ব্রাজিলের সঙ্গে চীনের প্রায় ১১ থেকে ১২ ঘণ্টার সময় ব্যবধানের কারণে রাত জেগে খেলা দেখতে গিয়ে ফুটবল পাগলদের মধ্যে এ রোগটির দেখা দিচ্ছে। ইতোমধ্যে চীনের সিচুয়ান প্রদেশের চেঙ্গদু শহরে একটি ক্লিনিকও খোলা হয়েছে। যা ইতোমধ্যে এ রোগ সারানোর ক্লিনিক নামে খ্যাতি পেয়েছে। বিশ্বকাপের উত্তেজনায় বিভিন্ন প্রকার শারীরিক সমস্যায় ভোগা মানুষদের সেবা দেয়া হয় এখানে।
ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্রাজিলের সঙ্গে দেশটির সময় পার্থক্য খুব বেশি হওয়ার কারণেই হাজার হাজার মানুষের ঘুমের অনিয়ম, ক্ষুধা মন্দা এমনকি স্মৃতি বিভ্রমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এসব রোগীকে সেবা দিতে ২৪ ঘণ্টা ওই হাসপাতালে ডাক্তারদের থাকতে হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর থেকে শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি অনেকের মানসিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে হিস্টিরিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
ওয়াং ফু অং নামে এক ব্যক্তি এই সপ্তাহে ওই ক্লিনিকটিতে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সুয়ারেজ যখন চিয়েলিনিকে কামড় দেয় তখন মনে হচ্ছিল আমার নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে আসবে। দু’দিন পর্যন্ত কিছুই খেতে পারছিলাম না। ওই ম্যাচের পর টানা ৪৮ ঘণ্টা বেড রেস্টে কাটিয়েছি।’
ওই ক্লিনিকের এক ডাক্তার বলেন, ‘এ ধরনের সমস্যা আমাদের জন্য নতুন। তবে ফুটবল খেলা দেখে যেভাবে মানুষ অসুস্থ হচ্ছে তার কোনো প্রতিকার আমাদের জানা নেই।’
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০