাস বহূল কটেজ (২)
রাজধানী হতে দেশের উপকূল এলাকায় যোগাযোগের জন্য রাখা হবে অত্যাধনিক জলযান ( ছবি -২৬)
ছবি -২৬/৩৫ : রাজধানী হতে উপকূল এলাকায় যাতায়াতের জন্য জলযান
সল্প সময়ে অতি দ্রুত যোগাযোগ ও চলাচলের জন্য গড়ে তোলা হবে সি প্লেইন সার্ভিস ( ছবি-২৭)
ছবি -২৭/৩৫ : দ্রুত চলাচলের জন্য সি প্লেইন
ডুবে যাওয়া উপকূল ভাগের বিশাল জনগুষ্ঠির স্বাস্থ্য সেবার জন্য মার্কিন মুল্লুকের AH-13 Benevolence, 800-bed floating হসপিটালের মত বিশাল জল তরীতে গড়ে তোলা তোলা হবে ভাসমান হসপিটাল কমপ্লেক্স ( ছবি-২৮)
ছবি-২৮/৩৫ : ভাসমান হসপিটাল
২০৫০ এ দেশে অর্থের প্রাচুর্থ থাকায় ভাসমান তরীতেই গড়ে তোলা হবে পানি শোধন সহ বিবিধ প্রকার শিল্প কারখানা ( ছবি -২৯ )
ছবি- ২৯/৩৫ : ভাসমান শিল্প কারখানা
ডুবে থাকা পানির নীচে থাকা তেল গ্যাস ক্ষেত্রগুলি হতে তা উত্তোলন পুর্বক ভাসমান প্লান্টেই সেগুলিকে সিএনজিতে ভরে সকল জায়গায় সরবরাহ সহ করা হবে ( ছবি -৩০ ) । উদ্বৃত্ত অংশ রপ্তানী করেও পাওয়া যাবে বিপুল পরিমান বৈদেশিক অর্থ ।
ছবি-৩০/৩৫ : ভাসমান সিএন জী প্লান্ট
উপকূল ভাগের বিশাল অংশ পানির নীচে ডুবে গেলে হবে তা সম্ভাবনাময় মৎস আহরণ ক্ষেত্র । উপকুলের উৎসাহী লোকদেরকে অত্যাধুনিক মৎস আহরণ ট্রলার দিয়ে করা যাবে সজ্জিত । কর্ম সংস্থানের সাথে সাথে এলাকার মানুষের পুষ্টি চাহিদা করবেন তারা নিশ্চিত ( ছবি - ৩০ )
ছবি-৩১/৩৫ : আধুনিক জলযানে মৎস আহরণ
২০৫০ এর দোরগোড়ায় এসে ভাসমান নগড়ী তৈরীর পরিকল্পনা আমরা করতে পারি জোরো সোরে । এ সমস্ত ভাসমান নগড়ীর প্রত্যেকটিতে উপরে একটি করে এয়ারপোর্ট ও নীচে থাকবে সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা যথা , শিক্ষা স্বাস্থ, ও বিনোদন ব্যবস্থাদি ( ছবি-৩১ )
ছবি-৩২/৩৫ : ভাসমান নগড়ী
জলে ভাসা উপকূলবাসির উচ্চ শিক্ষার দাবী মিটাতে ফ্রিডমের মত বিশাল আকৃতির ভাসমান তরীতেই করা যাবে কলেজ ও বিশ্ব বিদ্যালয় প্রতিষ্টা ( ছবি – ৩৩) ।
ছবি-৩৩/৩৫ : ভাসমান কলেজ ও বিশ্ব বিদ্যালয়
সময়ের সাথে সাথে বিখ্যাত ফরাসী স্থাপত্য শিল্পী ভিনসেন্টের মত আরো চমকপ্রদ বিজ্ঞান সন্মত উপায়ে ভাসমান তরীতে গড়তে পারব মোরা এমন আবাসন যেখানে পানিতে থাকা প্লানটন ব্যাবহারের মাধ্যমে চাষাবাদ করে জৈবিক পুষ্টি চাহিদা পুরণ সহ সকল নাগরিক সুবিধার উপাদান সমাহার করা সম্ভাব হবে ( ছবি-৩৪ ) ।
ছবি-৩৪/৩৫ : ভাসমান স্বয়ংসম্পুর্ণ গ্রামে কৃষি চাষাবাদ
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ছোট্ট দ্বীপদেশ কিরিবাতি প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট এনোট টং তার দেশে বসবাসকারী মোট ১০০০০০ অধিবাসীকে এ ধরণের ভাসমান তরীতে স্থানান্তরের জন্য রেডিকেল একশন নেয়ার কথা গুরুত্বের সাথে ভাবছেন । উল্লেখ্য প্রশান্ত মহাসাগরে ৩৫ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার জুরে বিস্তৃত সাগরের বুকে ভাসমান কিরিবাতি দ্বীপমালার ভুমির পরিমান মাত্র ৮০০ বর্গ কিলোমিটার । ১৯৭৯ সনে বৃটেনের কাছ হতে স্বাধিনতা প্রাপ্ত দেশটি জাতি সংঘের পুর্ণ সদস্য। মোট জনসংখ্যা ১ লক্ষ , এই দ্বীপমালা দেশটি সাগরের বুকে বিলীন হওয়ার জন্য এক নম্বর বলে চিহ্নিত । দেশের প্রেসিডেন্টের সরকারী বাড়ীটাও সাগরের মাঝে বিলীন হয়ে যায় যায় করছে ( ছবি-৩৫) । তার পরেও তারা মাথা তুলে টিকে থাকার আপ্রান চেস্টা করছে । তারা যদি করতে পারে চেষ্টা আমরা কেন থাকব পিছিয়ে ।
ছবি-৩৫/৩৫ : সাগরে বিলীন হওয়ার মূখে কিরিবাতি’র প্রেসিডেন্টের সরকারী বাড়ী
দেশের উচ্চভুমিতে কিছু মানুষকে পুর্ণবাসনের সুযোগতো হাতে থাকছেই, সে কথাটিও ভুলে গেলে চলবেনা , এ জন্যও প্রয়োজন হবে যথোপযুক্ত প্রকল্প ও কর্মসুচী প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন । পরিশেষে বলতে চাই ২০৫০ এ এসে কোন রকম বৈদেশিক সহায়তা ছাড়াই টিকে থাকার লড়ায়ে বিধাতার আশির্বাদে জয়ী আমরা হবোই । জলবায়ু উদ্বাস্তু হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘোরতে হবেনা কারো । বাঙ্গালী বীরের জাতি, চিরদিন উন্নত রবে তার শির জগতের বুকে ।
ধন্যবাদ এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ।
ছবি সুত্র : গুগল অন্তরজাল ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:৫৭