সনাতন ধর্মের এক বন্ধুর সাথে সন্ধার পর হাটঁতে ছিলাম ।এক সময় আমরা এক মন্দিরের কাছে উপস্হিত হলাম ।সেখানে খুব সুন্দর বয়ান করছিলেন একজন ধর্মবেত্তা স্বামীজি ।আমার কাছে খুব ভালো লাগলো তার কথাগুলো ।প্রায় ১ ঘন্টা দাড়িঁয়ে থেকে শুনলাম ওমঁ ওমঁ ওমঁ শান্তির কথা ।এইখানে কেনো তিনবার বলা হয়েছে ওমঁ ওমঁ ওমঁ এর কথা ।শান্তিময় সে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিলো শ্রী শ্রী প্রণব ঠাকুরের ১১৫ তম জন্ম বার্ষীকি ও তার কর্মময় জীবন।ঈশ্বর থেকে আত্না কীভাবে আসে আবার কীভাবে ভালো কাজের মাধ্যমে প্রভূর সাথে মিলন হয় ।গীতার ১৮ টি অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা ।ত্রিশূলের তিন শূলের বর্ণনা ।সব মিলিয়ে ভালই লাগছিলো ।মানুষ খুব মনযোগ দিয়ে শুনছিলো ।কিন্তু গুরুজিকে বারবার পেছন থেকে কানে কানে বলা হচ্ছে কথা সংক্ষিপ্ত করার জন্য ।কেনো ?তার নির্ধারিত সময় শেষ ।তাহলে অন্যজন হয়তো বলবেন ।না তা আর হলো না ।এখন ভজন সঙ্গীতের অনুষ্টান হবে ।সাজুগুজু করে বিভিন্ন বয়সের মেয়ারা এসেছে ।আমার সনাতন বন্ধু বললো চল এখানে আর থাকা যাবা না।নাচ গান শুরু হবে ।
তো কী হয়েছে কিছুক্ষণ দেখী না কী করে ।
নারে বন্ধু এটা আমাদের দেখার মতো বিষয় না । বন্ধু আমাকে কোনোরকম জোর করেই নিয়ে আসলো ।হাটঁতে হাটঁতে এগুচ্ছি ।মাইকে ইসলাম ধর্মের সভার সুর ভেসে আসছে ।বন্ধু আমাকে নিয়ে চললো মাইকের আওয়াজের দিকে ।'এতক্ষণ আমাদের ধর্মের কথা শুনেছি এবার তোদের ধর্মের কথা শুনবো ।'
আমরা মাইকের কাছে তথা সভার কাছাকছি আসার সময় বক্তা পরিবর্তন হয়ে মাইকে আসছেন মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী সাহেব।সুমধুর কন্ঠের বয়ান শুনলাম প্রায় ২ ঘন্টা আমার বন্ধু আসতে চাচ্ছে না ।দীর্ঘ ৩ ঘন্টা বয়ান শুনে তারপর আসলাম।এখানে শুনলাম রুহ জগৎ থেকে কীভাবে আত্না মানব দেহে আসে তার বর্ননা ।
বন্ধু বললো ' দেখ বন্ধু দুই ধর্মের কিছু কথা মনে হয় আমার কাছে মিলে যাচ্ছে ।'সবাই ভালো ভালো কথা বলে ।তাহলে বিশ্বে এতো মারামারি কেনো ।সব ধর্মেই তো দেখছি ভালো কথা বলা হয় ।মানা হয় না কেনো ????