এই ভিডিও দুইটা আগে দেখেন
বন্যা হইছে কুমিল্লা-ফেনী-নোয়াখালী এলাকায়। তার মানে গোমতী নদীর কারণে। গোমতী নদীর উপর ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে। ভারত ডম্বুর বাঁধ খুলে দিছে কারণ ত্রিপুরা বন্যায় ডুবে গেছে, আর সেই পানি এখন বাংলাদেশে এসে ঢুকছে, সেখান থেকে হইছে বন্যা। এইবারের বন্যা ফারাক্কা বাঁধের কারণে হয় নাই, ফারাক্কা বাঁধ পদ্মা নদীর উপর, রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাশে। ফারাক্কার কারণে বন্যা হলে সেই বন্যা হতো রাজশাহী, কুষ্টিয়া আর ফরিদপুর এলাকায়। ভাই, দেশের মানচিত্রটা একবার একটু খুলে দেখেতে এদের সমস্যা কি ভাই? আর ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশে কখনো বড় বন্যা হইছে কিনা জানা নাই, কারণ উত্তরবঙ্গ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক উঁচুতে। তবে ফারাক্কা বাঁধের কারণে খরা মৌসুমে পানি পাওয়া যায় না এটা ঠিক।
আর সবাই বলতেছে, ফারাক্কা বাঁধের সামনে "আরো উঁচু আর আরো বড়" বাধ দিতে হবে।
আরে বেকুব, ফারাক্কা বাঁধের সামনে আরেকটা বাঁধ বানায়ে কি লাভ? একটু বুঝায় বলেন আমারে। বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উজান ভারতে, পুরা বাংলাদেশ ভারতের ভাটিতে, আমরা বাঁধ দিলে সেটাও হবে ভাটিতে। ভাটিতে বাঁধ দিয়ে পানি আটকাবেন, তারপর সেই পানি কোথায় যাবে? সব পানিতো আমাদের দেশের মধ্যেই আবার উপচায়ে পড়বে, বন্যা হবে এক যায়গার বদলে আরেক যায়গায়। যদি "ভারতকে শিক্ষা" দিতে চান, তাইলে বাঁধ বানাতে হবে ফারাক্কা বাঁধের পেছনে, তার মানে আরো উজানে, তাইলে কি নেপালে গিয়া বাঁধ বানাবেন? আর শুধু ফারাক্কা না, ভারতের সব বাঁধের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য।
হায়রে বেকুব বাঙ্গালী, আজীবন বেকুব রয়ে গেল। আল্লাহ আমাদের জ্ঞান আর বুদ্ধি দিন, আমীন।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৪:০৩