ভাই আগেই বইলা নেই আমি নিজে কোটা প্রথা সমর্থন করি না। যদিও আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা তাও আমি নিজে কখন তার সুযোগ নেই নাই। কেন নেই নাই জানেন? কারন এই দেশের সরকার আর সরকারের সিস্টেমের উপর আমার বিন্দুমাত্র আস্থা নাই। আমার নিজের বন্ধু যে কিনা ইংলিশে ১ টা লাইন ঠিক মত লিখতে পারব না সে তার চাচার জোরে ইনকাম ট্যাক্সে অফিস সহকারী পদে চাকরি পাইসে। ওই শালায় জানত ওরে ইন্টারভুউ বোর্ডে কি জিগাইব তাই ওইখানে যাওয়ার আগে আমারে জিগায়া নিসে “আমি স্কুলে যাই” এটার ইংলিশ কি হইব? ওই শালায় ওই চাকরিতে বইসে ঘুষ খাইতে। বলেন ভাই কেমন লাগে।
আমি বি.সি.এস দেই না যদিও আমার মরহুম বাপের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট আসে। ভাইবেন না যে পাস করুম না তাই এক্সামে বসি নাই। স্টুডেন্ট লাইফে আমার রেসাল্ট গর্ব করার মত। বি.সি.এস দেই না কারন ভাই এক্সামে পাস করলেও যখন ইন্টারভুউ বোর্ডে যামু তখন ঘুষ চাইব। সেই ঘুষ দেয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমার নাই। যারা এখন নিজেরে মেধাবী কয়া লাফাইতাসেন তারা কেন যাইবেন এই সরকারী চাকরি করতে? ২ টা কারন থাকতে পারে মোটা দাগে। পয়লা সরকারী চাকরি সহজে যায় না। অনেক সেফ। কিন্তু এটাতে তো ভাই চ্যালেনজ নাই। আর যেইখানে চ্যালেনজ নাই সেইখানে মেধাবীরা কাজ কইরা মজা পায় এটা আমি বিশ্বাস করি না। আর পরের কারন হইতাসে টাকা কামানোর ধান্দা। বি.সি.এস পাওয়ার জন্য মানুষ ১০-১২ লাখ টাকা ফালাইতেও দ্বিধা করে না কারন ১-১.৫ বসরের মধ্যে সেই টাকা তারা উঠাইয়া ফেলতে পারে। তো তারা দেশরে কি দিবো সেটা নিয়া আমার সন্দেহ থাইকা যায়। আর ভাই অনেকগুলা এম.সি.কিউ মুখাস্ত করলে কেও মেধাবী হয়া যায় বইলা আমি মনে করি না।
এখন জিগাইতে পারেন আমি কি করি। আমি এখনও বেকার। আশা আছে গ্রামে যাইয়া কৃষিকাজ করব। দোয়া কইরেন।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৫