বিসিবিকে অনূর্ধ্ব -১৬ নারী ফুটবলারদের সাফল্যের জন্য পুরস্কৃত করবেন সেটা দারুন খবর, তাদেরকে সাধুবাদ জানাই। সম্মানিত ব্যাক্তিদের তার প্রাপ্য সম্মান দেয়া উচিৎ।
গত কয়েকদিনে আগে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে নারী ফুটবলাররা যে ইভটিজিং এর স্বীকার হয়েছে সেটা আমাদের দেশে নারীদের সাথে হরহামেশাই ঘটে তাই এটাকে স্বাভাবিক ঘটনা ভাবতেই পারে অনেকে। ইভটিজিং সে সামান্যই হোক আর বেশী হোক এই দেশে সেটার আইন আছে। কেউ যদি কোন নারীকে বিভিন্ন কুটক্তি'র মাধ্যমে বিরক্ত করে তাহলে তার ৩ মাসের জেল-জরিমানা হতে পারে। আমাদের দেশের আইন প্রণয়ন সংস্থা কি ঐ কুটক্তি করা ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন? আমি জানি না, হয়ত হ্যা বা না। এই ব্যাপারে কাউকে ইতিমধ্যে কোন কিছু বলতে শুনিনি আমি। যাইহোক আমি বাফুফের ভুলটাকে জাস্টিফাই করছি না। তাদের এই ভুলটাকে কোনভাবেই মেনে নেয়া সম্ভব না, কিন্তু ভুল সংশোধনের চেষ্টা করা যেতে পারে। বাফুফে সেই ভুলের সংশোধন না করে ইতিমধ্যে তাদের পক্ষে কিছু সাফাই গেয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। মেনে নিলাম সেটাও সত্য কিন্তু অভিভাবকহীন এই মেয়েগুলোকে ছেড়ে দেওয়া কোনভাবে যুক্তিযুক্ত ছিলো না, ওরা দেশের জন্য কোন সাফাল্যেও যদি নিয়ে নাও আসতো তাহলেও তাদের ওভাবে ছেড়ে দেয়াটা ঠিক হতো না। দেশের জন্য ফুটবল খেলা এই মেয়েদের দায়িত্ব বাফুফেরই এবং সমস্ত ঘটনার দায়ভার তাদেরই নিতে হবে।
এবার আবার ফিরে যাই বিসিবির কথা। বিসিবি এবং বাফুফে দুটোই একি ধরণের সংস্থা পার্থক্য শুধু ক্রিকেট আর ফুটবল। এরা একে অপরের ভুলগুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে ভুল বলে সরে যাওয়াটা আমার কাছে সমীচিন মনে হয় না। একে অপরের ভুলগুলো দেখিয়ে তা সংশোধনের পথ দেখাবে। অনূর্ধ্ব-১৬ নারীদের পুরষ্কার দেয়ার ব্যাপারটা হয়ত তাদের আগে থেকেই ভাবনা ছিলো, হয়ত ডিক্লারেশন তারিখটাও সেদিনই ছিলো। কিন্তু কখন কখন কিছু সময় চুপ করে থাকতে হয়। সারা দেশে যখন বাফুফের বিপক্ষে সোচ্চার তখন যারা বিজ্ঞ যাদের সুযোগ আছে বাফুফের সাথে কথা বলার, তাদের বাফুফের সাথে কথা বলে তাদেরকে তাদের কৃত ভুলগুলোর জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বা অন্য কোন কিছু থাকলে সেটা করে ভবিষ্যতে এই ধরণের ভুল না হবার অঙ্গীকার করানোর একটা ব্যবস্থা করতে পারতেন। বাফুফের সাথে কথা বলে পুরস্কারের কথাগুলো ঘোষনা করতে পারতেন। বিসিবি'র যে ভুল হবে না কোনদিন তা নিশ্চয়ই তারা বলতে পারবেন না। তখন বাফুফে সেই সুযোগটা নেবার চেষ্টা করবে। সবারই ভুল হয়, হয়ত কিছু ভুল মেনে নেয়া যায় না। যখন ভুলগুলো হয় এবং সেই ভুলগুলো নিয়ে কাউকে বারবার তা মনে করিয়ে দেয়া হয় সে তখন আবারও ভুল করতে থাকে তার ইগোটিক মানসিকতার জন্য। ভুল করে যেনো আবার কাউকে ভুলের পথে পা বাড়ানো সুযোগ না করে দেই আমরা।
এই দেশটা আমার এখানে সবাইকে একসাথে থেকেই ভুলগুলোকে সংশোধন করে এগিয়ে সুন্দর একটা দেশে পরিণত করতে হবে। আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। নেগেটিভ ভাবনাগুলো পরিহার করে আসুন সবাই এগিয়ে চলি একসাথে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮