আমেরিকার বিশেষ রাষ্ট্রদূত স্টিফেন র্যাপ কিছুদিন আগে রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশ এসেছিলেন। সফর শেষে ওয়াশিংটন ডিসিতে ফিরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটনের কাছে রিপোর্ট পেশ করেন তিনি। এরি পরিপ্রেক্ষিতে মিসেস ক্লিনটন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করেন। এ আলাপের বিশদ বিবরন পাবেন “যুদ্ধাপরাধ বিচারের প্রশ্নে ওয়াশিংটন মারাত্মক চিন্তিত” শিরোনামে সাপ্তাহিক হলিডের এ লিঙ্কটাতেঃ
http://www.weeklyholiday.net/front.html#01
এই আলাপের এক পর্যায়ে মিসেস ক্লিনটন শেখ হাসিনাকে বলেনঃ “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ... আপনাকে জানাতে বাধ্য হচ্ছি যে এ (যুদ্ধাপরাধ বিচারের) ব্যাপারে আমি এবং প্রেসিডেন্ট ওবামা আপনার সাথে একমত নই। বাংলাদেশকে এ ব্যাপারটি পুরো ঢেলে সাজাতে হবে যেন এটি বিরোধী দলগুলোকে দমনের জন্য হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত না হয়।”
জবাবে শেখ হাসিনা মিসেস ক্লিনটনকে বলেনঃ “আমরা এ বিচার হাতে নিয়েছি ভারতের সক্রিয় সাহায্য ও সহযোগিতায়। আমি নিশ্চিতআমেরিকায় অবস্থিত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত এ ব্যাপারে আপনাকে অবহিত করবেন”।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখানে বংলাদেশের কোন উল্লেখ করলেন না - যদিও এতদিন আমরা শুনে এসেছি বাংলাদেশের জনগনের ইচ্ছা, সাহায্য-সহযোগিতায়ই নাকি হচ্ছে এ বিচার।
কথায় বলে হঠাৎ ভড়কে গেলে নাকি পেটের কথা বেরিয়ে আসে। মিসেস ক্লিনটনের কুটনৈতিক ধমকটিতে এই কাজটিই হয়েছে - ঘাবড়ে গিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলে ফেললেন, এ বিচার হচ্ছে আসলে ভারতের মদতে।
এখন কথা হচ্ছে ভারতের নামটা এতদিন পর্য্যন্ত আসে নাই কেন?
দূর্মুখেরা বলে, ভাসূরের নাম মুখে আনতে মানা। হয়ত এ কারনেই জনসমক্ষে বলা হয়নি বা হয়না।
কিন্তু বিধি বাম। বের হয়ে গেছে বিড়াল। এখন পরিষ্কারভাবে জানা গেল তথাকথিত যুদ্ধাপরাধী বিচারের নেপথ্য নায়ক কে।
>
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:১৩