দেশে বর্তমানে প্রায় ৮ লাখ হেক্টর জমিতে বছরে ২০ লাখ টনের অধিক সবজি উৎপাদন হচ্ছে। জাতি সংঘের ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অগ্রানাইজেশনের ( FAO) প্রতিবেদনে দেখা যায় যে ২০১৪সালে দেশে মাথাপিছু সবজি ভোগের পরিমাণ ছিল ১৬৬.১ গ্রাম। উক্ত প্রতিবেদনে আরো দেখা যায় যে একজন মানুষের দৈনিক ৩০০ গ্রাম সবজি খেতে হবে। এই লক্ষ্যমাত্রা এখনো ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রয়োজনের তুলনায় সবজি ভোগের পরিমাণ শতকরা ৫৫ ভাগের মত । কাংক্ষিত মাত্রায় সবজি খেতে হলে বর্তমানের তূলনায় দেশে সবজি উৎপাদনের পরিমান আরো প্রায় দ্বিগুণ বাড়াতে হবে।
এ লক্ষে দেশের স্বনামধন্য কৃষি বিজ্ঞানীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সবজী উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য তাঁরা তাঁদের মত কাজ করে সাফল্য লাভ করুন সে কামনা সব সময় করি । প্রচলিত ধারণার সাথে আরো কিছু করা যায় কিনা এবং সেগুলি কিভাবে করা যায় তা সামুর বিজ্ঞ ভাই বোনদের সাথে শেয়ার করার মানসে এই লিখা ।
বিশ্ব ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশের জনসংখ্যার শতকরা ৩২ভাগ মানুষ শহরাঞ্চলে বসবাস করেন, যার সংখ্যা প্রায় ৬ কোটির মত । এই ৬ কোটি লোক সর্বোতভাবে নির্ভর করে গ্রামাঞ্চলে উৎপাদিত শাক সবজির উপর। শহরে হাতেগোনা কিছু বাসাবাড়ির বাগান, লন বা ছাদ ব্যতিত শাক সবজী চাষাবাদের কোন ব্যাবস্থা নাই বললেই চলে । অপরদিকে যাদের শাকসবজি উৎপাদনের জন্য কিছুটা সুযোগ আছে তাদের সকলেও তা করছেন না । অথচ একটি সমন্বিত ব্যবস্থার অধীনে সহজেই শহরাঞ্চলের উল্লেখযোগ্য মানূষকে শাক সবজি উৎপাদনে উৎসাহিত করা যেতে পারে ।
শহরে কিংবা গ্রামে যেখানে সাকসবজি উৎপাদনের জন্য জায়গা নেই সেখানে বর্তমানে বিভিন্ন পদ্ধতিতে সবজী চাষ হয়ে আসছে বিভিন্নভাবে । কিন্তু শহরাঞ্চলের কিছু লোকজন সবজী ফলাচ্ছেন নীজ নীজ উদ্ভাবনী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিচ্ছিন্নভাবে । একটি সমন্বিত কর্মসুচীর অধিনে শহরাঞ্চলকে সবজী চাষের আওতায় আনা গেলে অনেক বেশী সুফল পাওয়া যেতে পারে । তাই এ লক্ষ্যে শহরাঞ্চলে সম্ভাব্য কি কি উপায়ে একটি সুসমন্বিত কর্মসুচীর আওতায় সবজি উৎপাদন করা যায় এ আলোচনাটা মুখ্যত সেখানেই কেন্দ্রিভুত ।
শহরাঞ্চলকে সবজীতে স্বাবলম্বি করার জন্য মুলত: ছয়টি পরিক্ষিত পদ্ধতি নিয়ে এখানে আলোকপাত করা হয়েছে :
১) সবজি চাষের জন্য প্লট এলটমেন্ট
২) উঠানে বা গৃহ আঙ্গীনায় সবজী চাষ
৩) বারান্দায় সবজীর আবাদ
৪) ছাদে টবে কনটেইনার পদ্ধতিতে সবজীর আবাদ
৫) গৃহাভ্যন্তরে সবজী আবাদ
৬) গৃহের বাইরে দেয়ালে সবজী আবাদ
নিম্মে ছবির সাহয্যে পদ্ধতিগুলি দেখানো হলো:
ক) প্লট এলটমেন্ট পদ্ধতি
শহরাঞ্চলের বাসিন্দাদেরকে কমিউনিটি পদ্ধতিতে সবজী চাষে উদ্ভুত করার জন্য বর্তমানে ইউরোপিয়ান দেশ সমুহে সবজি চাষের জন্য প্লট এলটমেন্ট পদ্ধতিটি ব্যাপকভাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে । এই পদ্ধতির আওতায় শহরের আবাসিক এলাকা সন্নিহিত কোন স্থানে এক থেকে দুই একর পরিমিত স্থানে ছোট ছোট (প্রায় ১ শতক জমি )প্লট সৃজন করে আগ্রহীদের কাছে সবজি চাষের জন্য এলটমেন্ট বা বরাদ্ধ দেয়া হয় । সেখানে বরাদ্ধ প্রাপ্তরা সারা বছর তাদের পছন্দ অনুযায়ী সবজী চাষ করতে পারেন । একটি উম্মোক্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আগ্রহীদেরকে প্লট বরাদ্ধ দেয়া হয় , আগে দরখাস্ত করলে আগে পাবেন ভিত্তিতে। আবেদনারীর সংখ্যা বেশী হলে অপেক্ষমান তালিকায় থাকতে হয় । উদাহরনস্বরূপ বলা যায় গ্রেট বৃটেনে একজন আবেদনকারীকে অনেক ক্ষেত্রে ১০ বছরেরও বেশী সময় একটি প্লট পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয় । জার্মানীতে প্রায় ১৪ লক্ষ এবং গ্রেট বৃটেনে প্রায় ৩.৩০ লক্ষ এধরনের এলটমেন্ট প্লট আছে, এর পরের স্থান নেদারল্যান্ড, তাদের রয়েছে প্রায় ২.৪০ লক্ষ প্লট ।
অনুরূপভাবে এ দেশেও শহরাঞ্চলের আবাসিক এলাকার কাছাকাছি কোন সুবিধাজনক স্থানে সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার সরাসরী তত্বাবধানে সবজী চাষের জন্য একটি করে ১-২ একরের প্লট তৈরী করে সেখানে এক শতক পরিমান জমি নিয়ে ছোট ছোট প্লট করে সবজী চাষের জন্য আগ্রহীদের মাঝে বরাদ্ধ দেয়া যেতে পারে । বরাদ্ধ প্রাপ্তরা তাদের সুবিধামত সময়ে প্লটে নীজে ও পরিবারের অপরাপর সদস্যগন মিলে বিভিন্ন ধরনের সবজী ফলাতে পারবেন । প্রয়োজনে একটি সমন্বিত ব্যবস্থার অধীনে তাদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন সার , বীজ ও সেচের সুবিধা দেয়া যেতে পারে ।
ক-১ প্লট এলটমেন্ট লে- আউট ( Master plan )
খ) বাসাবাড়ীর উঠান বা আঙ্গিনায় সবজী চাষ
বাসাবাড়ীর রান্নাঘরের পাশেই যদি ফলে সবজী , হাত বাড়ালেই যদি মিলে যায় কিছু টাটকা সতেজ টমেটু, লাও , কুমরা, চিচিংগা, ডেরস, বরবটি , শশা, করলা, কাকরুল , দুনদুল, জিঙ্ঘে , আলু , কাচা মরিচ , কচু, পুইশাক , ডাটাশাক, লাল শাক , পালং শাক , কচুশাক তাহলে এর স্বাদই হবে আলাদা , এতে থাকবেনা কোন কৃত্তিম সারের বাহুল্যতা, বিশাক্ত কীট নাশকের প্রবলতা কিংবা কেমিকেল মিশিয়ে রঙগীন করার কোন কুট কুশিলতা । ভোজনের তৃপ্তির সাথে দিবে স্ব্যাস্থকর উপাদানের নিশ্চয়তা । থাকবে আর্থিক ও শপিং এর সময় সাশ্রয়তাও । উঠানকোণে জন্মানো শাক সবজীর দৃশ্য দেখলেও মনে আসে প্রফুল্যতা । চলুন এ ফাকে ঘুরে আসা যাক উঠানকোণে জন্মানো শাক সবজীর কিছু ছবি ব্লগে ।
খ- ১) হাত বাড়ালেই কাঁচা পাকা সতেজ কিটনাশক মুক্ত টমেটু
সঠিক জাত বেছে নিয়ে নিয়ম মত চারা লাগিয়ে পরিচর্চা করলেই পাওয়া যাবে সারা বছর জুরে বিভিন্ন আকারের টমেটু ।
খ- ২) রান্না করতে গিয়ে স্টকে পাওয়া না গেলে দুটু কাঁচা মরিচের জন্য দৌড়াতে হবেনা আর বাজারে ।
খ- ৩) চোখের সামনে সতেজ মিস্টি কুমড়া দেখে চোখ জোড়াবে আবাদকারীর
খ-৪) কচি চাল কুমড়ার চাকভাজি হতে পারে মাত্র কয়েক হাত দুরের কারসাজি
খ- ৫) চিচিংগা তুলতে গিয়ে চিরল দাতের হাসি বয়ে আনে শুধুই খুশী
খ-৬) উঠানকোণে/ আঙ্গীনায় লাগালে গাছ বেগুন , সঠিক পরিচর্চায় ফলবে দ্বিগুন
খ-৭) কচি ডাটা লাল শাক দেখে আবাদকারী হবেই শুধু অবাক
খ- ৮) কড়লা- সকলেই জানে এটা অতি তিতা কিন্তু হলে তেলে ভাজা লাগে দারুন মঝা
খ- ৯) যদি থাকে উঠান জুরে গুটিকয়েক এই গাছ, নিত্য দিবে কয়েক হালী তাজা ডেরস
গ ) বারান্দায় সবজির আবাদ
যাদের বসত বাটি কিংবা বাসা বাড়ীতে কোন উঠান নেই তারা অনায়াসে বারান্দায় মাটির টবে কিংবা অন্য কোন কনটেইনারে বিভিন্ন ধরনের শাক সবজির আবাদ করতে পারেন । এর আবাদ ও পরিচর্চা অতি সহজ এবং আমাদের এ কৃষি প্রধান দেশে কমবেশী সকলেই তা জানেন, কেননা অনেকেই বারান্দায় এটা করছেন । কখন কি প্রকারের শাক সবজি আবাদ সম্ভব তা আর এখন কারো অজানা নয় । একটু সচেষ্ট হলে উৎসাহী অন্য যে কেও তা ফলাতে পারেন । অত্যধিক বিলাশী ও সৌখিন যারা এবং যাদের বাসা বাড়ীতে রয়েছে একাধিক প্রসস্ত বারান্দা তারাও কিন্তু সৌখিন প্রজাতীর দৃষ্টি নন্দন প্রয়োজনীয় কিছু শাক সবজী বারান্দার টবে ফলাতে পারেন । বারান্দার টবে ফলন উপযোগী দৃষ্টি নন্দন কয়েকটি সবজির ছবি নীচে দেখানো হলো ।
ফুলের মত ফুটে থাকা হরেক রঙ্গের কাঁচা মরিচ
একটি টবে বিভিন্ন রঙ্গের কাঁচা মরিচ ফলানো এখন বিশ্বের প্রায় সকল নগড়বাসীর কাছেই অতি সৌখিন একটি আইটেম । বিদেশের বিভিন্ন দামী দামী ডিপার্টমেনটাল স্টোরে তাজা ফুল গাছের টবের সারিতে এই রংগীন কাঁচা মরিচ এখন একটি উল্লেখযোগ্য আসন দখল করে নিয়েছে । মার্কস এন্ড স্পেনসার এর মত বিখ্যাত ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে দামী অর্কিড ফুলের টবের পাশে এই বাহারী কাঁচা মরিচ স্থান দখল করে নিয়েছে সগৌরবে । আমাদের দেশের সৌখিন নগড় বাসীরা যদি টবে কাঁচা মরিচের আবাদ করেন তাহলে এর প্রদর্শণী ( Demonstration effect) প্রভাব অনেক ব্যাপক হবে বলে আশা করা যায় ।
গ-১ ) একই টবে হরেক রঙ্গের কাঁচা মরিচ
গ-২ ) ঝুলন্ত টমেটু গাছ , বারান্দায় ঝুলিয়ে রাখা টবে লাগালে ফলের সাথে সোন্দর্য বৃদ্ধিতেও সহায়ক
গ-৩ ) যাদের বাসাবাড়ীতে কোন প্রসস্ত বারান্দা নেই তাদেরো হতাস হওয়ার কোন কারণ নেই , তারা একটুখানি সুবিধা থাকলে নীচের ছবির মত দেয়ালে হুকের সাথে আটকিয়ে কোন সুবিধামত টবে রকমারী শাক সবজির আবাদ করতে পারেন অনায়াসে ।
গ-৪ ) শুধুমাত্র একটি টবেও রকমারী সবজি ফলানো সম্ভব , জাপানীরা একটি টবে বছরে ১০ টিরও বেশী জাতের সবজী ফলিয়ে থাকে , নীচে ছবিতে দেখতে পাওয়া যায় জাপানীরা কি ভাবে ৩টা টমেটু, ২ টা শশা ও ৮ টা লেটুস গাছ একসাথে একটবে ফলায় ।
ঘ ) ছাদে সবজির আবাদ
লনের বাগানের মত ছাদেও সবজীর বাগান করা যায় । ছোট ছোট মাচা বা খাটিয়ার উপরে বাশের তৈরী বড় বড় ঝুরীতে বা অন্য কোন সুবিধামন্ডিত কনটেইনারে কম্পোস্ট সার মিশ্রিত মাটিতে নিচের ছবির মত হরেক পদের নীজ পছন্দ অনুযায়ি সবজীর আবাদ করা যায় ।
ঘ -১) ছাদে সবজী বাগানের একটি লে- আউট
ড্রিপিং পদ্বতিতে খুব সহজেই ফুটায় ফুটায় গাছের গোড়ায় অল্প পানিসেচেই এর পরিচর্চা করা যায় । ড্রিপিং ইরিগেশন পদ্ধতির সচিত্র বিবরণ আমার পুর্ববর্তী পোস্টে দেয়া হয়েছে, এখানে CLICK HERE ক্লিক করে দেখা যেতে পারে । এই পদ্ধতিটি আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের কলিকাতায় ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে এবং সবজী চাষীরা এর সুফলও পাচ্ছেন, অল্প জায়গায় অধিক পরিমানে সবজী ফলিয়ে ।
ঘ-২) ড্রিপিং পদ্ধতিতে চাষাবাদের একটি লে-আউট
ঘ-৩) নিউইয়র্কের মত শহরেও অনেক বানিজ্যিক ভবনের ছাদে ড্রিপিং পদ্ধতিতে ফুল , ফল ও সবজী ফলানো হচ্ছে , আমাদের দেশেও বড় বড় বানিজ্যিক ভবনের ছাদে এ পদ্ধতি অবলম্বন করা যায় অনায়াসে ।
ঘ- ৪) ছাদে যাদের জায়গা কম তারা নিম্মে প্রদর্শিত পদ্ধতিতে অল্প জায়গায় অধিক পরিমানে বিভিন্ন ধরণের সবজীর আবাদ করতে পারেন । নীজের সুবিধা মত নিম্মের ডিজাইন অনুযায়ী স্থানীয় কোন ওয়ার্কসপ থেকে স্টীলের ফ্রেমের উপর প্লাস্টিক কনটেইনার বা কাঠের কনটেইনার তৈরী করে নেয়া যেতে পারে ।
ঘ-৫) যাদের ছাদে জায়গা একেবারেই কম তারা নীচে দেখানো বড় মাটির টবে সবজীর আবাদ করতে পারেন ।
ঘ-৬) যারা ছাদকে উম্মোক্ত রাখতে চান তারা ছাদের এক প্রান্তে নিম্মের ছবি অনুযায়ী কাঠ বা বাঁশের তৈরী লম্বা কনটেইনারে সবজীর আবাদ করতে পারেন ।
ঙ ) গৃহাভ্যন্তরে সবজী বাগান ( Indoor vertical vegetable gardens )
নিম্মের ছবি অনুযায়ী নিজস্ব সৃজনশীলতা প্রয়োগ করে যে কোন সৌখিন সবজীচাষি তাক বসানো পিকচার ফ্রেমের মধ্যে সালাদ জাতীয় সবজির আবাদ করতে পারেন, এতে ঘরের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে ।
ঙ-১) বসার ঘরে পিকচার ফ্রেমে সবজী বাগান
ঙ-২ ) ডাইনিং হলে/রুমে পিকচার ফ্রেমে সবজী বাগান
চ) সবুজ দেয়াল (গ্রীন ওয়াল) সবজী বাগান
ইদানিং পৃথীবীর অনেক বড় বড় শহরে গ্রীন ওয়াল বা সবুজ দেয়াল ধারণা বেশ ফ্যাশন দুরস্থ হয়ে উঠছে । হয় কোন একটি বড় ভবনের অংশ বিশেষ কিংবা কোন উম্মোক্ত দেয়ালে বিভিন্ন মাপের তাকের সমাহারে উলম্বভাবে সারি সারী বিভিন্ন ধরনের সবজী ও সালাদ জাতীয় দৃষ্টি নন্দন শাক সবজীর চাষাবাদ করা হচ্ছে । প্রতিবেশীদেশ ভারতের উদয় নগড়ে রেল স্টেশনের দেয়ালে এ ধরনের বাগানের দৃশ্য দর্শকদের নজর কাড়ছে । অনেকেই নীজ বাড়ীর প্রাচীরেও পছন্দমত শাক সবজীর গাছ লাগিয়ে এ ধরণের সবজী বাগান রচনা করছেন । ইচ্ছে করলে আমাদের দেশেও বিত্তবানেরা তাদের বাসা বাড়ীর দেয়ালে এ ধরনের সবুজ দেয়াল বাগান রচনা করে সৌন্দর্য বৃদ্ধি সহ প্রকৃতিতে অধিক পরিমান সবুজের সমারোহ ঘটিয়ে শহরের বিষাক্ত আবহাওয়াকে নির্মল করা সহ শহরাঞ্চলে সবজী চাষের একটি নয়া দিগন্ত রচনা করতে পারেন অনায়াসে ।
চ-১) বাসাবাড়ী কিংবা বানিজ্যিক ভবনের দেয়ালে সবজী আবাদ
চ-২ ) বাসা বাড়ী কিংবা কারখানা ভবনের প্রাচীরের গায়ে গড়ে তোলা সবজী বাগান
এ পোষ্টে আলোচিত পদ্ধতিগুলি ছাড়াও শহরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নীজ নীজ সুবিধামত স্ব-উদ্ভাবিত পদ্ধতিগুলিকে একটি সমন্বিত কর্মসুচীর মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা গেলে আশা করা যায় শহরাঞ্চল গুলি তার নীজের সবজী চাহিদা পুরণে ক্রমান্বয়ে স্বাবলম্বি হয়ে উঠবে ।
ছবিসুত্র : গুগল নেট
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩