১৯৬২ সালে যখন হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে ছাত্র-সমাজ সোচ্চার তখন পাকিস্তান সরকার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ করার ঘোষনা দেয় ।আজ ২ মার্চ কলেজটি তার প্রতিষ্টার ৫০ বছর উদযাপন করেছে ।ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ তার সুদীর্ঘ পথ চলায় তৈরি করেছে দেশবরেণ্য অসংখ্য চিকিৎসক ,শিক্ষক এবং সমাজ সেবক ।
প্রতিষ্ঠাকালে কলেজটি গড়ে ওঠেছিলো লিটন মেডিকেল স্কুল এবং সূর্যকান্ত হাসপাতালকে কেন্দ্র করে।ছোট্র পরিসরে শুরু হলেও মেধাবী ছাত্র-শিক্ষকদের পদচারনায় দ্রুত নজর কেড়ে নেয় সকলের ।ধীরে ধীরে ছাত্র-শিক্ষক এবং রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে ।বাড়তে থাকে গরীব অভাবী মানুষের চিকিৎসা চাহিদা ।বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৩ কোটি মানুষের সেই চাহিদা পূরণে কলেজটি অনেক সীমাবদ্ধতার চেষ্টার কমতি নেই।কলেজটি তার আবাসন সমস্যা সমাধানের জন্য ২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৫০০ হতে ১০০০ শয্যায় উন্নীত করেন ।যার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে ।এদিকে ছাত্র-শিক্ষক সহপাঠ্যক্রম কার্যক্রম চালানোর জন্য করা হয়েছিলো জিয়াউর রহমান অডিটোরিয়াম ।কিন্তু কিছুদিন আগে য়ার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে ।
দেশের মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে এ মেডিকেল ককলেজের জার্নালটিই সর্বোচ্চ সম্মান 'ইনডেক্স জার্নাল' হিসেবে অন্তর্ভুক্ত।সারা দেশ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনেক গবেষকের প্রথম পছন্দ এ জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশ করা।
আজ প্রায় সাড়ে তিন হাজার রেজিষ্টার চিকিৎসক মিলিত হন কলেজের এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ।অনেক দিন পর অনেক দেশ বিদেশের বন্ধু-বান্ধবের সাথে দেখা হলো এই অনুষ্ঠানে ।
সবাই এতই ব্যস্ত অন্য কারো সাথে সময় ব্যায় করতে রাজি নয়।অনেক কষ্টে পেলাম একজনকে । ডা. অভিজিৎ রায় বলেন এই অনুষ্ঠানের স্মৃতি সারা জীবন ভুলার নয়।খুলনা থেকে তিনি এসেছেন এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে।বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও অধ্যক্ষ এবং হাসপাতাল পরিচালকের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব হলো না।সবাই ব্যস্ত রাষ্ট্রপতি এবং অনুষ্টান নিয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০১২ রাত ১০:৩৫