সালাম নিবেন। একটু মন দিয়ে পড়বেন। চেষ্টা করব বুঝিয়ে বলার। ভাষা আন্দোলন হয়েছিল কেননা অধিকাংশ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলত। তখন বাঙ্গালীরা এক হয়েছিল। উর্দু ভাষা আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া না হলে কিন্তু এই ইস্যু তৈরি হত নাহ। ভাষা আন্দোলন হত নাহ। মানুষ তাজা রক্ত দিয়ে আনল ২১ শে ফেব্রুয়ারি। এর পর বঙ্গবন্ধু ১৯৭০ সালে ঘোষনা দিল তিনি নির্বাচনে জিতলে ইসলাম কেই প্রাধান্য দিবেন। মুসলিমরা এক চাটিয়া তাকে ভোট দিল এবং তিনি নির্বাচিত হলেন।
এবার কোরবানির ঈদের আগে কিছু নাস্তিক বলতে লাগল গরু জবেহ করা যাবে নাহ । এত পশু হত্যা করা যাবে নাহ। তারা ইস্যু দেখাল পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এত পশু হত্যা করা পশু বিলুপ্তির কারন। এই পথ ধরেই কিছু মানুষ একটা দল ঘটন করল। এই দলের নাম কি জানি ঐক্য পরিষদ ( এই দলের নাম আমি সিওর নাহ )। এদের কথা দেশ থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকা যাব নাহ। রাষ্ট্রধর্ম হবে নিরপেক্ষ। এই নিরপেক্ষ কারা ? অল্প কিছু নাস্তিক। শিশু আর পাগল ছাড়া সবাই ধর্মের অন্তর্ভুক্ত। এরা আসলে পাগল। আর এরা অরাজকতা বাড়ানো ছাড়া আর কোন কাজে আসে নাহ। নাস্তিকরা মারা গেলে কি না কবর দিবেন নাহ আগুলে পুড়িয়ে ফেলবেন। নাস্তিকরা মারা গেলে কেটে টুকরা টুকরা করে চিল কুকুর দিয়ে খাইয়ে দিতে হবে। এই নাস্তিকরা গুটিকতক।
এবার ইসলাম নিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করি। আল্লাহ সূরা মায়েদা তে বলেছেন আমি ইসলাম কে পরিপুণ্য করলাম। এই পরিপুন্য এর অর্থ আমদের বুঝতে হবে। পরিপুন্য বলতে সব কিছুতেই ইসলাম আছে। আপনার জীবন বিধানের সব ক্ষেত্রেই ইসলাম আছে। আপনি যদি বলেন আপনি ইসলাম আমার জীবনের এই অধ্যায়ে নেই তাহলে আপনি কাফের। নামাজ সাওম পালন করে যাচ্ছেন কিন্তু এসব মেনে নেন নি তাহলে আপনার এই আমল কোন কাজে আসবে নাহ। প্রতিটা সেকেন্ড মিনিট ঘন্টা দিন মাস বছর সব কিছুতেই ইসলাম বিদ্যমান। ইসলাম পরিপুন্য জীবন বিধান এটা মেনেই আপনাকে সাওম নামজ এবং বাকি সব পালন করতে পারবেন নাহ। ছেলে, মেয়ে, সমাজ, রান্নাঘর, পার্লামেন্ট সব ক্ষেত্রেই ইসলাম আছে।
এদেরশের ৯০% মানুষ ইসলাম ধর্ম মেনে চলে। যেসব দেশে ৬০% থেকে ৬৫% মানুষ কোন ধর্মের অনুসারী সেসব দেশের রাষ্ট্রধর্ম
সেটাই এরকম দেশ ৬০টার মত আছে পৃথিবীতে । আমাদের পাশের দেশে ৬০-৬৫% মানুষ হিন্দু সেখানে রাষ্ট্রধর্ম হিন্দু। । ভারতে একজন মুসলিমকে কত কষ্ট করে ইসলাম ধরে রাখতে হয় আপ্নারা ভাবে অবগত আছেন। ভারতে গরু জবেহ করা নিষিদ্ধ। ৯০% মুসলিমের দেশে আমরা কি পারতাম নাহ দুর্গা পূজা, বড় দিন , বৌদ্ধ পূর্ণিমা এসব বন্ধ করে দিতে ? অবশ্যই পারতাম । কিন্তু আমরা তা করি নি। আমরা সবাই যে যার ধর্ম পালন করে যাচ্ছি। এই বাংলাদেশে কেউ বলতে পারবে নাহ এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের কোন আয়োজনে বাঁধা দিতে গেছে। এটা এমন এক ভাল মানুদের দেশ। পৃথিবীর আর কোথাও এমন নজির আপনি পাবেন নাহ। অন্য এমন অনেক দেশ আছে যে দেশের মুসলিমরা মাইকে আযান দিতে পারে নাহ। ইসলাম ঠিকমত পালন করতে পারে নাহ। আমাদের দেশে এমটা নাই। সবাই তাদের মত করে নিজ ধর্ম পালন করে যাচ্ছে।
আমাদের মুখ বন্ধ করে থাকা চলবে নাহ। এই নাস্তিকরা অল্প কিছু মানুষ। এরা এদেশটাই অরাজকতা বাধাতে চায়। তারা চায় নাহ এখানে কোন মানুষ শান্তিতে থাকুক। যে মানুষটা আদালতে রাষ্ট্রধর্ম নিরপেক্ষ করতে চেয়েছে তাকে কেন তখন ই আইনের আওতায় আনা হোল নাহ ? এদেরশের মাটিতে ঘুমিয়ে আছে শাহজালাল, শাহপরান আরও অনেকে। এদেশের মাটিতে নিরপেক্ষ ধর্ম রাষ্ট্রধর্ম হতে পারে নাহ । আমরা এগিয়ে আসব যেমন এগিয়ে এসেছি ভাষা আন্দোলনে। এগিয়ে এসেছি বঙ্গবন্ধুর ভাষণে। আবার এগিয়ে আসব। শরীরে বিন্দু মাত্র রক্ত থাকতে একদেশের মাটিতে রাষ্ট্রধর্ম নিরপেক্ষ হতে দেব নাহ। আল্লাহ আমাদের এই উছিলায় বেহেশত দিবেন। আল্লাহর পথে থাকুন । মরন একবারই হয়। আল্লাহর পথে একবার নিজেকে দিয়ে দিতে পারলে ইনশাআল্লাহ্ আল্লাহ এর জন্য পুরষ্কার দিবেন। ইমান থাকবে নাহ যদি আপনি আজ এই ইসলামের জন্য না এগিয়ে আসেন।
আমীন।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৫