somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আইনস্টাইন কে? তিনি কি করেছিলেন?

২৯ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কি প্রশ্ন শুনে অবাক হয়ে গেলেন। মনে মনে হয়ত বলছেন আইনস্টাইনকে জানোনা আবার তার ছবি নিকে দিয়েছ কিভাবে??

এ প্রশ্নটি আমি অনেকেই করেছিলাম: আইনস্টাইন আসলে কি করেছিলেন? বেশির ভাগেরই উওর ছিল তিনি বিখ্যাত একজন বিজ্ঞানী ছিলেন। কেউ কেউ আবার বলেছিলেন তার সেই বিখ্যাত সমীকরনের E=mc^2 এর কথা ।
আইনস্টাইনের প্রসঙ্গ আসলেই আমরা তার জীবনের মজার মজার দিক নিয়ে আলোচনা করি। যেমন তিনি খুব সুন্দর বেহালা বাজাতের পারতেন, মাঝে মাঝে বাসার ঠিকানা ভুলে যেতেন, শেইভ করতেন সাবান দিয়ে। আবার আমরা ব্যপক অর্থে মেধাবী মানুষকে বুঝাতে আইনস্টাইন বিশেষনটি ব্যবহার করি।


তাহলে আইনস্টাইনের বৈজ্ঞানিক পরিচয় কি?

এলবার্ট আইনস্টাইন!! বিজ্ঞান জগতের এক অন্যন্য স্রষ্টা এবং সংস্কারকের নাম। তিনি বিজ্ঞানকে দিয়েছেন নতুন এক পরিচয়। যে বিজ্ঞান স্থান, কাল আর ব্যক্তির উর্দ্ধে। বিজ্ঞান জগতে তিনি থিওরী অব রিলেটিভিটি বাংলায় যার নাম অপেক্ষিকতাবাদ এর সংস্কারক কিছু কিছু ক্ষেএে সৃষ্টিকর্তা।
বাংলা উইকি পিডিয়ার ভাষায়:
আলবার্ট আইনস্টাইন (জার্মান ভাষায়: Albert Einstein আল্‌বেয়াট্‌ আয়ন্‌শ্‌টায়ন্‌) (মার্চ ১৪, ১৮৭৯ - এপ্রিল ১৮, ১৯৫৫) জার্মানিতেজন্মগ্রহণকারী একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি তার বিখ্যাত আপেক্ষিকতার তত্ত্ব এবং বিশেষত ভর-শক্তি সমতুল্যতার সূত্র আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত।

তার পরিচয় এর জন্য এই ভিডিওটি লক্ষ্য করুন।






আইনস্টাইন আসলে কি করেছিলেন?

এখানে আমি ধাপে ধাপে তার গবেষনা ও তত্ত্বগুলো নিয়ে আলোচনা করব।

১. থিওরী অব রিলেটিভিটি

অনেকেই আইনস্টাইনকে থিওরী অব রিলেটিভিটির মূল স্রষ্টা মনে করেন। এটি একটি ভুল ধারনা!!!!
এই ধারনা টি আসলে বিভিন্ন বিজ্ঞানীর বিভিন্ন সময়ের আবিষ্কার থেকে আস্তে আস্তে মানুষে সামনে আসতে থাকে। তবু বিখ্যাত বিজ্ঞানী ম্যাক্স প্লাঙ্ক (১৯০৮ সালে) প্রথম এটি সম্র্পকে ধারনা দেন। আইনস্টাইন তাকে বিস্তৃত করেছেন, একে দিয়েছেন পুর্ণাঙ্গরুপ। আলো তরঙ্গ নাকি ইথার তা নিয়ে গবেষনার মধ্যেই লালিত হয়েছে এই থিওরী অব রিলেটিভিটি। মজার কথা হল আইনস্টাইন কিন্তু নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন এই আলোক-তড়িৎ ক্রিয়া সম্পর্কীত গবেষণার জন্য নিয়ে গবেষনা করার জন্য। আলো আসলেই আলো হয়ে ধরা দেয়ে বিশ্ববাসীর কাছে আইনস্টাইনের জন্য।
থিওরী অব রিলেটিভিটির দুইটি আছে।
১.জেনারেল থিওরী অব রিলেটিভিটি এবং
২. স্পেশাল থিওরী অব রিলেটিভিটি।

থিওরী অব রিলেটিভিটি পুরো বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিই পরিবর্তন করে দিয়েছে। থিওরী অব রিলেটিভিটি আসলে একক কোন সূএ নয়। অনেক গুলো সূএের সমন্বয়েই এটি গঠিত।
থিওরী অব রিলেটিভিটির প্রথম দুই অধ্যয়ই তুলে ধরা হয়েছে বস্তুজগত সম্পর্ক আমাদের ভুল ধারনা গুলো। থিওরী অব রিলেটিভিটির আগে বিজ্ঞানের তত্ত্ব ছিল পর্য বেক্ষকের গানিতিক প্রমানের ভিত্তিতে ফলাফল। এর আগের বিজ্ঞানের কিছু কিছু তত্ত্ব সব জায়গায় খাটত না। কিন্তু আইনস্টাইন এই প্রথম থিওরী অব রিলেটিভিটির মাধ্যমে বলে বিজ্ঞানের সূএ সব জায়গায় সমান হতে হবে। আর এজন্য আমাদের বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিই পরিবর্তন করতে হবে। এটি এমন একধরনের দৃষ্টিভঙ্গি যা সর্বক্ষেএে সমান এবং নিরেপেক্ষ(পর্যবেক্ষকের যে কোন ভুল ক্রটিমুক্ত)। এটি এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি যেখানে স্থান কাল পর্যন্ত কোন বাধা হতে পারবে না।


আইনস্টাইন নিজের হাতে লেখা জেনারেল রিলেটিভিটি এর স্ক্রিপ্ট।

থিওরী অব রিলেটিভিটি এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো হল:
১. পদার্থবিজ্ঞানের সব সূএ সবজায়গায় সমান।
২. বস্তুজগতে বা মহবিশ্বে আলোর চেয়ে দ্রুতগতি সম্র্পন্ন আর কিছুই হতে পারে না। এটি চরম গতি(সেকেন্ডে ১৮৬০০০ মাইল)।
৩. আলোর গতি স্থান কালের সীমা অতিক্রম করে।
৪. সময় এবং কালের আপেক্ষিকতা। তাদের সর্ম্পক স্থাপন।
৫. আর E=mc^2 । এটা অবশ্য জেনারেল রিলেটিভিটির একটি বিষয়।


থিওরী অব রিলেটিভিটি এর উপর চারটি ভিডিও।
http://www.youtube.com/watch?v=6rl3Z9yCTn8

ভিডিও গুলো লোড হতে সময় নেয় তাই শুধু লিংক দিলাম।
http://www.youtube.com/watch?v=WgsKlSnUO0k

http://www.youtube.com/watch?v=W6o_-yTa168

http://www.youtube.com/watch?v=TSOPq9rZYcU

ভিডিও গুলো দেখার পর হয়ত অনেক কিছুই বুঝতে পারছেন। আসলে এই বিষয়টা অনেক গুলো সূএের উপর নির্ভরশীল। তাই কেউ চাইলেও এক বাক্যে এটি বলতে পারবে না। জাফর ইকবাল স্যারেই এই বইটি পড়ে দেখতে পারে। ডাউনলোড করুন এখান থেকে।


যাক অনেক কঠিন কঠিন কথা বলে ফেললাম তাই একটি কৌতুক দিয়ে আজকের পর্ব শেষ করব।

আইনস্টাইন কে একবার এক সংবাদিক প্রশ্ন করলেন “আপনি এক বাক্যে থিওরী অব রিলেটিভিটি টা বলতে পারবেন।”
আইন স্টাইন তখন বলেছিলেন এরকম:
"থিওরী অব রিলেটিভিটি হল এরকম যেমন আপনি যদি কোন সুন্দরী মেয়ের সাথে এক ঘন্টা থাকেন তখন আপনার কাছে এক মিনিট মনে হয় কিন্তু আগুনের শিখার উপরে এক মিনিট হাত রাখেন তখন একঘন্টা মনে হয়।"

তথ্যসূএ:
ছবি: উইকিপিডিয়া
ভিডিও: ইউটিউব
বিভিন্ন বই আর সাইট থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৫:৫৯
১১টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×