উড়ু উড়ু চুলে শরতের রোদ
নামছে বেয়ে শরীরে
ভোরের ঘাসে লাগতেই
মিশে যায় শিশিরে।
এখন যে আশ্বিন
এই আশ্বিনেই তোমায় ছুঁয়েছিলাম
এলোপাথারি সোনা গলানো দিন
কারও দেখা পাওয়ার দিন।
শিউলি ঘুমের রাতের আদর এখনো শরীরে
যেন মৃদুমন্দ সমীরনে নেচে উঠা কাশবন
একলা সোহাগের গন্ধ নিয়ে ফিরছে
এই শুক্লাপক্ষের পুরনো অবগাহন ।
মন ফিরে মুঠু ফোনের একঘেয়ে আওয়াজে
আহ এই মুঠো ফোনের যেন আশ্বিন নেই
মন নেই শিশিরমাখা ভোর নেই
এড়ানো যায় না ফেলাও যায় না কিছুতেই ।
কী করেই বা তা সম্ভব?
ঝনঝনিয়ে বেজে ওঠা ফোনের লোভটা
ভুলাও তো যায় না আর
যদিও থাকে তাতে মিলনের যন্ত্রণা ।
ঝনঝনিয়ে ওঠা ফোনে উঠে আসা
আশ্বিনের গন্ধ ময়ুরাক্ষী নাচের প্রেম
প্রথম শরীর ভাঙার আলোড়ন
যেন আশ্বিনে শ্রাবণ ।
হু হু করে উঠা মনটায়
মনে পড়ে আশ্বিনের সেই দিন
স্কাইপে ধরে ছিলে জড়িয়ে
মনে জাগে সেই শিহরণ।
মনে আছে কি তোমার?
নাকি মুছে দিয়ে সব উড়ছ নিয়ে তাকে ?
অপরাজিতা ফুল আজও মনে করায় কি?
নাকি তোমার ভালবাসা আজ ড্যাফোডিলে ফোটে?
অনেক প্রশ্ন আমার
অনেক জানতে চাওয়া
শুনেছি এ বার নাকি দলবল নিয়ে করবে খেলা
উদাম শরীর নিয়ে সারি সারি সেলফি হবে তোলা।
এ দিকে ভেস্তে যাচ্ছি রাত জেগে
একসঙ্গে হুক্কাবারে হুল্লোড় সাজে
সম্পর্কগুলো গুলিয়ে ফেলেছি?
নিজেকেই খোঁজি অনেকের মাঝে ?
এখন নাকি এটাই চল?
যা কিছু অড তাই কি সুন্দর, তাতেই কি চমক?
ধনবান নই বলে কি ফেলেই গেলে চলে?
পুরনো মন নিয়ে আর কোথায়ই বা পারি যেতে ।
উত্তর দাও
দম বন্ধ হয়ে আসছে আমার
বলে দাও এই শারদিয় মেলায়
একলা আমি কী করব?
এই আশ্বিনে তোমাকে যেতে দিলাম
তবে কোনও দিন যাব না ছেড়ে
অপরাজিতা ফুলের দিব্যি
জেনো রইল সাথে ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১:৫৬